|
|
|
|
বনধ প্রত্যাহারে অশোকের আর্জি,
পাহাড়ে ভোট চায় সিপিএম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
পাহাড়-সমতলে শান্তির পরিবেশ ফেরাতে যত দ্রুত সম্ভব দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদের আওতায় থাকা এলাকাতেই গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) ভোট করানোর আর্জি জানাল সিপিএম। সোমবার শিলিগুড়িতে দলীয় অফিসে সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য এ কথা জানান। পাশাপাশি, আগামী ১৮ এবং ১৯ এপ্রিল মোর্চা নেতৃত্বাধীন যে যৌথ মঞ্চ তরাই-ডুয়ার্সে বন্ধের ডাক দিয়েছে চা প্রত্যাহারের জন্যও অনুরোধ করেছেন অশোকবাবু। তিনি বলেন, “দ্রুত জিটিএ-র ভোট করাতে হবে। ডিজিএইচসি এলাকার মধ্যেই ওই ভোট হওয়া দরকার। তা হলে তরাই-ডুয়ার্সে অশান্তির পরিবেশের আশঙ্কা থাকবে না। আমরা মোর্চাকেও অনুরোধ করব বন্ধ থেকে বিরত থাকার জন্য।” পাশাপাশি, কেন এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হল সেই প্রশ্নে তাঁদের সময়ে রাজ্য সরকার পাহাড় সমস্যার সমাধানে কোন বিষয়গুলি মাথায় রেখেছিল সেই ব্যাখাও দিয়েছেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা যখন মোর্চা সঙ্গে কথা বলেছি, সেই সময়ে অন্য একটি দলের দিল্লির একজন শীর্ষ নেতা আমাদের তরাই-ডুয়ার্সের কিছু এলাকা অন্তর্ভুক্তির দাবি খতিয়ে দেখার জন্য কমিটি গড়ার অনুরোধ করেন। তা নিয়ে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা বলি। বুদ্ধবাবু আমাকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, ওই ধরনের কমিটি করলেই নানা অশান্তির সূত্রপাত হবে। পরিবেশ অস্থির হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। সে জন্য কমিটি গড়ার প্রস্তাব সে সময়ে মানা হয়নি। তৃণমূল নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ওই কমিটি গড়ার পরে কী হচ্ছে তা সকলেই বুঝছেন।” এমতাবস্থায় সমস্যার সমাধানের রাস্তা খোঁজার পরিবর্তে কংগ্রেস ও তৃণমূল ‘চালাকির রাজনীতি’ করছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন পুরমন্ত্রী। তাঁর যুক্তি, “কেন্দ্রে এবং রাজ্যে কংগ্রেস ও তৃণমূলই ক্ষমতা ভাগাভাগি করে রয়েছে। এখানেও মৌজা অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করে কংগ্রেসের একটি অংশ যখন আন্দোলন করছে তখন রাজ্য সরকার বন্ধ প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে বৈঠক করছে।” পুরমন্ত্রীর অভিযোগ, “এটাই চালাকির রাজনীতি। এর ফলেই উত্তেজনা বাড়ছে। কংগ্রেস ও তৃণমূল পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে তরাই ও ডুয়ার্সে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে।” এই ব্যাপারে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন গৌতম দেব বলেন, “রাজ্য সরকার পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখতে যথাযথ পদক্ষেপ করছে। রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে কুড়ি বছর মন্ত্রিত্ব করা একজন রাজনৈতিক নেতা কী মন্তব্য করছেন তা নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না।” অন্যদিকে, আইএনটিইউসি’র দার্জিলিং জেলা সভাপতি অলক চক্রবর্তী সিপিএমের বিরুদ্ধেও ‘চালাকির রাজনীতি’ করার পাল্টা অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, “গোর্খা পার্বত্য পরিষদকে ১৮টি মৌজা দেওয়ার সময়েই বামফ্রন্ট সরকার চালাকির রাজনীতি করছে। তখন সাধারণ মানুষের মতামত যাচাই করা হয়নি। বর্তমান রাজ্য সরকারও বামফ্রন্ট সরকারের দেখানো পথে পাহাড়ের সমস্যা মেটাতে গিয়ে এই এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করছেন। আমরা তারই প্রতিবাদ করেছি।” |
|
|
|
|
|