কটকে চিকিৎসা সেরে ফিরলেন বরুণ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
নিজের রাজ্যে ছ’-ছ’টি সরকারি হাসপাতালে ‘প্রত্যাখ্যাত’ হয়েছিলেন। শুরুই হয়নি চিকিৎসা। সেই বরুণ দাস ওড়িশার কটকে গিয়ে চিকিৎসা সেরে সম্প্রতি মেদিনীপুর ফিরেছেন। আপাতত ভালই আছেন তিনি।
মেদিনীপুর শহরের হবিবপুরের বাসিন্দা বছর ছেচল্লিশের বরুণবাবু। সম্প্রতি ‘সাবডুয়াল হেমাটোমা’য় আক্রান্ত হন তিনি। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, এখানে এই রোগের চিকিৎসা সম্ভব নয়। ‘রেফার’ করা হয় কলকাতার হাসপাতালে। সেই মতো বরুণবাবুকে অ্যাম্বুল্যান্সে শুইয়ে কলকাতা পৌঁছন তাঁর ভাইয়েরা। কিন্তু ছ’টি হাসপাতাল ঘুরে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয় তাঁদের। |
|
হবিবপুরের বাড়িতে বরুণ দাস। নিজস্ব চিত্র। |
কোথাও ঠাঁই না পেয়ে ফের মেদিনীপুর মেডিক্যালেই বরুণবাবুকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা চিকিৎসার আশ্বাস দিলেও তাতে ‘ভরসা’ রাখতে পারেননি বরুণবাবুর পরিবারের লোকজন। রোগীকে নিয়ে তাঁরা রওনা হয়েছিলেন কটকে। সেখানে চিকিৎসার পর আপাতত ভাল আছেন বরুণবাবু। মেদিনীপুরে নিজের বাড়িতে বসে তিনি বলেন, “এখন নিজেকে সুস্থ মনে হচ্ছে। তবে চলতি মাসের শেষে আবার একবার কটকে যেতে হবে। চেক-আপ করাতে।”
মেদিনীপুর থেকে নিয়ে গিয়ে ৪ এপ্রিল বিকেলে প্রথমে কটক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছিল বরুণবাবুকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, দু’দিন পর অস্ত্রোপচার হবে। পরে ওই হাসপাতালেরই এক চিকিৎসকের পরামর্শে নাসির্ংহোমে ভর্তি করে ৫ এপ্রিল রাতেই তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর কয়েক দিন চিকিৎসাধীন থেকে সম্প্রতি মেদিনীপুর ফেরেন তিনি। হবিবপুরের ওই বাসিন্দার কথায়, “কলকাতার হাসপাতাল ঘুরে দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা হয়েছিল। কটকে গিয়ে সমস্যা হয়নি। বরং কম খরচে ভাল ভাবেই চিকিৎসা হয়েছে।” |
|