ছেলেকে পিটিয়ে মারার অভিযোগে মাকে জেল হাজতে পাঠাল আদালত। কিন্তু সোমবার রাত পর্যন্ত সৎ বাবার খোঁজ মিলল না।
শিক্ষকের মোবাইল চুরি করে গ্রামের এক জনকে বিক্রি করার অভিযোগ ওঠায় ছেলেকে মারধর করেছিলেন বাবা-মা। শনিবার রাতে ভাতারের ভুমসোর গ্রাম থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে সেখানেই মৃত্যু হয় মনিরুল শেখ (১২) নামে ওই বালকের। স্থানীয় বামসোর হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। রবিবার মৃতদেহের ময়না-তদন্ত হয়। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার টিউশন পড়তে গিয়ে মনিরুল প্রাইভেট টিউটর আমিরুল শেখের মোবাইল চুরি করে মাত্র একশো টাকায় গ্রামের আলি শেখের কাছে বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে গ্রামে হইচই শুরু হতে আলি বলেন, তিনি মনিরুলের কাছ থেকে মোবাইল কিনেছেন। গ্রামের লোকজন এই ঘটনার কথা মনিরুলের বাড়িতে জানালে তার মা আশা বিবি মনিরুলকে একটি ঘরে আটকে রেখে দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী মুকুল শেখকে খবর দেন। মনিরুল আশা বিবির প্রথম পক্ষের সন্তান। অভিযোগ, মুকুল বাড়িতে এসে মনিরুলকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করেন। গুরুতর জখম অবস্থায় মনিরুলকে প্রথমে ভাতার গ্রামীণ হাসপাতাল, পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শনিবার রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
প্রতিবেশী আলম শেখের অভিযোগের ভিত্তিতে আশা বিবিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার আগেই অবশ্য মুকুল পালিয়ে যান। সোমবার আশা বিবিকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন সিজেএম ইয়াসমিন আহমেদ। |