|
|
|
|
|
প্রবন্ধ ১... যা দেখি, যা শুনি, একা একা কথা বলি |
ও বিদ্যাসাগর, আমার পাঁচ গণ্ডা পয়সা দরকার..
বাঙালি উচ্চারণে কার্মাটা। আসল নাম কর্মাটঁড়। অর্থাৎ কর্মা নামে এক সাঁওতাল মাঝির টাঁড়,
মানে উঁচু জায়গা যা বন্যাতে
কখনও ডোবে না। সেইখানে রেল স্টেশনের পাশেই একটা
বাড়ি কিনেছিলেন কিংবা নির্মাণ করিয়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। লিখছেন
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় |
|
এক সময় উচ্চবিত্ত বাঙালিরা, এমনকী কিছু মধ্যবিত্ত বাঙালিও প্রতি বছর অন্তত এক বার হাওয়া বদল করার জন্য পশ্চিমে যেতেন। এখনকার হিসেবে বেশি দূর নয়, ঘাটশিলা, মধুপুর, শিমুলতলা ইত্যাদি জায়গায় কিছু দিন মুক্তজীবন যাপন করতেন। হাওয়া বদলের ধারণাটা সাহেবদের কাছ থেকে পাওয়া। একই জায়গায় বছরের পর বছর থেকে গেলে শরীর ঠিক থাকে না, তাই অন্য কোথায় গিয়ে, সেখানকার হাওয়া গায়ে লাগিয়ে এলে শরীর নতুন বল পায়, আয়ুও নাকি বেড়ে যায়। যে-জন্য সাহেবরা ছুটি পেলেই ভ্রমণে বেড়িয়ে পড়ে, এমনকী উইক-এন্ডেও তাদের পাওয়া যায় না। প্রথম দিকের শিক্ষিত বাঙালিরা অনেক বিষয়েই ইংরেজদের অনুকরণ করতে চাইতেন, বাংলার বাতাস থেকে কিছু দূরের কোনও জায়গায় অন্য রকম বাতাস উপভোগ করে আসতেন, কিছু কিছু ধনাঢ্য পরিবার ওই সব শহরে একটা বাড়িও রাখতেন, বেশ বড় ও সুদর্শনীয়। ওই সব অঞ্চলকে কেন ‘পশ্চিম’ বলা হত, তা আমি এখনও জানি না, ওই সব শখের বাড়ির অধিকাংশ এখন জরাজীর্ণ, প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়ার মতন অথবা হস্তান্তর হয়ে গেছে। সেই সব বিত্তশালী পরিবারের কেউ কেউ এখনও হাওয়া বদলাতে যায়, তবে বিহার বা উত্তরপ্রদেশে নয়, তারা যায় প্রকৃত পশ্চিমে, অর্থাৎ ইউরোপ, আমেরিকায়।
ছোট ছোট পাহাড় বা যেখানে সেখানে খানিকটা জঙ্গল, এ রকম স্থানই বাঙালিদের বেশি পছন্দ ছিল। শহর ছাড়াও কোনও গ্রামাঞ্চলে এ রকম পরিবেশ পেলে সেখানেও বাড়ি বানিয়ে রাখত বাঙালিরা। এই রকমই একটি আকর্ষণীয় অঞ্চলের নাম বাঙালি উচ্চারণে কার্মাটা। আসল নাম কর্মাটঁড়। অর্থাৎ কর্মা নামে একজন সাঁওতাল মাঝির টাঁড়। মানে উঁচু জায়গা যা বন্যাতে কখনও ডোবে না। সেইখানে রেল স্টেশনের পাশেই একটা বাড়ি কিনেছিলেন কিংবা নির্মাণ করিয়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। এ তথ্য অনেকেই জানেন। বিদ্যাসাগরের শেষ জীবন মোটেই সুখে কাটেনি। সেই যে উত্তরপাড়ায় একটা বালিকা বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে মিস কম্পেস্টারকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে তার বগি গাড়িটি উল্টে যায়। ছিটকে বিদ্যাসাগর মাটিতে পড়ে গিয়েই অজ্ঞান হয়ে যান। তার পর এক মাস শয্যাশায়ী ছিলেন। ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকারের চিকিৎসায় তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন বটে, কিন্তু আঘাতের পরিণাম তাঁর শরীরকে ছাড়েনি। তার ফলেই তাঁর আয়ু ফুরিয়ে যেতে থাকে। তা ছাড়াও কিছু কিছু বন্ধু স্থানীয় মানুষ এবং যাঁদের তিনি অনেক উপকার করেছেন, তাদের কয়েক জনের দুর্ব্যবহারে তিনি মর্মাহত হন। তাঁর জন্মস্থান বীরসিংহ গ্রামের কিছু ব্যক্তির অকৃতজ্ঞতার কারণে তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, জীবনে আর কখনও তিনি সেই গ্রামে পা দেবেন না। কর্মাটাঁড়ের অধিকাংশ মানুষই সাঁওতাল, তাদের সরল ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে বিদ্যাসাগর বাকি জীবনটা সেখানেই কাটাবেন ঠিক করেছিলেন। তা অবশ্য হয়নি। মাঝে মাঝেই তাঁকে কলকাতায় আসতে হয়েছে। মৃত্যুও হয় এই শহরেই। |
|
হাওয়াবদলের ‘পশ্চিম’। শিমুলতলা, নলডাঙা রাজবাড়ি। |
কিন্তু বাস্তব? তা যে তত সুখের নয়। ২০১২-১৩ সালের বাজেটে অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় যে বিজ্ঞানে বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছেন। না, গত কয়েক বছরের তুলনায় কমাননি। তবে, ইদানীং ফি-বছর যে বরাদ্দ ২৫ শতাংশ হারে বাড়ছিল, সে হারে এ বার বাড়াননি। মাত্র একটা বিভাগে বরাদ্দ বাড়িয়েছেন অকল্পনীয় হারে মহাকাশ গবেষণায়। বরাদ্দ বেড়েছে ৫২ শতাংশ। তবে ওই বৃদ্ধির মধ্যে কিন্তু ঢুকে আছে ২০১২-১৩ আর্থিক বছরে অব্যবহৃত বিশাল অঙ্কের টাকা। আর অন্য খাতে? সেখানে বৃদ্ধি ১.৮ শতাংশ থেকে ১৭.৯ শতাংশ (তালিকা দেখুন)। সরকার সাফাই গাইবে, তাতে কী, বরাদ্দ বাড়ানো তো হয়েছে। উত্তর: না, বাস্তব বিচারে পরিস্থিতি ভিন্ন। দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার বছরে ৭ শতাংশ। তা হলে, ১.৮ শতাংশ বরাদ্দবৃদ্ধি তো বাদই দিচ্ছি, ১৭.৯ শতাংশ বাজেট বাড়ানোরই বা কী পড়ে থাকে?
বাজেট বরাদ্দের যে ছবি পেশ করলাম, তা হয়তো বা সাময়িক। হয়তো পরের আর্থিক বছরে বরাদ্দ বাড়বে। সত্যিটা এই যে, বিনিয়োগের ব্যাপারে হালফিল সরকার গুরুত্ব দিয়েছে বিজ্ঞানকে। এর পর আসে সেই চূড়ান্ত প্রশ্নগুলো। বরাদ্দ খরচ করা হবে কোন লক্ষ্যে? বরাদ্দ-বৃদ্ধি থেকে উপকার সব সময়ই মেলে, কিন্তু সেই লাভ কি অভিপ্রেত লক্ষ্যে? প্রশ্নগুলোর উত্তর ভীষণ জরুরি। নইলে অর্থব্যয় শুধু বক্তৃতার বিষয় হয়ে থাকে।
বিজ্ঞানের পঠন-পাঠন নতুন খাতে বওয়ানোর জন্য স্বাধীনতার পর জওহরলাল নেহরু ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি প্রতিষ্ঠায় জোর দিয়েছিলেন। দেশ গড়ার কাজে প্রচুর প্রযুক্তিবিদ চাই, তাই আই আই টি প্রতিষ্ঠা, যার প্রবেশিকা পরীক্ষা আমেরিকার হার্ভার্ড কিংবা ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি-র এন্ট্রান্সের চেয়েও কঠিন। এ হেন আই আই টি দেশ গড়ায় কতটা কাজে লেগেছে? আই আই টি-র সংখ্যা ৭ থেকে বাড়িয়ে ১৬-য় নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ এখন দেশ জুড়ে। অজুহাত? দেশে মেধাবী ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে।
প্রযুক্তি শিক্ষার লোভ এড়িয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরা যাতে মৌল বিজ্ঞান পড়তেও আগ্রহী হয়, সে জন্য একেবারে নতুন সিলেবাস রচনা করে গত পাঁচ বছরে দেশের নানা জায়গায় খুলেছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইসার)। ভাল ছাত্রছাত্রীর জন্য উন্নত মানের শিক্ষা। ভাল।
কিন্তু এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা? যে কোনও উন্নত দেশে যা বিজ্ঞান শিক্ষা এবং গবেষণায় গর্বের বিষয়? হ্যাঁ, সরকার সে দিকে নজর দিয়েছে বইকী। এখন দেশে ৯ জন যুবকের ১ জন কলেজমুখী। আগামী দশ বছরে যাতে ৩ জনের ১ জন কলেজে যায়, তার ব্যবস্থা করতে চায় সরকার। গড়তে চায় অনেক নতুন বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সেগুলোতে শিক্ষার মান? না, তা উন্নত করার কোনও বড় উদ্যোগ সরকারের নেই। থাক না ইউনিভার্সিটিগুলো আদার ব্যাকওয়ার্ড কাস্ট হয়ে। বৈষম্য? ওহ্, তার তো সোজা সমাধান আছেই। ভবিষ্যতে কখনও চাকরিতে একটা কোটা সিস্টেম চালু করলেই তো মুশকিল আসান!
মূল সমস্যা বোধহয় এই যে, আমাদের টনক নড়ে দেরিতে। বছর ১৫-১৬ আগে কলকাতার কিছু বিজ্ঞানের অধ্যাপক গবেষক একটা ট্রেন্ড লক্ষ করে ব্যথিত হয়েছিলেন। মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে চাকরির লোভে মৌলবিজ্ঞান ছেড়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে দৌড়োচ্ছে। এ ভাবে চললে মৌলবিজ্ঞানে উঁচু মানের গবেষক মিলবে না। এই উদ্বেগ থেকে অধ্যাপক গবেষকেরা কেউ কেউ নিজের উদ্যোগে শুরু করেছিলেন এক কাজ। মৌলবিজ্ঞানের রহস্যে স্কুলপড়ুয়াদের আকৃষ্ট করতে বক্তৃতা সেমিনার। তেমন সাড়া না পেয়ে এক সময় বন্ধ হয়ে গেছে সে-সব। দ্রুত চাকরির হাতছানি বড় শক্তিমান। তার সঙ্গে পাল্লা দেয় কে?
এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। ওই হাতছানি আর ততটা লোভনীয় নয়। এতদিনে ঘুম ভেঙেছে সরকারের। মৌলবিজ্ঞানে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের টানতে চালু হল উৎসাহদান প্রকল্প। ইনোভেশন ইন সায়েন্স পারসুট ফর ইনস্পায়ার্ড রিসার্চ। সংক্ষেপে, ‘ইনস্পায়ার’। আছে মোটা বৃত্তি। আর হ্যাঁ, সরকারি টাকায় বক্তৃতা সেমিনার। একটু দেরি হয়ে গেল যে।
এ দিকে আর এক গেরো। মৌলবিজ্ঞান পড়লেই সবাই সত্যেন বোস মেঘনাদ সাহা হবে, এমন তো গ্যারান্টি নেই। তা হলে? আজীবন গবেষক হতে পারবে না যারা, তারা করবে কী? কলেজে অধ্যাপনা? তা ভাল, কারণ মাইনে মোটা। না, ভাল নয়, কারণ স্থায়ী চাকরি জুটছে না। রাজ্য সরকারের ভাঁড়ে মা-ভবানী। তাই চাকরি বলতে কেবল পার্ট-টাইম। মাইনে দশ হাজার টাকা।
নুন এল বটে। তবে, পান্তা যে শেষ! তার পর কর্মাটাঁড়ের বাড়িটার অবস্থা কী হল? পুত্র নারায়ণচন্দ্রের সঙ্গে পিতার মোটেই সুসম্পর্ক ছিল না। বিদ্যাসাগর তাঁর সঙ্গে বাক্যালাপও বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পিতার মৃত্যুর পরেই নারায়ণচন্দ্র সেই বাড়ি ও সম্পত্তি বিক্রি করে দেয় কলকাতার এক মল্লিক পরিবারের কাছে। তারা বাড়িটি এমনিই ফেলে রাখে। বিহারের বাঙালি সমিতি সেখানে বিদ্যাসাগরের স্মৃতিরক্ষার জন্য উদ্যোগী হয়ে মল্লিক পরিবারের কাছ থেকে কিনে নেয় চব্বিশ হাজার টাকাতে। সেখানে এই সমিতি একটি মেয়েদের স্কুল চালু করে। (অনেকের মতে, বিধবা বিবাহের আইনি স্বীকৃতি আদায় করাই বিদ্যাসাগরের সমাজ সংস্কারের প্রধান কীর্তি। আমার মতে, মেয়েদের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য বিদ্যাসাগরের অনলস পরিশ্রমের কীর্তিও অন্য কিছুর থেকে কম নয়।)
এখন কর্মাটাঁড়ের নাম বিদ্যাসাগর। রেল স্টেশনটিরও ওই নাম। বিহার বাঙালি সমিতি সেই স্থানে অনেক সেবামূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সে সব কাজে অর্থ অকুলান নয়। পত্রান্তরে কলকাতার এক ডাক্তার প্রশান্তকুমার মল্লিক, যিনি সদ্য ওখানে কয়েক দিন কাটিয়ে এসেছেন। তাঁর একটি চিঠি পড়ে জানা গেল, অর্থাভাব সত্ত্বেও কী সব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমার মনে পড়ল, কর্মাটাঁড়ে বিদ্যাসাগর নামে হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর একটি অনবদ্য লেখা পড়ে ছিলাম অনেক দিন আগে। সেটা আর একবার পড়ার ইচ্ছা হল।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বিদ্যাসাগরের অন্যতম সার্থক শিষ্য। তিনি লখনউয়ের এক কলেজে সংস্কৃত পড়াবার আমন্ত্রণ পান। যাওয়ার সময়ে তিনি মাঝপথে কর্মাটাঁড়ে নেমে পড়েন। সেখানে দু’দিন থেকে তিনি দেখে নেন, তাঁর গুরুর প্রতিটি দিনযাপনের চিত্র। সাঁওতাল মধ্যে উপযুক্ত চিকিৎসার খুব অভাব। বিদ্যাসাগর তাদের হোমিওপ্যাথির ওষুধ দেন। কোনও গুরুতর রোগীর বাড়িতে গিয়েও সেবা করেন। সারা দিন তিনি ব্যস্ত। এর মধ্যে মজার ব্যাপার এই, সকাল বেলাতেই একজন সাঁওতাল এসে বলল, ও বিদ্যাসাগর, আমার পাঁচ গণ্ডা পয়সার খুব দরকার। তুই আমার এই পাঁচটা ভুট্টা নিয়ে পয়সা দে। বিদ্যাসাগর ভুট্টা নিয়ে তাকে পয়সা দিলেন। তার পর সারা সকাল ধরেই আরও কয়েক জন সাঁওতাল কিছু ভুট্টার বদলে পয়সা চাইতে লাগল। দরদামের কোনও প্রশ্ন নেই। যে যা চায় তাই দিতে লাগলেন বিদ্যাসাগর। ক্রমে ভুট্টার পাহাড় জমে গেল। বিকেলের দিকে একদল এসে বলল, খিদে পেয়েছে। কিছু খেতে দে না। তখন শুকনো কাঠ আর পাতাটাতায় আগুন জ্বালা হল, বিদ্যাসাগর তাদের সেই সব ভুট্টা বিলিয়ে দিলেন। তারা মহানন্দে যার যতটা খুশি সেই ভুট্টা পুড়িয়ে খেতে লাগল। যাঁরা বিদ্যাসাগর স্মৃতিরক্ষার কর্মকাণ্ডে কিছু আর্থিক সাহায্য করতে চান, তাঁরা বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন, বিহার-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
|
পাপ না পুণ্যফল |
বিদ্যাসাগর মশাই আর হরপ্রসাদ শাস্ত্রী দু’জনেই মৃত্যুর পর স্বর্গে গেছেন। স্বর্গে তো কামনা বাসনা মেটাবার কোনও সীমারেখা নেই। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী একদিন একটা বাগানের মধ্যে যেতে যেতে দেখলেন, এক জায়গায় বিদ্যাসাগর মশাই বসে আছেন। তার কোলে বসেছে বিশ্ববিখ্যাত অভিনেত্রী মেরিলিন মনরো। তা দেখেই হরপ্রসাদ মুখ লুকিয়ে অন্য দিকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করতেই বিদ্যাসাগর হেঁকে বললেন, এই হরো, যাচ্ছিস কোথায়, এ দিকে আয়।
হরপ্রসাদ বললেন, গুরুদেব, আপনি সারা জীবন কত পরিশ্রম করেছেন। কত মানুষকে অর্থ সাহায্য দিয়ে বাঁচিয়েছেন। সেই পুণ্যফলে আপনি স্বর্গে এসে এমন রূপসীকে পেয়েছেন। এখানে থাকা উচিত নয়।
বিদ্যাসাগর হরপ্রসাদের পেটে চিমটি কেটে বললেন, আজও তোর বুদ্ধিশুদ্ধি হল না। বুঝিস না, এটা আমার পুণ্যফল না, এই মেয়েটির পাপের শাস্তি। |
|
|
|
|
|