টুকরো খবর
সিপিএম-তৃণমূল সমর্থকদের গোলমাল
সোমবার হুগলির হরিপালের পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামে সিপিএম এবং তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে গোলমাল হয়। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে মারধর, ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের করে হরিপাল থানায়। দু’পক্ষই নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, তৃণমূলের ‘সন্ত্রাস’, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি, ১০০ দিনের কাজে অনিয়ম বন্ধ করা-সহ নানা দাবিতে সোমবার বিকেলে হরিপাল বিডিও অফিসে স্মারকলিপি দেয় ব্লক সিপিএম নেতৃত্ব। হরিপাল জোনাল কমিটির সম্পাদক দুলাল ভৌমিক ওই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন। অভিযোগ, ওই কর্মসূচি সেরে ফেরার পথে বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ এক দল সিপিএম সমর্থক পশ্চিম গোপীনাথপুরে গোলকবিহারী পাল নামে এক তৃণমূল কর্মীর স্টেশনারি দোকানে ভাঙচুর করে। গোলকবাবুর দাবি, তাঁকে মারধর করা হয়। দোকান থেকে কয়েক হাজার টাকা লুঠ করা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ঘটনার পরে উত্তেজিত তৃণমূল সমর্থকেরা গ্রামের সিপিএম নেতা রবিন পালের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। দুলালবাবু বলেন, “আমাদের নেতা রবিন পাল এবং তপন মুখোপাধ্যায়কে ওরা মারধর করে। রবিনের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়।” পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি লাল্টু দে অবশ্য বলেন, “সিপিএমের লোকজন গোলকের দোকানে হামলা চালায়। ওঁকে মারে। তার পরে সিপিএমেরই কিছু লোক তৃণমূলের ঝাণ্ডা নিয়ে ওদের নেতাদের বাড়িতে হামলা করে। এতে আমাদের দলের কেউ জড়িত নয়।” জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “পুলিশ দু’পক্ষের অভিযোগ পেয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

দৌড়ে মদ্যপকে ধরে আনল পুলিশ
রাস্তা দিয়ে দৌড় মারছেন বছর পঁয়ত্রিশের যুবক। তাঁর পিছনে ছুটছে পুলিশ। তারও পিছনে ধাওয়া করছে জনতা। মঙ্গলবার বিকেলে হাওড়ার ডোমজুড় থানার সামনে জনবহুল রাস্তায় দেখা গেল এমনই দৃশ্য। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবককে সুলতানপুর এলাকায় মুম্বই রোডের ধার থেকে দুপুরেই ধরে আনা হয়। অভিযোগ, তিনি রাস্তায় মাতলামি করছিলেন। মত্ত অবস্থায় থাকার জন্য তাঁকে লক-আপে ঢোকানো হয়নি। এই ধরনের মামলায় থানা থেকেই অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হয়। যুবকের স্ত্রী খবর পেয়ে থানায় হাজির হন। তাঁকে পুলিশ জামিনের কাগজপত্রে সই করাতে থাকে। ওই যুবক একপ্রস্থ বমি করে ফেলেন থানার ভিতরেই। এ দিকে, জামিনের কাগজপত্রে যখন সইসাবুদ চলছে, আচমকা বেঞ্চ থেকে উঠে পড়ে থানা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন ওই যুবক। থানার সামনেই হাওড়া-আমতা রোড ধরে দৌড়তে থাকেনন। পুলিশও পিছন পিছন ছুটতে থাকে “চোর চোর” বলে। পুলিশের পিছনে দৌড়তে থাকে জনতাও। যুবকটি কিছুটা যাওয়ার পরে রাস্তায় পড়ে যান। ফের তাঁকে আনা হয় থানায়। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “মদ্যপান করে থাকায় সে খুব বেশিদূর যেতে পারেননি। টলমল পায়ে রাস্তায় পড়ে যান।” কাগজপত্রে সইসাবুদের পরে তাঁকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। জেলা পুলিশের ওই কর্তা বলেন, “ওঁর স্ত্রী যখন জামিনের কাগজপত্রে সই-সাবুদ করছেন, উনি ভেবেছিলেন উল্টোটা। তার মনে হয়েছিল উল্টোটা। হয়তো লক-আপে ঢোকান হবে। এ কারণেই পালাচ্ছিলেন।”

মন্দিরের তালা ভেঙে লুঠপাট
মন্দিরের তালা ভেঙে বিগ্রহের সোনা-রূপোর গয়না চুরি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। সোমবার রাতে আরামবাগের ডিহিবাগনান গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় রায় পরিবারের প্রতিষ্ঠিত ওই মন্দিরে সন্তোষী মা-র ফুট পাঁচেকের একটি শ্বেতপাথরের বিগ্রহ রয়েছে। রায় পরিবারের তরফে রতিরঞ্জন রায় অভিযোগ করেন, কয়েক কেজি সোনা ও প্রায় কেজি পাঁচেক রূপোর গয়না খোওয়া গিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে চুরির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মন্দিরের কাঠের দরজার ৭টি তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা ঢোকে।

নক আউট ফুটবল
নিউ তাজ স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল ১৫ তম নক আউট ফুটবল। ১৪ এপ্রিল দিন-রাত ব্যাপী এই প্রতিযোগিতা হয় খলিশানি মসজিদ মাঠে। হাওড়া-হুগলি ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মোট ১৬টি দল এই প্রতিযোগিতায় যোগদান করে। ফাইনালে সাঁকরাইল প্রিন্স ক্লাবকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দেয় মেজুলি স্পোর্টিং ক্লাব। টুর্নামেন্টের সেরা হন মেজুলি স্পোর্টিং ক্লাবের জুলফিকার রহমান।

চ্যালেঞ্জার ট্রফি
পূর্ব বুড়িখালি শীতলা ও কালী মন্দির কমিটির উদ্যোগে ১৪ এপ্রিল শনিবার অনুষ্ঠিত হয় বাউড়িয়া সুপার চ্যালেঞ্জার ট্রফি। সারা রাতব্যাপী এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয় পূর্ব বুড়িখালি মাঠে। হাওড়া-হুগলি ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মোট ১৬টি দল এই ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সামিল হয়। ফাইনালে বাউড়িয়া ইলেভেন স্টার কাজিরচড়া ইন্টার ক্লাবকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। সিরিজের সেরা ভ্রাতৃ সঙ্ঘের বিশ্বজিৎ। খেলা পরিচালনায় অনুপ দাস, তন্ময় দাস, কৌশিক মণ্ডল, রমেশ রুইদাস।

বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার
দরজা ভেঙে এক বৃদ্ধার পচাগলা দেহ উদ্ধার হল। সোমবার, বালির রাজচন্দ্রপুর থেকে। মৃতার নাম বীথিকা মিত্র (৭৫)। তিনি রাজচন্দ্রপুরের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পুলিশ জানায়, বীথিকাদেবী ভিক্ষা করতেন। গত রবিবার রাতে তাঁকে বাড়ি ফিরতে দেখেন স্থানীয়েরা। এর পরে তাঁকে আর দেখা যায়নি। সোমবার রাতে বৃদ্ধার ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়েরা থানায় খবর দেন।

পড়ে মৃত দুই শ্রমিক
পাতকুয়ো কাটতে গিয়ে পড়ে মৃত্যু হল দুই ঠিকা কর্মীর। মঙ্গলবার, বালির পূর্ব আনন্দনগরে। মৃতদের নাম ভোলা সিংহ (৪৫) ও ভৈরব সিংহ (৪০)। পুলিশ জানায়, প্রায় ২০ ফুট পাতকুয়ো কাটার পরে আচমকাই পড়ে যান ভোলা ও ভৈরব। স্থানীয়েরা পুলিশ ও দমকলে খবর দেন। হাসপাতালে দু’জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশের অনুমান, কোনও এক জন পড়ে যাচ্ছে দেখে অন্য জন তাঁকে বাঁচাতে গিয়েই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

দেহ উদ্ধার
দামোদর থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতের আনুমানিক বয়স ৩৫। মঙ্গলবার সকালে পুড়শুড়ার বৈকুণ্ঠপুর গ্রাম-সংলগ্ন দামোদর থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.