টুকরো খবর
সেতু নির্মাণের আশ্বাস
মাড়গ্রাম থানার ভাঙলা কাঁদরে সেতুর সমস্যা মেটাতে বুধবার অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সৌম্যজিত দাস। তিনি বলেন, “সেতুটি নির্মাণের জন্য আরআইডিএফ ১৬ প্রকল্পে টাকা অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবুও ছ’মাসের মধ্যে সেতু নির্মাণের অনুমোদন পেয়ে কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করছি। অনশণকারীদের বোঝানো হয়েছে। বিডিও-র মাধ্যমে তাঁদের লিখিত ভাবে জানিয়েছি।” অনশনকারীরা অবশ্য বলেন, “বুধবার বিকেল পর্যন্ত কোনও কাগজ পাইনি। কাগজ দেখার পরে আন্দোলন থেকে বিরত থাকব।” প্রসঙ্গত, সেতুর অভাবে দুর্দশার মধ্যে বাস করছেন মাড়গ্রাম থানার জয়চন্দ্রপুর, বাবলাডাঙা, গোপালপুর, টিঠিডাঙা-সহ দুনিগ্রাম অঞ্চলের ৭টি গ্রাম। এ ছাড়া, সংলগ্ন নলহাটি থানার শীতলগ্রাম অঞ্চলের আরও ৮টি গ্রামের বাসিন্দা-সহ মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রাম থানার বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদেরও একই অবস্থা। সেতুর দবিতে তাই তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। কাজ না হওয়ায় গত সোমবার এলাকার ১৮ জন বাসিন্দা মাড়গ্রামে রামপুরহাট ২ ব্লক প্রশাসনিক কার্যালয়ের মূল দ্বারে রামপুরহাট-বিষ্ণুপুর রাস্তার ধারে মঞ্চ খাটিয়ে ওই অনশন শুরু করেছেন। অনশন চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন দু’জন আন্দোলনকারী। তার পরেই এ দিন জেলাশাসক সৌম্যজিত দাস তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন।

কলেজে গণ্ডগোল
বিএ প্রথম বর্ষের পরীক্ষার ফর্ম পূরণকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হল রামপুরহাট কলেজে। এক ছাত্রকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ছাত্রকে রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে গণ্ডগোলের জেরে কয়েক ঘণ্টার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। কলেজে ছাত্র সংসদের ক্ষমতায় রয়েছে এসএফআই। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল ইসলামের অভিযোগ, “এ দিন সুষ্ঠু ভাবে ফর্ম পূরণের কাজ চলছিল। বহিরাগত কিছু ছাত্র এই প্রক্রিয়াকে বানচাল করতে কলেজে ঢুকে ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করে। বহিরাগতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অধ্যক্ষকে একাধিকবার বলা হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে এ দিন সাধারণ ছাত্রকে মার খেতে হল।” ছাত্র পরিষদের শ্রেণি প্রতিনিধি আলম শেখ বলেন, “চাপ সামাল দেওয়ার জন্য ছাত্রছাত্রীদের আলাদা করে দু’দিন দু’দিন ফর্ম পূরণের সময় দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তাতে চাপ সামাল দেওয়া যায় না। যার জন্য এ দিন বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।” অধ্যক্ষ শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ফর্ম পূরণের জন্য আরও সময় পেলে ভাল হত। বহিরাগতরা কলেজে ঢুকে পড়ছে ঠিকই। কিন্তু আমি কী ভাবে ব্যবস্থা নেব? একটা গণ্ডগোল হয়েছিল। তবে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”

চালকলে বিক্ষোভ
চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনে সরকার নির্ধারিত মূল্য দিচ্ছে না চালকল কর্তৃপক্ষ। এই অভিযোগে বুধবার সকালে চাকপাড়া গ্রাম সংলগ্ন একটি চালকলে বিক্ষোভ দেখালেন রামপুরহাট থানার খরুণ পঞ্চায়েতের সাতটি গ্রামের বাসিন্দারা। এমন কী তাঁরা প্রায় ঘণ্টা চারেক ওই চালকলে তালা দিয়েছিলেন। তাঁদের দাবি, চালকল মালিক কিছু দিন ধান কিনে বন্ধ করে দিচ্ছে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া সব সময়ের জন্য চালু রাখতে হবে। এই বিক্ষোভে রামপুরহাটের আটলা, জয়রামপুর, ফরিদপুর, মালসা, চাকপাড়া, ডাঙাল, ছাতমা গ্রামের চাষিরা যোগ দিয়েছিলেন। বাসুদেব সরকার, ভক্ত সরকার, লাল্টু মণ্ডলদের অভিযোগ, “চাকপাড়া গ্রাম সংলগ্ন একটি চালকলের মালিক ধান ওজন করার পরে জানান, বেশকিছু ধান খারাপ আছে বলে বাতিল করে দিচ্ছে। গত সোমবার এক চাষির সঙ্গে এই নিয়ে বচসা হয়। তাই এ দিন তালা দিয়ে দেওয়া হয়।” চালকল মালিক কর্তৃপক্ষ কাল শুক্রবার বিকেলে চাষিদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য লিখিত ভাবে জানালে তালা খুলে দেন চাষিরা। চালকল মালিক দিলীপ অগ্রবাল বলেন, “চাষিদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিন মাস থেকে সরকার নির্ধারিত ১০৮০ টাকা দরে ধান কেনা হচ্ছে। একই চাষি একাধিকবার ধান বিক্রি করার জন্য আপত্তি জানিয়েছিলাম। এই নিয়ে চাষির সঙ্গে সোমবার বচসা হয়। সমস্যা মেটাতে জন্য কাল আলোচনায় বসা হবে।”

দু’টি ট্রাকের সংঘর্ষ
দুবরাজপুরে দয়াল সেনগুপ্তের তোলা ছবি।
রেলের কংক্রিটের স্লিপার বোঝাই একটি দশ চাকা ট্রাকের সঙ্গে পাথর বোঝাই একটি দশ চাকা ট্রাকের মুখোমুখি ধাক্কায় জখম হলেন দু’জন। জখম দু’জনই স্লিপার বোঝাই ট্রাকের কর্মী। সোমবার রাত দু’টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দুবরাজপুর থানা এলাকার গোপালপুরের কাছে, পানাগড়-দুবরাজপুর ১৪ নম্বর রাজ্য সড়কে। আহতদের দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কংক্রিটের স্লিপার বোঝাই ট্রাকটি গোপালপুরের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সময় দুবরাজপুরের দিক থেকে আাসা পাথর বোঝাই ট্রাকটি স্লিপারের ট্রাকে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। তবে পাথর বোঝাই ট্রাকের চালক ও খালাসি এবং দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়ি দু’টিকে আটক করেছে পুলিশ।

শিশু উদ্ধার
স্ত্রীর মৃত্যুর পরে নিজের শিশুকে এক ব্যক্তির হাতে তুলে দিয়েছিলেন বাবা। খবর পেয়ে সেই ব্যক্তির কাছ থেকে চার মাসের শিশুটিকে উদ্ধার করল বীরভূমের শিশু কল্যাণ কমিটি। বুধবার দুপুরে সিউড়িতে জেলা সমাজ কল্যাণ দফতরের কার্যালয়ে ওই পরিবারকে ডেকে পাঠিয়ে শিশুটিকে ফেরত নেওয়া হয়। কমিটির চেয়ারপার্সন সংযুক্তা ভট্টাচার্য বলেন, “সম্প্রতি ওই শিশু কন্যাটির মা মারা গিয়েছে। তার বাবা নলহাটি থানার আনাইপুর গ্রামের আতিউর খাবির শিশুটিকে মুরারই থানার কাশিমনগর গ্রামের রুহুল আমিনের পরিবারকে দেন। এ ভাবে শিশু হস্তান্তর করা যায় না। তাই তাঁদের কাছ থেকে শিশুটিকে আমাদের হেফাজতে নেওয়া হল।” তিনি জানান, সিউড়ির হোমে রাখা হবে। তারপরে তাকে দত্তক দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.