আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে ভারত তার উদ্বেগ জানাবে কাবুলকে। নয়াদিল্লির বক্তব্য, তালিবানি হামলার জেরে যেন সে দেশে শান্তি প্রক্রিয়া ভেস্তে না যায়। ফের যেন তালিবান-রাজের কবলে না যায় কাবুল। গত কাল নয়াদিল্লিতে আমেরিকার সঙ্গে ‘সামরিক-রাজনৈতিক’ আলোচনায় কথা হয় এ নিয়ে। মে মাসের গোড়ায় আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী জালমাই রসৌল নয়াদিল্লি এলে তাঁর সঙ্গেও গোটা অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। |
ভারত চায়, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি স্থায়ী সরকার গড়ে উঠুক আফগানিস্তানে। সে ব্যাপারে সব রকম সাহায্য করারও প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে দিল্লি। কাবুলের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজেও কাঁধ লাগিয়েছে ভারত। কিন্তু যাবতীয় শান্তি আলোচনা ভেস্তে দিতে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট হক্কানি-গোষ্ঠী তৎপর হয়ে ওঠায় উদ্বিগ্ন ভারত। কাবুলে রবিবারের জঙ্গি হামলার পিছনে হক্কানি গোষ্ঠীর হাত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর নড়ে বসেছে পেন্টাগনও। হক্কানিদের কার্যকলাপ কড়া হাতে দমন করতে পাক বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খারকে আজ ফের অনুরোধ করেছেন মার্কিন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টন। পাকিস্তানে হক্কানি গোষ্ঠীর অস্তিত্ব সমূলে উচ্ছেদ করতে কাবুল-ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটন মিলে একযোগে অভিযান চালানোরও প্রস্তাব দিয়েছেন হিলারি। মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ব্রাজিল সফররত হিলারি আজ ফোনে কথা বলেন হিনার সঙ্গে। তাঁকে মনে করিয়ে দেন, পাকিস্তানপন্থী হক্কানি গোষ্ঠী দমনে ওয়াশিংটনের কঠোর অবস্থানের কথা। যা তিনি গত বছর সেপ্টেম্বরে ইসলামাবাদ সফরের সময়েই জানান। এ নিয়ে আমেরিকা যে এ বার আরও চাপ বাড়াবে, হিনাকে তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন হিলারি। |