নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বালি পুরসভায় ঢুকে এক কর্মীকে টেনে রাস্তায় এনে বেধড়ক মারধর করা হল সোমবার বিকেলে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কিছু কর্মী-সমর্থকের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে। ওই ঘটনার পরেই পুরসভার সম্পত্তি এবং সেখানকার কর্মীদের জন্য নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন জানা ওই পুরসভার চেয়ারম্যান, সিপিএমের অরুণাভ লাহিড়ী।
পুর চেয়ারম্যান বলেন, “এর আগেও ওরা নানা ভাবে ঝামেলা করেছে। কিন্তু কর্মীকে টেনে বার করে মারধরের পরে আর নিশ্চিন্ত থাকা যাচ্ছে না। তাই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি। অফিসে নিরাপত্তা চেয়েছি। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানাব।” হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (সদর) নিশাদ পারভেজ অবশ্য বলেন, “পুর-কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এখনও কোনও লিখিত আবেদন পাইনি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
কী ঘটেছিল এ দিন?
পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন বিকেলে চেয়ারম্যানের কাছে পুরসভার সিটু কর্মী সংগঠনের ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। সেই সময় সুমিত গোস্বামী নামে এক সিটু কর্মী পুরসভার ভিতরেই ডেপুটেশন দেওয়ার প্রস্তুতি চালাচ্ছিলেন। তখনই কয়েক জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক তাঁকে রাস্তায় বার করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তাঁকে বেদম মারধর করতে থাকে। প্রতিবাদ করায় পুরসভার এক মহিলা কর্মীকেও হেনস্থা করে হামলাকারীরা। পুরসভার অন্য কর্মীরা বেরিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পুরসভার তরফে বালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অরুণাভবাবু বলেন, “এক তৃণমূল কাউন্সিলরও ঘটনাটি দেখেছেন। প্রতিবাদ করেছেন তিনিও।”
শামা পারভিন নামে ওই তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, “আমাদের কিছু কর্মী ও সমর্থক এই ঘটনায় জড়িত। কর্মীরা হামলাকারীদের এক জনকে ধরে ফেলেছিলেন। তবে আমি তাকে চিনি না।”
তৃণমূলের বালি কেন্দ্রের সভাপতি তপজিল আহমেদ অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “আমাদের এক কর্মী কৃষ্ণ ধর পুরসভায় কাজে গিয়েছিলেন। তাঁকেই ধরে বেধড়ক মারধর করেছে সুমিত। থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।” |