টুকরো খবর
ভাতা বিলিতে অনিয়মের অভিযোগ বাম নেতা ধৃত
তৃণমূল কংগ্রেসের চাপে পড়ে এক সিপিএম নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করল। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে তপন থানার রামপুর এলাকায়। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম প্রদীপ দেব। তিনি সিপিএমের তপন লোকাল কমিটির সদস্য। বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা-সহ নানা বৃত্তির টাকা তুলে দেওয়ার জন্য গ্রামবাসীদের কাছ থেকে তিনি জোর করে টাকা আদায় করতেন বলে অভিযোগ। এমনকি, ভাতা থেকেই ওই টাকা কেটে নিতে বলেও অভিযোগ তুলে এলাকার বাসিন্দারা পুলিশকে অভিযোগ জানান। কিন্তু কাজ না হওয়ায় এদিন ফের পুলিশে অভিযোগ জানিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে বাসিন্দারা পথ অবরোধ করেন। তার পরেও পুলিশ প্রদীপবাবুকে গ্রেফতার করে। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তপন ঝা বলেন, “এদিন পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে গ্রামবাসীদের ফিরিয়ে দিলে উত্তেজনা ছড়ায়। পথ অবরোধ হয়।” এদিন থানা থেকে অভিযোগ করে ফিরে আসার পর এলাকার একটি রাষ্টায়ত্ত ব্যাঙ্কে অভিযুক্ত প্রদীপবাবুকে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূলের নেতৃত্বে বিরুদ্ধে। বেলা ১২টা থেকে রামপুরে রাজ্য সড়ক অবরোধ শুরু হয়। পুলিশ গিয়ে ওই প্রদীববাবুকে গ্রেফতার করলে দুই ঘন্টা পর অবরোধ ওঠে। জেলা পুলিশ সুপার চিরন্তন নাগ বলেন, “সমস্ত কিছুই খোঁজ নিয়ে দেখছি।” পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন প্রথম বাসিন্দারা লিখিত অভিযোগ জানান। এর আগে সমস্ত অভিযোগই মৌখিক ছিল। স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য পুরোটা ঘটনাটিকেই সাজা বলে মনে করছে। এলাকার সিপিএম নেতা সামসুদ্দিন সরকার বলেন, “অভিযোগ সাজানো। আমরা এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামব।” ধৃত প্রদীপবাবুর স্ত্রী রীতাদেবী বলেন, “কী কারণে স্বামীকে গ্রেফতার করা হল বুঝতে পারছি না মনে হচ্ছে ওঁকে ফাঁসানো হয়েছে।”

জমি-জটে আটকে রেলপথ
ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেও ক্ষতিপূরণ নিয়ে জট না-কাটায় কালিয়াগঞ্জ-বুনিয়াদপুর প্রস্তাবিত রেলপথের কাজ ফের চালু হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সোমবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ বিডিও অফিসে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটির প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়। ওই কমিটির আন্দোলনের চাপেই এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ওই রেলপথের জমি চিহ্নিতকরণের কাজ বন্ধ রাখে রেল। তার পরেই প্রশাসনের উদ্যোগে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। তবে রেল-কর্তৃপক্ষ চাষিদের দাবি মতো ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে স্পষ্ট আশ্বাস না-দেওয়ায় আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। প্রশাসন জানিয়েছে, আগামী মাসে ফের বৈঠকের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বৈঠকে কমিটির তরফে জমির পর্যাপ্ত দাম, পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি-সহ ৯ দফা দাবি পেশ করা হয়। রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, জমির বাজার দর তো দেওয়া হবেই, তার উপরে আরও ৬০ শতাংশ টাকা দেওয়া হবে। পরিবার পিছু ১ জনের চাকরির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিবেচ্য বলে আলোচনায় অংশগ্রহণকারী অফিসারেরা জানিয়ে দেন। তখনই কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের দাবি মতো ক্ষতিপূরণ না দিলে চাষিরা এক ইঞ্চিও জমি অধিগ্রহণ করতে দেবেন না। পরে রেলের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলের তরফে জে কে শর্মা বলেন, “চাষিদের দাবির কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেব। ক্ষতিপূরণ নিয়ে চাষিদের সঙ্গে রেল-কর্তৃপক্ষের শীঘ্রই বৈঠক হবে। আশা করছি, সেখানেই সমস্যার সমাধান হবে।”

অবস্থানে বিবাদ
চোপড়ার ঝড় ও শিলাবৃষ্টির জেরে তৈরি পরিস্থিতিকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি তুলে সরব হয়েছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস। এই দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ করতে গিয়ে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়লেন কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতারা। সোমবার চোপড়া ব্লক দফতর চত্বরে দুই জোট শরিক আলাদা আলাদা ভাবে বিক্ষোভ দেখায়। তবে কাউকে অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। বিডিও অতনু কুমার মন্ডল বলেন, “দুই পক্ষই অবস্থান বিক্ষোভের জন্য আবেদন করছিল। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আবেদন মঞ্জুর করেনি।” এদিনের অবস্থান বিক্ষোভ ভেস্তে যাওয়ার পিছনে তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ি দায়ী করেছে কংগ্রেস। দলের ব্লক সভাপতি অশোক রায় বলেন, “একই দিনে তৃণমূল ইচ্ছাকৃতভাবে আবেদন করে।” অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা হামিদূল রহমান বলেন, “জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবিতে আমাদের বিক্ষোভ চলছিল। কংগ্রেস নেতা, সাংসদের তো কিছুই করছেন না।”

ঝড়ে ক্ষতি দিনহাটায়
ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে কোচবিহারের দুই মহকুমায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৩ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছে প্রশাসন। রবিবার বিকালে জেলার দিনহাটা মহকুমায় ব্যাপক ঝড় হয়। প্রশাসন সূত্রেই জানা যায়, দিনহাটা ১ ও ২ এবং সিতাই ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায় ৯ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্তত ৫০০ হেক্টর জমির বোরোধান,পাট ও সবজি খেতের ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের দাপটে দিনহাটার বহু গাছ ভেঙে পড়ে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। সোমবার শহরে পানীয় জলের সরবরাহও বিঘ্নিত হয়। দিনহাটার মহকুমা শাসক অগাস্টিন লেপচা বলেন, “প্রাথমিক ভাবে ঘরবাড়ি ও কৃষি মিলিয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ১৩ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে।” শনিবার রাতে জেলার তুফানগঞ্জ মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তুফানগঞ্জের মহকুমা শাসক পালদেন শেরপা জানান, মহকুমার অন্তত নয় শতাধিক বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ২৫০ হেক্টর জমির ভুট্টা ও ১৫০ হেক্টর জমির পাট খেত পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

হেরিটেজ ঘোষণার দাবি
দিনহাটার গীতালদহে বুড়ি ধরলার ওপর তৈরি শতাব্দী প্রাচীন রেল সেতুকে হেরিটেজ ঘোষণার দাবিতে পথে নামল ছাত্রছাত্রীরা। সোমবার দুপুরে গীতালদহ ও ওকরাবাড়ি এলাকায় পৃথকভাবে এক হাজারের বেশি পড়ুয়া ও স্থানীয় বাসিন্দারা ওই দাবিতে মিছিল করেন। পরে ওই দুটি মিছিল ফকিরের তকেয়ায় মিলিত হন। সেখানে একটি পথসভাও হয়। মিছিলের উদ্যোক্তাদের অন্যতম দিনহাটা নাগরিক মঞ্চের আহ্বায়ক জয়গোপাল ভৌমিক বলেন, “গীতালদহ-মোগলহাট হয়ে ওই সেতু পেরিয়ে ৮ ঘন্টায় কোচবিহার থেকে কলকাতা যাওয়া যেত। বাংলাদেশ হওয়ার পরে ওই রুট বন্ধ হলেও ১৯০২ সালে তৈরি ওই সেতুটি নানা ইতিহাসের সাক্ষী। সেজন্য সেতুটি হেরিটেজ ঘোষণা করে সংরক্ষণের দাবি তোলা হয়েছে।”

বকেয়া চেয়ে তালা
৬ মাসের বকেয়া না পেয়ে সিডিপিও-র দফতরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, সহায়িকা। মালদহের চাঁচল-১ সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প অফিসে সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে। চাঁচলের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অরুণ ঘোষ বলেন, “সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই সমস্যা মিটে যাবে। কর্মীদের তা বোঝানো হয়েছে।” প্রশাসন ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সূত্রে জানা যায়, কর্মীদের ষান্মানিক ভাতা বেড়েছে। বর্তমানে বর্ধিত হারে সাম্মানিক পেলেও ভাতা বাড়ার পরে ৬ মাসের বকেয়া। গত আর্থিক বছরেই তা মেটানোর আশ্বাসের পরেও সমস্যা মেটেনি।

৩ ঘণ্টা অবরোধ
স্কুলগামী প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের দাবিতে ৩ ঘণ্টা ধরে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্রছাত্রীরা। মালদহের রতুয়া স্টেডিয়ামের সামনে ভালুকা-মালদহ রাজ্য সড়ক অবরোধ করে ওই বিক্ষোভের ঘটনাটি ঘটে। বিক্ষোভ দেখায় রতুয়া হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। পরে প্রশাসনের কর্তাদের আশ্বাস পেয়ে দুপুর ২টায় অবরোধ তুলে নেয় পড়ুয়ারা। ভারপ্রাপ্ত মহকুমশাসক অশোক সরকার বলেন, “জয়েন্ট বিডিও গিয়েছিলেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, রাজ্য সড়ক থেকে স্কুল পর্য়ন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে।

গ্রেফতার প্রতিবেশী
নাবালিকা অপহরণের অভিযোগে প্রতিবেশী যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃতাকেও। সোমবার পুলিশ মালদহের রতুয়ার শ্রীপুর থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম অনুপ দাস। শনিবার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবেশী নাবালিকাকে ওই যুবক অপহরণ করে বলে অভিযোগ।

অভিযোগ
আবাসিক নয় এমন ৯ জন মহিলাকে অনৈতিক ভাবে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী হিসেবে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। আন্দোলনে নেমেছেন চার হোম আবাসিক। বিডিও সৌমেন মাইতি জানান, এদিন আন্দোলনকারীরা অনশনে বসবার জন্য বিডিও অফিসে যান। আলোচনার আশ্বাসে তাঁরা আন্দোলন স্থগিত রাখেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.