টুকরো খবর
অস্বাভাবিক মৃত্যু বধূর, ধৃত শ্বশুর-শাশুড়ি
এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুরের রায় গেট এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম কাকলি সরকার (২২)। সোমবার সকাল দশটা নাগাদ শ্বশুরবাড়িতে শোওয়ার ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কাকলিদেবীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শ্বশুর নারায়ণ সরকার ও শাশুড়ি নমিতাদেবীকে গ্রেফতার করেছে। ব্যারাকপুরের এডিসি বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘একটি খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ তবে এই ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্ত মৃতার স্বামী সুবীর ও তাঁর ভাই প্রবীর সরকার পলাতক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে শ্যামনগরের বাসিন্দা কাকলিদেবীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বিএসএফ কর্মী সুবীরবাবুর। বিয়ের পর থেকেই কাকলিদেবীর উপর পণের দাবিতে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চালানো হত বলে অভিযোগ। এ দিন সকালে কাকলিদেবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার পরে উত্তেজিত জনতা সুবীরবাবুর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। একটি মোটরবাইক জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে পুলিশের সামনেই নারায়ণবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এরপরেই বিশাল বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এসিপি ব্যারাকপুর (১) জ্যোতির্ময় রায়। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে দাদাকে খুনে অভিযুক্ত ভাই
দাদাকে খুনের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার মহকুমার রায়দিঘির দক্ষিণ মেনা গ্রামের ওই ঘটনায় ধৃত গৌরাঙ্গ হালদারকে সোমবার ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কঙ্করপ্রসাদ বাড়ুই বলেন, “গ্রামবাসী এবং পুলিশের কাছে দাদাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে গৌরাঙ্গ। বাবার সমস্ত সম্পত্তি দাদা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে এই সন্দেহে ই সে খুন করেছে।” স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাড়ির জমিজমা ছাড়া সেচের পাম্প দেখাশোনা করত গোপালবাবু। পাম্প সারাইয়ের কাজ করত গৌরাঙ্গ। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে গৌরাঙ্গর চিৎকার শুনে এলাকার মানুষ কিছুটা দূরে খেতের কাছে গিয়ে দেখেন গোপাল হালদারের (২৮) দেহ পড়ে আছে। পরে গ্রামবাসীদের জেরায় দাদাকে খুন করার কথা স্বীকার করে গৌরাঙ্গ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।

বধূর দেহ উদ্ধার, স্বামী ধৃত
গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগানো এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের নারায়ণপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত বধূর নাম রেখা দাস জানা (১৮)। এই ঘটনায় রেখাদেবীর বাবা বীরেন্দ্র দাস মেয়ের স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মেয়েকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী জয়ন্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিরা পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃতকে সোমবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাগরের কয়লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রেখাদেবীর সঙ্গে মাসখানেক আগে কাকদ্বীপের নারায়ণপুরের বাসিন্দা এবং ওষুধ দোকানের কর্মী জয়ন্ত জানার বিয়ে হয়েছিল। বিয়েতে বরপক্ষের চাহিদামত পণ দেওয়া সত্ত্বেও আরও পণের জন্য তাঁর মেয়ের উপরে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অত্যাচার করত বলে বীরেন্দ্রবাবুর অভিযোগ। রবিবার বিকেলে বাড়িতে কেউ ছিলেন না। গ্রামবাসীরাই ঘরের মধ্যে রেখাদেবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে।

সংঘর্ষ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর
মদ খাওয়া এবং মেলায় জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে দু’টি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংগর্ষে চলল গুলি। গুলিতে এবং দায়ের কোপে জখম হয়েছে তিনজন। সংঘর্ষ থামাতে গেলে আক্রান্ত হয় পুলিশও। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় র্যাফের টহলের ব্যবস্থা হয়েছে। ঘটনাটি গত শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার। পুলিশ জানিয়েছে, হরপুকুর ও হাড়োয়া থানার দক্ষিণ বেহালা গ্রামের কয়েক জন বাসিন্দার মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। মেলায় জুয়া খেলা নিয়ে এক যুবকের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে বিবাদের সূত্রপাত।

দুর্ঘটনায় মৃত প্রৌঢ়া
লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল প্রৌঢ়ার। নাম উজ্জ্বলা রুইদাস (৬৫)। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামনগরের কড়াঘাটায়। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় রামনগরের ভাদুরা মোড়ের কাছে রাস্তা পার হওয়ার সময় ওই প্রৌঢ়াকে লরি ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় উজ্জ্বলাদেবীর।

মৃতদেহ উদ্ধার
এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হল। সোমবার, আগরপাড়ার বাসন্তী কটন মিলের ভিতরে একটি পুকুর থেকে। মৃতের নাম মুকেশ শ্রীবাস্তব (২২)। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কটন মিলটি দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ। তারই কর্মী আবাসনে থাকতেন মুকেশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁর মৃগী রোগও ছিল। পুলিশের অনুমান, পুকুরে পড়ে গিয়েই মুকেশের মৃত্যু হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.