মোবাইল ফোনের প্রেম, পরিণতি নৃশংস হত্যা। প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে, মাথা কেটে, পুড়িয়ে মারল প্রেমিক। ঘটনাটি ঘটেছে মণিপুরের থৌবাল জেলার কাকচিং এলাকায়।
গত ৯ এপ্রিল কাকচিং-এর মহাদেব পাহাড়ের মাথায় একটি দগ্ধ, মুণ্ডহীন দেহ দেখতে পান কাঠুরেরা। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। দগ্ধ দেহের খানিকটা দূরে মাথাটি মেলে। দেহ, আংটি, পোশাকের টুকরো ও জুতো ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, দেহটি ৪৪ বছর বয়সী প্রমীলাদেবীর। ২৫ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ বেশ কয়েকটি ফোন আসার পরে হন্তদন্ত হয়ে তিনি বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আর ফেরেননি। পুলিশ আরও জানতে পারে খেলেন্দ্র নামে এক জঙ্গির সঙ্গে তাঁর প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। খেলেন্দ্রকে শনিবার গ্রেফতার করে পুলিশ। সে প্রমীলার মৃত্যুর জন্য আরও পাঁচজনকে দায়ী করে। তাদেরও গ্রেফতার করা হয়। তবে বিস্তর জেরার পরে পুলিশ বুঝতে পারে বাকিরা নির্দোষ। গত কাল কড়া জেরায় ভেঙে পড়ে শেষ অবধি দোষ কবুল করে খেলেন্দ্র।
পুলিশ জানিয়েছে, ৩২ বছরের খেলেন্দ্র বিবাহিত ও দুই ছেলের বাবা। প্রথমে সে পিএলএ জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ছিল। পরে প্রিপাকে যোগ দেয়। দু’বার পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পরে কিছুদিন মূল স্রোতে ছিল সে। পরে কেসিপিতে যোগ দেয়। ফের জেল হয় তাঁর। জেল থেকে খেলেন্দ্র গত বছর মুক্তি পায়। এরপরেই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে প্রমীলার সঙ্গে তার আলাপ। তবে বিবাহিত হওয়ায় প্রমীলাকে বিয়ে করা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। এ দিকে, বিয়ে না করলে দু’জনের সম্পর্ক প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন হতাশ প্রমীলা। তাই ফোনে তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে প্রমীলাকে ধর্ষণ করে, মাথা কেটে, দেহটি পুড়িয়ে দেয় খেলেন্দ্র। প্রমীলাকে হত্যার পরে তাঁর মোবাইলটিও খেলেন্দ্র ব্যবহার করছিল। মাদকাসক্ত খেলেন্দ্র আপাতত চিকিৎসাধীন। তার কাণ্ডের কথা জানতে পেরে, কাকচিং এলাকার বাসিন্দারা, খেলেন্দ্রর ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়।
অন্য দিকে, গত কাল রাতে নামবোল থানা এলাকায় এক মানসিক ভারসাম্যহীন শিক্ষক নিজের স্ত্রী ও পুত্রকে মেরে, প্রতিবেশীদের গণপ্রহারে নিজেও মারা যান। পুলিশ জানায়, ফোজিং আওয়াং চিংগিজিন এলাকার বাসিন্দা নোংমাইথেম রতন পেশায় শিক্ষক। তবে তিন বছর ধরে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। গত রাতে তিনি কুড়ুলের কোপে স্ত্রী তামাকে হত্যা করেন। ১১ বছরের ছেলে ইয়াইফানাও বাবার কাণ্ড দেখে চীৎকার করে পড়শিদের ডাকতে থাকে। তাঁকেও কোপান রতন। পরে হাসপাতালে সে মারা যায়। পড়শিরা বাড়িতে ঢুকে রতনকে বেধড়ক পেটান। তাঁরও মৃত্যু হয়। |