স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জীবনালেখ্য নিয়ে বিধানসভা চত্বরে সংগ্রহশালা তৈরি করতে চান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভায় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখোপাধ্যায়ের তৈলচিত্র উন্মোচন-অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়ে বিমানবাবু বলেন, “সংসদে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জীবন নিয়ে চর্চার জন্য সংগ্রহশালা রয়েছে। তাঁদের আত্মত্যাগ নিয়ে তথ্যচিত্রও দেখানো হয়। এখানে তেমনই সংগ্রহশালা তৈরির জন্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের পাশাপাশি শরিক দল কংগ্রেস এবং বিরোধী দল বামফ্রন্টের মতামত নেব। তার পর প্রস্তাব পাঠাব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।”
এ দিনের অনুষ্ঠানে তিনি আসবেন বলে সোমবার আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের তৈলচিত্র উন্মোচন মঞ্চেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তিনি এ দিন আসেননি। প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর তৈলচিত্র উন্মোচন করেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থবাবু বলেন, “সোমবার দিল্লিতে থাকার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। ফলে এ দিন বিধানসভায় আসতে পারবেন না ধরে নিয়ে আমাকেই অজয়বাবুর তৈলচিত্র উন্মোচনের দায়িত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী। অবশ্য এই সিদ্ধান্তটা হয়েছিল প্রফুল্লচন্দ্র সেনের তৈলচিত্র উদ্বোধনের পরে।” মুখ্যমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত অবশ্য দিল্লি বা বিধানসভা কোথাওই যাননি। তিনি ছিলেন মহাকরণে।
স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জীবনযাপন, তাঁদের আদর্শে নতুন প্রজন্মকে ‘উদ্বুদ্ধ’ করার কোনও উদ্যোগ এ রাজ্যে নেই বলে অভিযোগ করে বিমানবাবু বলেন, “অনেক তুচ্ছ ঘটনা সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় স্থান পায়। অথচ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জীবন নিয়ে দু-চার লাইনও লেখা হয় না!” স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জীবনী, তাঁদের তিতিক্ষার ইতিহাস তুলে ধরে নতুন প্রজন্মকে দিশা দেখানো সম্ভব বলে তাঁর মত। বিমানবাবুর কথার রেশ ধরেই পার্থবাবু বলেন, “রাজনীতিতে এসেও বিভিন্ন স্বাধীনতা সংগ্রামী কী ভাবে অতি সাধারণ জীবনযাপন করেছেন, তা এখনকার রাজনীতির মানুষদের শিক্ষণীয়।” |