হাত-পায়ে কয়েকটি ক্ষত নিয়ে ধানখেতে পড়ে থাকা এক তৃণমূল কর্মীর কিশোর পুত্রকে রবিবার রাতে গোঘাটের লয়লা গ্রামের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার করে আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করালেন গ্রামবাসীরা। তার বাবা এই ঘটনায় সিপিএমের এক নেতা-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন থানায়। সিপিএম অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে, ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আহত বিলাস রায় নামে ওই কিশোর বাজুয়া হাইস্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ে। বাড়ি মদিনা গ্রামে। রবিবার সন্ধ্যায় সে সাইকেল নিয়ে বেঙ্গাই বাজারে জিনিসপত্র কিনতে যায়। সাড়ে ৮টা নাগাদ তাঁকে উদ্ধার করেন গ্রামবাসীরা। পাশেই পড়ে ছিল তার সাইকেল। হাসাপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতের ক্ষত গভীর নয়।
সোমবার বিলাস বলে, “বাড়ি ফেরার পথে পাঁচ জন আমাকে ঘিরে ধরে মুখ গামছা দিয়ে ঢেকে দেয়। কোনও কথা না বলে মাঠে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। তার পরে ব্লেড দিয়ে হাত-পা চিরে দেয়। কাউকে চিনতে পারিনি।” তার বাবা, তৃণমূল কর্মী শম্ভুনাথ রায় রাতেই পুলিশের কাছে ওই অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, “গ্রামে সিপিএমের অত্যাচার বন্ধ করে দেওয়ায় ওরা এ ভাবে প্রতিশোধ নিতে চাইছিল। ছেলে ফোন করে আমাকে ওর উপরে হামলার খবর দেয়।” মদিনারই বাসিন্দা, সিপিএম নেতা তথা হুগলির জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইয়াসিন বলেন, “ওই ঘটনায় মিথ্যা আমাদের নাম জড়িয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে। ঘটনায় রাজনীতি বহির্ভূত কোনও কারণ রয়েছে বলেই আমাদের বিশ্বাস।” |