|
|
|
|
থামেই না দু’টি ট্রেন, ক্ষুব্ধ চাঁচল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
এনজেপিগামী দুটি নতুন ট্রেন (ডিএমইউ) চালু হলেও সামসি, হরিশ্চন্দ্রপুরে স্টপ না থাকায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে চাঁচলের ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের মধ্যে। দ্রুত ওই দুটি ট্রেনের স্টপেজ চালু না হলে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির তরফে লাগাতার রেল অবরোধের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ী, বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ব্যবসা সংক্রান্ত কাজ সহ নানা কাজে চাঁচল মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিনই বহু মানুষ শিলিগুড়িতে যাতায়াত করেন। এনজেপি যাওয়ার জন্য মহকুমার বাসিন্দাদের ট্রেন ধরতে হয় সামসি, হরিশ্চন্দ্রপুর, ভালুকা রোড স্টেশন এলাকায়। অধিকাংশ বাসিন্দাই সকালে শিলিগুড়ি গিয়ে কাজ সেরে রাতে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু সকালে সরাসরি এনজেপি যাওয়ার কোনও ট্রেন না থাকায় ট্রেন পাল্টাতে হয়। দুই মাস আগে রেল বুনিয়াদপুর ও বালুরঘাট থেকে এনজেপি যাওয়ার ওই দুটি লোকাল ট্রেন চালু করে। ট্রেন চালু হলেও তাতে ৩টি স্টেশনের কোনওটির স্টপেজ নেই। উত্তর মালদহের সাংসদ মৌসম বেনজির নূরও বলেছেন, “সামসি, হরিশ্চন্দ্রপুরে ওই দুটি ছাড়াও আরও কয়েকটি এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজের জন্য চেষ্টা করছি।” উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহারের এডিআরএম গোপাল কুমার বলেছেন, “দুটিই লোকাল ট্রেন। সব স্টেশনেই স্টপেজ থাকার কথা। বিষয়টি দেখছি।” রেল সূত্রে জানা যায়, দুটি ট্রেনের মধ্যে একটি বালুরঘাট স্টেশন থেকে সপ্তাহে চারদিন ছাড়ে। বাকি দুইদিন ছাড়ে বুনিয়াদপুর স্টেশন থেকে। বৃহস্পতিবার ছাড়া বাকি ছয় দিনই সকাল সাড়ে ছটায় এনজেপি যায়। ফের বিকালে এনজেপি থেকে ছেড়ে আসে ওই ট্রেন। একলাখি ও বিহারের বারসোই স্টেশনের মাঝে কোথাও স্টপেজ রাখা হয়নি। ব্যবসায়ী ও নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, এখন সামসি, হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস ধরে বারসোই এবং সেখান থেকে অন্য ট্রেন ধরে শিলিগুড়ি যেতে হয়। অনেকটাই সময় নষ্ট হয়। আর দিনে দিনে ফেরা কঠিন হয়ে পড়ে। সামসি ও চাঁচল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক প্রবীর চৌধুরী ও প্রাণগোপাল পোদ্দার বলেন, “দুটি ট্রেনের স্টপ থাকলে শিলিগুড়ি যাতায়াত অনেক সহজ হয়ে যেত। প্রয়োজনে আন্দোলনে নামব।” |
|
|
|
|
|