কয়েক মাস আগে ছেলেটা যখন ভারতীয় দলে ছিল, আমি ওর কথা বলেছিলাম মনে আছে। আজিঙ্ক রাহানের মধ্যে সম্ভাবনা আছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কিছু দিন ধরে পারফরম্যান্স করে আসছে এবং সেই পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা আছে। ফ্রন্টফুট-ব্যাকফুটে সমান দক্ষ, ওর খেলাটা বেশ জমাট। ওর প্রতি নির্বাচকদের সব সময় নজর থাকা উচিত। ভারতীয় ক্রিকেট এখন একটা পুনর্গঠনের স্তর দিয়ে যাচ্ছে এবং রাহানের মতো ক্রিকেটারকে এর সুযোগ নিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে ওর সেঞ্চুরি ওকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। অভিনন্দন আজিঙ্ক।
আজিঙ্ক আর ওয়েইশ শাহের দুটো ইনিংস রাজস্থানকে জিতিয়ে দিল বেঙ্গালুরু ম্যাচটা। অন্য দিকে কলকাতা কিংসদের বিরুদ্ধে ম্যাচটা অল্পের জন্য হারল। প্রথম ম্যাচে ইডেন পিচটা ভাল লেগেছিল, কিন্তু গত ম্যাচে দেখলাম উইকেটের অবস্থা গত বছরের মতোই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য ইডেনের উইকেট উপযুক্ত নয়। এখানে টস জেতাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে এবং আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন, কম রানের ম্যাচ হবেই। কেকেআর-এ যখন এত ভাল ভাল হিটার আছে, ভাল, শক্ত ব্যাটিং উইকেটে খেললেই ওরা ভাল করবে।
এখন প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ এবং টুর্নামেন্ট শুরুর প্রথম দিন থেকে আমি বলে আসছি এ বারের আইপিএল হবে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। এটা টুর্নামেন্টের পক্ষে খুব ভাল লক্ষণ, কারণ এতে ক্রিকেটপ্রেমীরা উৎসাহিত হবেন। টিমগুলো সব সময় চাপে থাকবে। এই বছরের আইপিএল হয়তো টুর্নামেন্টটাকে পরের স্তরে পৌঁছে দেবে।
চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জিতে আমরা এখন যাচ্ছি দেশের দক্ষিণে। খেলতে হবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে। পুণেতে ঘরের মাঠে জেতাটা দারুণ ছিল। কিংসদের কাছে অ্যাওয়ে ম্যাচে হারের পর নিজেদের পারফরম্যান্সটা আবার তুলে আনার জন্য ছেলেদের পিঠ চাপড়ানি প্রাপ্য। পুণের দর্শকদের আলাদা অভিনন্দন প্রাপ্য। যেমন বলতে হবে কিউরেটর ও গ্রাউন্ডসম্যানদের কথাও। এটা আদর্শ টি-টোয়েন্টি উইকেট যেখানে ব্যাটসম্যান শট খেলতে পারে সব সময়।
চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে সব কিছু ছিল প্ল্যানমাফিক। তাই চেন্নাই ভাল শুরু করার পরেও আমরা ম্যাচ থেকে হারিয়ে যাইনি। দুর্দান্ত বল করে আমাদের ম্যাচে ফেরায় দিন্দা আর আশিস। রান তাড়াটা আমরা ভালই করছিলাম। কিন্তু পরপর তিনটে উইকেট হারানোয় ছন্দ চলে গিয়েছিল। তার পর চলল জেসি-স্টিভ শো। জেসি পরিণত মাথার ছেলে। কিন্তু আলাদা করে বলব তরুণ স্টিভের কথা। ভয়ডরহীন ছেলে। প্রথম আইপিএলের পর যে ভাবে শেন ওয়াটসন তারকা হয়ে উঠেছিল, এ বার সেই জায়গাটা নেবে স্টিভ স্মিথ।
ঘরের মাঠে আরসিবি সহজ প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। টিমে ভারী ভারী নাম আছে। কিন্তু ওরাও জানে মাঠে কাজটা করতে হবে। বেঙ্গালুরুর খুব ভাল স্মৃতি আমার রয়েছে। এখানেই আমার প্রথম টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরি এবং সর্বোচ্চ স্কোর পাকিস্তানের ভাল আক্রমণের বিরুদ্ধে। আরসিবি ঘুরে দাঁড়াতে চাইবেই। আর আমাদের কাজ হবে নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলা। এবং প্ল্যানমাফিক এগোনো। দল হিসাবে আমরা এখন সুসংহত। এই ছন্দটা ধরে রাখতে হবে। টুর্নামেন্টের মাঝামাঝি এসে পৌঁছেছি। এবং এখনও পরিষ্কার নয় লিগ তালিকায় প্রথম দিকে কারা থাকবে। কারা ফেভারিট। সে জন্যই লিগের এই পর্যায়ে যেখান থেকে পারা যায় পয়েন্ট কুড়োতে হবে। |