স্কুলের পরিচালন সমিতির ভোটে সিপিএমকে মনোনয়ন তুলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানা এলাকার এমএএমসি মডার্ন হাইস্কুলের ঘটনা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তবে মনোনয়ন না তুলেই ফিরে যান সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা। তৃণমূল অবশ্য বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ ও স্কুল সূত্রে জানা যায়, ২৯ এপ্রিল ওই স্কুলে পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন হওয়ার কথা। মনোনয় তোলা ও জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৯ এপ্রিল। ১৩ এপ্রিল সিপিএমের চার প্রার্থী মনোনয়ন পত্র তুলেছিলেন। কিন্তু কিছু ত্রুটি থাকায় সেগুলি বাতিল হয়ে যায়। সোমবার তাঁরা ফের মনোনয়ন তুলতে আসেন। অভিযোগ, স্কুলে ঢোকার আগেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। সিপিএম নেতা বিনয়কৃষ্ণ চৌধুরীর অভিযোগ, “শুধু আটকে দেওয়াই নয়, লাঠি নিয়ে তেড়েও আসে দুষ্কৃতীরা। টানা-হ্যাঁচড়াও করা হয়।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, ১৩ এপ্রিল তাঁদের চার প্রার্থীর তোলা মনোনয়ন পত্র ‘কৌশলে’ বাতিল করে দেওয়া হয়। এ দিন ফের গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। বিনয়বাবুর দাবি, “এ ভাবেই মনোনয়ন তোলার দিন পার করে দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতার পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল।” স্কুল থেকে কিছুটা দূরেই থানা। অশান্তির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকা ফাঁকা করে দেয়। এমনকী একটি গাড়ি থেকে বেশ কয়েকটি লাঠিও উদ্ধার করা হয়। তখন স্কুল চলছিল। বেশ কিছু ক্লাসঘরের জানালা থেকে খুদে পড়ুয়ারা উঁকি দিতে থাকে। বেশ কিছু অভিভাবক বলেন, “নির্বাচন না মিটলে ছেলেকে আর স্কুলে পাঠাব না ভাবছি।” |
তৃণমূল অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “সামান্য উত্তেজনা ছিল। তবে সিপিএমের প্রার্থীদের বাধা দেওয়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি। পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাওয়ায় এখন এ সব বড় করে দেখাতে চাইছে ওরা।” |