চাতরা নন্দলাল ইনস্টিটিউশন |
ছাত্র সংখ্যা ১৪২৮ জন।
শিক্ষক ৪৩ জন। পার্শ্বশিক্ষক ৬ জন।
গ্রন্থাগারিক ১ জন। চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ১ জন।
গত বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ১৬২ জন।
উত্তীর্ণ সকলেই।
গত বছরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ১৪৬ জন।
উত্তীর্ণ ১৪০ জন। |
|
|
সুশীলকুমার সাহা
(প্রধান শিক্ষক) |
|
উনিশ শতকের চারের দশকে কলকাতার তৎকালীন বিশপের উদ্যোগে হুগলির শ্রীরামপুরের চাতরা অঞ্চলে গঙ্গার ধারে যে ‘ইংলিশ স্কুল’টি চালু হয়, বিবর্তনের বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে একই ভৌগোলিক অবস্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে আমাদের এই স্কুল। ঐতিহাসিক কারণেই অন্য বহু প্রতিষ্ঠানের মত এরও যাত্রা বারে বারেই বিঘ্নিত হয়। ১৮৭৩ সালে নন্দলাল গোস্বামীর নেতৃত্বে বিদ্যোৎসাহী মানুষজনের সহযোগিতায় ‘মিড্ল ইংলিশ স্কুল’ এবং পরে ‘চাতরা হাই ইংলিশ স্কুল’ হিসেবে এগিয়ে চলে এই প্রতিষ্ঠান। চিকিৎসক নীলরতন সরকারের যৌবনের শুরুতে অল্প দিনের জন্য শিক্ষকতা, স্বদেশি আন্দোলনের নেতা অশ্বিনীকুমার দত্তের স্বল্পকালীন প্রধান শিক্ষকতা ইত্যাদি কত না উজ্জ্বল ঘটনার সাক্ষী এই প্রতিষ্ঠান। আর পড়াশোনা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অনবদ্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত অসংখ্য ছাত্র। ২০১১ সালের আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে ব্রোঞ্জ পদক প্রাপ্ত দেবদ্যুতি বন্দ্যোপাধ্যায় এই উজ্জ্বল তালিকায় নবীনতম সংযোজন মাত্র। অতি সীমিত ক্ষমতা ও পরিকাঠামোর মধ্যেও গর্ব হয় পড়াশোনা ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রেও বহু ছাত্রের কৃতিত্বের জন্য। এনসিসি ইউনিটের ক্যাডেটরা মাঝে মধ্যেই বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করে। আমাদের গ্রন্থাগারটিও প্রশংসার দাবি রাখে। পঞ্চম শ্রেণি থেকে সমস্ত ছাত্রদের কম্পিউটার শিক্ষা তথা সর্বাঙ্গীন বিকাশের প্রয়াস অব্যাহত। অভিভাবকদের সক্রিয় উপস্থিতির হারও যথেষ্ট সন্তোষজনক। যদিও, এত বড় একটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে করণিক ছাড়াই চলতে বাধ্য হচ্ছে। তা ছাড়া, উচ্চ মাধ্যমিকে কলা বিভাগ চালু করলেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক না পাওয়ার ফলে বিশেষ অসুবিধা হচ্ছে। |
আমার চোখে
রাতুল পাড়ুই
(প্রথম স্থানাধিকারী দশম শ্রেণি) |
|
|
হুগলি জেলায় ভাগীরথী নদীর তীরে অতি মনোরম পরিবেশে অবস্থিত এই বিদ্যালয়। স্কুলটি বহু প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। সে জন্য আমরা পড়ুয়ারা যথেষ্ট গর্ব অনুভব করি। শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছাত্রদের পঠন-পাঠনের প্রতি যথেষ্ট যত্নশীল। আজকাল বিদ্যালয় ছুটির পরে অতিরিক্ত সময় দিয়ে তাঁরা আমাদের পঠন-পাঠনে সাহায্য করেন। এতে প্রভূত উপকৃত হয় ছাত্রেরা। আমরাও বিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে সদা সচেষ্ট। বিভিন্ন পাঠ্য বিষয় অবলম্বনে আমাদের সমাজ ও জীবন সম্পর্কে সচেতন করা এবং দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেন শিক্ষকেরা। সর্বোপরি, এর পাশাপাশি নানা বিষয়ে ছাত্রদের মতামতও তাঁরা গুরুত্ব দিয়ে শোনেন। আমাদের বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার, পরীক্ষাগার খুবই উন্নত মানের। তবে, শুধু পড়াশোনাই নয়, এর পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধূলা, বিজ্ঞান প্রদর্শনী প্রভৃতি অনুষ্ঠিত হয়। সে দিকেও কৃতিত্ব রেখেছে পড়ুয়ারা। সব দিক দিয়েই এই বিদ্যালয় আমার কাছে খুবই প্রিয়। |