|
|
|
|
ক্ষুদ্র শিল্পের প্রসারে উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোয়ালতোড় |
পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলাকীর্ণ গোয়ালতোড় ব্লকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প গড়ে তোলায় উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। উদ্দেশ্য, ‘পিছিয়ে পড়া’ এই এলাকার মানুষ যাতে সরকারি সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের শিল্পে পারদর্শী হয়ে স্বাবলম্বী হতে পারেন। যে-সব শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে, তার কাঁচামাল স্থানীয় ভাবেই পাওয়া যায়। রয়েছে জমিও। এত দিনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শিল্পকেন্দ্রের উদ্যোগে এলাকায় দফায়-দফায় শিবির করে মানুষজনকে শিল্প গড়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করার কাজ শুরু হয়েছে।
জেলা শিল্পকেন্দ্র সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে কৃষি এবং জঙ্গল-সম্পদকে ব্যবহার করেই যাতে এলাকায় ছোট-ছোট শিল্প গড়ে তোলা যায়, তার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। ইট তৈরি, চালকল তৈরি, আলুকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি, বাঁশকে ব্যবহার করে ঝুড়ি-সহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র তৈরির উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। বন থেকে মধু সংগ্রহ করে তা প্যাকেট করে বাজারজাত করা, বিভিন্ন ধরনের তেল তৈরিরও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ সবের জন্য যে-সব কাঁচামাল প্রয়োজন, তার বেশিরভাগই এলাকাতেই পাওয়া যায়। আর যা পাওয়া যায় না, তা-ও কোথা থেকে পাওয়া যাবে, তারও তথ্য জানানো হচ্ছে। বিভিন্ন শিল্পের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করবে প্রশাসন। যাঁদের জমি রয়েছে তাঁরা সেই জমিতেই শিল্প গড়তে পারেন, আর যাঁদের জমি নেই তাঁরা বাড়িতেই কী করে কারখানা গড়বেনসে ব্যাপারেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে প্রশাসন। আর শিল্প গড়ার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন, সে জন্য স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রশাসন। এ জন্য ব্লক অফিসে এসে উৎসাহীদের যোগাযোগ করতে হবে।
হঠাৎ কেন এই উদ্যোগ? ব্লক প্রশাসন সূত্রের বক্তব্য, আগে থেকেই জেলা শিল্পকেন্দ্রের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছোট-ছোট শিল্প গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে গোয়ালতোড়ে শিল্পের জন্য অনূকুল পরিবেশ থাকলেও এত দিন কিছুই হয়নি। ফলে এলাকার মানুষের আর্থিক অবস্থাও সে ভাবে ফেরেনি। ব্লকের শিল্প-উন্নয়ন আধিকারিক অসিতবরণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “সম্প্রতি গোটা ব্লক জুড়ে শিবির করে এলাকার মানুষকে জানানোর কাজ শুরু হয়েছে। তাতে সাড়া মিলছে। আগ্রহীদের সব রকম ভাবে সাহায্য করা হবে।” |
|
|
|
|
|