নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
পর পর তিনটি সভায় উপস্থিত না থাকায় পঞ্চায়েত সমিতির ৫ সদস্যের সদস্য পদ খারিজের জন্য মহকুমাশাসকের কাছে প্রস্তাব জমা দিলেন বিডিও। তাঁদের মধ্যে সিপিএমের ৩ ও তৃণমূলের ২ জন সদস্য আছেন। রামপুরহাট ১ ব্লকের বিডিও শান্তিরাম গড়াইয়ের প্রস্তাবে সিপিএমের তিন সদস্য শুক্লা সেনগুপ্ত (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ), ধানসাদ শেখ (বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ), সুশান্ত সাহা এবং তৃণমূলের বামাপদ মজুমদার, আহাসান শেখের নাম রয়েছে। অভিযোগ, তাঁরা গত ১৬ নভেম্বর, ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ মার্চ অনুপস্থিত ছিলেন। বিডিও বলেন, “২০১১-১২ আর্থিক বছরে কী কী কাজ হয়েছে এবং কী কী কাজ বাকি আছে তা নিয়ে ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর সভা ডাকা হয়েছিল। পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু ওই পাঁচ জন সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। পরে ২০১২-১৩ আর্থিক বছরের জন্য খসনা বাজেটের সভা ডাকা হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি এবং ১৫ মার্চ সভায় চূড়ান্ত বাজেট পেশ হয়। দু’টি সভাতেই ওই পাঁচ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। তাঁর তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মঙ্গলবার রামপুরহাট মহকুমাশাসককে জানানো হয়েছে।” ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক মহম্মদ ইব্রাহিম বলেন, “আইন অনুয়ায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” শুক্লা সেনগুপ্তের দাবি, “সম্প্রতি বার্ড ফ্লু-র টাকা বিলি নিয়ে বিডিও-র বিরুদ্ধে অবৈধ টেন্ডারের অভিযোগ এনেছিলাম। তিনি বদলা নেওয়ার জন্য এই সব করছেন।” অন্য দিকে, বামাপদ মজুমদার বলেন, “বিডিও নিজে খেলায়খুশি মতো সভা ডাকেন। আমি কোনও চিঠি পাইনি।” দু’জনেই জানিয়েছেন, তাঁরা এর জবাব দেবেন। |