সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্তদের এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। এই ঘটনায় তিনি লজ্জিত, এমনটাই জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। সোমবার বর্ধমানে পুলিশ সুপারের অফিসে দাঁড়িয়েই তিনি বলেন, “হাসপাতালে সাংবাদিকদের উপরে হামলায় অভিযুক্তদের পুলিশ এখনও ধরতে পারেনি। তাতে সরকারের জোট সঙ্গী হিসেবে আমি লজ্জিত।” পাশাপাশি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে গ্রেফতারের ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “এই সরকার মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে।”
এ দিন রায়নার শ্যামদাসবাটি গ্রামে এক কর্মিসভায় যোগ দেন প্রদীপবাবু। সেখানে তিনি জানান, পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের জোট হবে কি না, তা স্থির করবেন দলের স্থানীয় কর্মীরাই। তিনি বলেন, “গ্রামের কংগ্রেস কর্মীরাই ঠিক করবেন, তাঁরা পঞ্চায়েত ভোটে একলা চলবেন, না তৃণমূলের সঙ্গে জোট করবেন। যদি তাঁরা একলা চলতে চান, আমাদের আপত্তি নেই।” |
এ দিন রায়নার যে গ্রামে কংগ্রেসের ব্লক সম্মেলন হয়, সেখানকার বাসিন্দা তথা এআইসিসি সদস্য প্রয়াত সুনীল দাসের পরিবারের কাউকে ডাকা হয়নি। সুনীলবাবুর মেজো ছেলে, আইএনটিইউসি নেতা প্রসেনজিৎ দাস এ দিন বলেন, “আমরা পরিবারের সকলে কংগ্রেস করি। তবু কেন ডাক পেলাম না, জানি না।” জেলা কংগ্রেস নেতা কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই ঘটনা দুঃখজনক। কেন এমন হয়েছে, খতিয়ে দেখব।” |