নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা রেণু সরকার খুনের মামলা দায়রা আদালতে বিচারের জন্য সিউড়িতে পাঠানোর নির্দেশ দিল বোলপুর আদালত। মঙ্গলবার বোলপুরের এসিজেএম পীযুষ ঘোষ এই নির্দেশ দেন। খুনের অভিযোগে ধৃত বাড়ির কেয়ারটেকার উজ্জ্বল তপাদার, মঙ্গল সাহানি ও পিন্টু দাসকে ৩০ মার্চ সিউড়ি আদালতে হাজির করাতে বলা হয়েছে। ধৃতদের এ দিন বোলপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী ফিরোজকুমার পাল বলেন, “মামলাটি বিচারের জন্য সিউড়ি আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ রয়েছে, তাদের সেই কপি দেওয়া হয়েছে।”
সম্প্রতি আদালতে জমা করা চার্জশিটে পুলিশ দাবি করেছে, চুরিতে বাধা দেওয়াতেই গত ১৩ জানুয়ারি রাতে শান্তিনিকেতনের বাগানপাড়ার বাড়িতে রেণুদেবী (৭৮) খুন হন। কিন্তু, ওই ঘটনায় ‘ধোঁয়াশা’ রয়েছে। বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। প্রথমত, দুষ্কৃতীরা চুরি করতে গেলেও বৃদ্ধার সোনার নোয়া ও দুল নিয়ে যায়নি। শুধু কয়েকশো টাকা নিয়েছিল। তা হলে পুলিশ কী করে দাবি করছে দুষ্কৃতীরা শুধু চুরি করতেই সেখানে গিয়েছিল? দ্বিতীয়ত, কেয়ারটেকারকে ধরার পরে পুলিশ জানিয়েছিল, সে ওই বাড়িতে লজ তৈরি করার প্রস্তাব বৃদ্ধাকে দিয়েছিল। বৃদ্ধা রাজি না হওয়ায় তাঁকে ‘বালিশ চাপা’ দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়।
পরে পুলিশ দাবি করে, চুরিতে বাধা পেয়ে মঙ্গলরা তাঁকে রডের আঘাতে খুন করে। সে ক্ষেত্রে পুলিশের কোন বক্তব্য ঠিক? পুলিশের অবশ্য দাবি, ধৃত কেয়ারটেকার প্রথমে সহযোগিতা না করায় বিভ্রান্তি ও জটিলতা বেড়েছিল। তবে, পরে মঙ্গল ও পিন্টু জেরার মুখে চুরি করতে গিয়ে বাধা পেয়ে খুনের কথা কবুল করে। |