চালক ঘুমন্ত, আহত ১৬ বিমানযাত্রী |
ঘুমের ঘোরে চালক বিমান চালানোর দরুন জখম হলেন ১৪ জন যাত্রী সহ-মোট ১৬ আরোহী। প্রথমে সামনের যুদ্ধবিমানটিকে শুক্র গ্রহ ভেবে ভুল করেন বিমানচালক। পরে যুদ্ধবিমানটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হবে এই ভেবে তড়িঘড়ি করে বিমানটিকে নীচে নামানোর চেষ্টা করেন বিমান সংস্থা এয়ার কানাডার এই চালক। ফলে চারদিকে ছিটকে গিয়ে আহত হন ১৪ জন যাত্রী এবং দু’জন বিমানকর্মী। গত কাল প্রকাশিত ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের এক রিপোর্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ঘটনাটি ২০১১-র জানুয়ারির। রিপোর্টির দাবি, টরন্টো থেকে জুরিখ যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে নিছক ভুল বোঝাবুঝির দরুন। একই দিকে একটি যুদ্ধবিমান এগিয়ে আসছে, তা জানাতে ঘুমন্ত বিমানচালককে সতর্ক বার্তা পাঠান ক্যাপ্টেন। কিন্তু ঘুমের ঘোরে তা বুঝতে ভুল করেন তিনি। সংশ্লিষ্ট বিমানসংস্থার কর্তৃপক্ষ জানান, ঘটনাটি থেকে পরিষ্কার যে বিমানকর্মীরা বিমান চালানোর ফাঁকে বিশ্রামের বিধি মানছেন না। নিয়ম অনুযায়ী বিমানচালক ঘুম থেকে জেগে ওঠার ১৫ মিনিট পরে বিমানের দায়িত্ব নেবেন। এ ক্ষেত্রে যা মানা হয়নি। এয়ার কানাডার মুখপাত্র বলেন, এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে আরও এক জন সহকারী বিমানচালককে নিয়োগ করার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি তাঁর অভিমত, ক্লান্ত বিমানচালকদের উচিত নিজে থেকেই বিমান চালানো থেকে বিরত থাকা।
|
গাঁধীর স্মৃতিচিহ্নের নিলাম লন্ডনে |
লন্ডনে নিলাম করা হল গুলিবিদ্ধ মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর রক্তমাখা ঘাস-মাটি-সহ বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন। সব মিলিয়ে দাম উঠেছে এক লক্ষ পাউন্ড। উত্তর লন্ডনের একটি নিলাম কেন্দ্রে আজ এই নিলাম হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর যে মাটিতে গাঁধী লুটিয়ে পড়েছিলেন, রক্তের ছিটে লাগা সেই ঘাস-মাটি ১০,০০০ পাউন্ডে বিক্রি হয়েছে। নিলাম কেন্দ্রের কণর্র্ধার রিচার্ড ওয়েস্টউড ব্রুক্স বলেন, পৃথিবী জুড়ে গাঁধীর অনুরাগীরা রয়েছেন। তাঁদের কাছে ওই মাটি খুবই পবিত্র। ১৯৩০ সালে লন্ডনে আইন পড়ার সময় যে চশমা গাঁধী ব্যবহার করতেন, ৩৪,০০০ পাউন্ডে বিক্রি হয়েছে সেই চশমা, তার খাপ ও চশমা পরিষ্কার করার রুমাল। চশমাটি গাঁধীকে তাঁর এক গ্লস্টার নিবাসী বন্ধু উপহার দিয়েছিলেন। ২৭০০০ পাউন্ডে বিক্রি হয়েছে একটি ফোল্ডিং চরকা যা গাঁধী ১৯৩০-এ লন্ডনে নিয়ে এসেছিলেন। এ ছাড়া কিছু পোস্ট কার্ড ও চিঠিও নিলাম হয়। ক্রেতাদের মধ্যে এক জন ভারতীয়ও ছিলেন। কিন্তু এই নিলামকে কেন্দ্র করে ভারতে বিতর্ক ছড়িয়েছে। গাঁধীর স্মৃতির বাণিজ্যকরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
|
পড়া শেষে ভারতীয়দের কাজ ব্রিটেনে |
পড়াশোনা শেষের পর ব্রিটেনে ছাত্ররা কোনও রোজগার করতে পারবে না, বলে যে নিয়ম ব্রিটিশ সরকার চালু করেছিল, তা ভারতীয় ছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। আজ কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রী আনন্দ শর্মা এ কথা জানান। কিন্তু শর্ত একটাই। ছাত্রদের তাঁদের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। গত কাল সন্ধায় আনন্দ শর্মা সাংবাদমাধ্যমকে বলেন, তাঁর সঙ্গে ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবোর্ন ও বাণিজ্যমন্ত্রী ভিন্স কেবলের বৈঠক হয়। বৈঠকে শর্মা বিষয়টি নিয়ে ছাত্রদের উদ্বেগের কথা জানান। বলেন, ঋণ নিয়ে বহু মেধাবী ছাত্র বিদেশে পড়তে যান। এ ছাড়া লেখাপড়ার শেষে চাকরির একটা অভিজ্ঞতাও তাঁদের প্রয়োজন। সব শুনে ছাত্রদের কাজের সুযোগ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন অসবোর্ন ও কেবল। তবে যে কাজের সঙ্গে ছাত্ররা যুক্ত হবেন, তা যেন তাঁদের যোগ্যতা অনুযায়ী হয়। এই শর্তের ব্যাপারে আরও আলোচনা করা হবে বলে জানান শর্মা।
|
পাকিস্তান ছাড়ছে লাদেন-পরিবার |
বুধবারই পাকিস্তান ছেড়ে দেশে ফিরতে পারবেন ওসামা বিন লাদেনের তিন স্ত্রী এবং তাঁদের ১৩ শিশু। ১১ মাস আগে অ্যাবটাবাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লাদেনকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী। তার পর লাদেনের পরিবারের এই ১৬ জনকে নিজেদের হেফাজতেই রাখে পাকিস্তান। দেশে অবৈধ প্রবেশ এবং বসবাসের অভিযোগে লাদেনের তিন স্ত্রীকে ৪৫ দিন কারাবাসের নির্দেশ দেয় পাক আদালত। আজ সেই সাজার মেয়াদ ফুরিয়েছে। তাই বুধবারই তাঁরা পাকিস্তান ছেড়ে চলে যাবেন বলে জানান তাঁদের কৌঁসুলি । লাদেনের তিন স্ত্রীর মধ্যে দু’জন সৌদি আরবের এবং এক জন ইয়েমেনের বাসিন্দা। খলিল জানিয়েছেন, তাঁরা সম্ভবত সৌদি আরবেই ফিরবেন। |