বর্মি-নাগা সমস্যা সমাধানের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে খাপলাং বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি সাক্ষর করতে চলেছে মায়ানমারের প্রজাতান্ত্রিক সরকার। সব ঠিক মতো চললে চলতি মাসের ২৮ তারিখ, ভারত সরকারের সঙ্গে খাপলাং বাহিনীর সংঘর্ষবিরতি চুক্তির মেয়াদবৃদ্ধির পাশাপাশি খাপলাং-মায়ানমার চুক্তিও সই হয়ে যাবে। খাপলাং বাহিনী সূত্রে খবর, মায়ানমার সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য এনএসসিএন (খাপলাং) গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এস এস খাপলং, কে মুলাতনু, ওয়াতিং নাগা-সহ খাপলাং বাহিনীর শীর্ষ নেতারা ইতিমধ্যেই সাগায়িং ও নাগাল্যান্ডের ঘাঁটি ছেড়ে শান্তি প্রক্রিয়া বিষয়ক বৈঠকে যোগ দিতে ইয়াঙ্গন রওনা হয়েছেন। সম্ভবত ২০ এপ্রিল মায়ানমার সরকার ও নাগা জঙ্গি নেতাদের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি ও তার পরিকাঠামো, শর্তাবলীর বিষয়ে প্রথম দফার আলোচনা হবে।
খাপলাং বাহিনী ভেঙে বেরিয়ে আসা খুলে-কিতোভি গোষ্ঠী অবশ্য মনে করছে, নাগাদের স্বার্থরক্ষা ও ভারতের সঙ্গে শান্তি স্থায়ী করার চেয়ে মায়ানমারের রাজনীতি নিয়েই খাপলাংরা বেশি মাথা ঘামাচ্ছে। খাপলাং বাহিনীর শীর্ষ নেতা মুলাতনু জানান, খাপলং নিজে মায়ানমার সরকারে সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসবেন না। তিনি দলের কোনও শীর্ষ নেতাকে প্রতিনিধি নির্বাচিত করে পাঠাবেন। ২০১০ সালের নির্বাচনের আগে মায়ানমারের সামরিক বাহিনী ও খাপলাং বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল। পরিবর্তে নাগা অধ্যূষিত সাগাইং ডিভিশনে খাপলাং বাহিনীর ‘স্বশাসন’ মেনে নিয়েছিল জুনতা সরকার। তবে বিষয়টি এখনও প্রশাসনিক স্বীকৃতি পায়নি। মুলাতনুর মতে, এখন অবধি মায়ানমার সরকারের সদিচ্ছা দেখে তাঁরা খুশি। তবে শান্তি আলোচনায়, নাগা সার্বভৌমত্বের বিষয়টি থাকছেই। এনএসসিএন (আইএম) ও ভারত সরকারের আপস-রফায় অখুশি মুলাতনু জানান, এক দিকে নাগা সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস, অন্য দিকে নাগা-মেইতেই সম্পর্ককে বিষিয়ে দিয়ে আই-এম পুরো বিষয়টিকে নেতিবাচক দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি সাফ জানান, ভারত সরকারের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতির মেয়াদ বাড়ালেও ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর বাড়াবাড়ি বা বিরোধী সংগঠনের এলাকা দখলের চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। |