টুকরো খবর
বাইসনের হামলা, জখম দুই
ছবি তুলেছেন সন্দীপ পাল।
গরুমারার জঙ্গল থেকে বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে ঢুকে পড়া বাইসনের হামলায় জখম হলেন এক মহিলা এবং এক বনকর্মী। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ি সদর থানার বোদাগঞ্জের ঝাকুয়াপাড়ায়। জখম মহিলাকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বনকর্মীকে ভর্তি করানো হয়েছে রাজগঞ্জ ব্লক হাসপাতালে। খবর পেয়ে সুকনা থেকে এলিফ্যান্ট স্কোয়াডের রেঞ্জ অফিসার কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বনকর্মীরা ঘুমপাড়ানি গুলিতে সেটিকে কাবু করার পরে পরিস্থিতি আয়ত্বে আসে। বিকালে বাইসনটিকে শিলিগুড়ি লাগোয়া মহানন্দার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। বৈকুণ্ঠপুরের ডিএফও ধর্মদেব রাই বলেন, “পথ ভুলেই বাইসনটি ঢুকে পড়েছিল। লোকজন দেখে ঘাবড়ে গিয়ে ছোটাছুটি শুরু করায় বিপত্তি হয়।” বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, খাবারের খোঁজে গরুমারার জঙ্গল থেকে বার হয়ে পড়া পুরুষ বাইসনটি তিস্তা নদী পেরিয়ে এ দিন ঝাকুয়াপাড়ায় ঢুকে পড়ে। লোকজন দেখে ভাগড়ে গিয়ে সেটি দৌড়োদৌড়ি শুরু করে। গ্রামের একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে সেটি। শিংয়ের গুঁতোয় জখম হন আভা রায় নামে ওই মহিলা। বাইসনের সামনে পড়ে গিয়ে জখম হন নরেশ রায় নামে ওই বনকর্মীও। শেষ পর্যন্ত একটি বাঁশঝাড়ে গিয়ে সেটি আশ্রয় নেয়। সুকনা এলিফ্যান্ট স্কোয়াডের রেঞ্জ অফিসার কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “লোকজন দেখে বাইসনটি ঘাবড়ে গিয়েছিল। তবে ঘুমপাড়ানি গুলিতে সেটিকে কাবু করা গিয়েছে।”

বন্যপ্রাণী রক্ষায় আলোচনাচক্র
অসমের দশটি জেলা মিলিয়ে, মোট ৫৭৭টি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলা ঝুলে রয়েছে। ফৌজদারি মামলার মতো, দ্রুত, বন্যপাণী বা অরণ্য ধ্বংস সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে না বলে কার্যত মেনে নিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি ও আইনজীবীরা। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের কাজে আইন ও বিচারব্যবস্থার সক্রিয় সাহায্য বাড়াতে শনিবার গুয়াহাটি হাইকোর্টের সমাবেশ কক্ষে বার অ্যাসোসিয়েশন ও আরণ্যকের যৌথ উদ্যোগে এক আলোচনাচক্র অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন বেশ কিছু বিচারক, আইনজীবী ও ছাত্রছাত্রী। অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি ছিলেন বিচারপতি বি পি কাকতি। তাঁর মতে, অসমের মতো বন্যপ্রাণ ও অরণ্যসমৃদ্ধ রাজ্যে বনরক্ষীদের পাশাপাশি, আইনজীবীদেরও সক্রিয়া ভূমিকা নেওয়া উচিত। প্রাণী বিশেষজ্ঞ ফিরোজ আহমেদ ও গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রমেশ বরপাত্রগোহাঁইয়ের কথায়, বন্যপ্রাণীদের সংরক্ষণ ও ভূমিপুত্র তথা অরণ্যবাসীদের অধিকার নিয়ে যে দ্বন্দ্ব তাকে নিয়ন্ত্রণে আইনজীবী, বনকর্তা ও পশুপ্রেমীদের হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করা উচিত।

কেশপুরে হাতির হানায় মৃত ৩
হাতির হামলায় কেশপুরে মৃত্যু হল ৩ জনের। পশ্চিম মেদিনীপুরের আড়াবাড়ি রেঞ্জের জঙ্গলে কয়েকটি ‘রেসিডেন্ট’ হাতি রয়েছে। শনিবার তিনটি হাতি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে কেশপুর ও লাগোয়া এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। তাদের তাড়ানোর চেষ্টা হলে একটি হাতি জগন্নাথপুরের শেখ আইনুদ্দিনকে (৪৪) আছড়ে, পিষে মারে। দাঁতাল হাতিটি এক দিকে চলে যায়। বাকি দু’টিকে জঙ্গলে পাঠানোর চেষ্টা চলে। জঙ্গলে ঢোকার আগে বেলা-মহারাজপুর গ্রামের প্রৌঢ় ফুদন পাতরকে (৫৫) পিষে মারে তাদের একটি। ওই ২টি হাতিকে জঙ্গলে ঢোকানো গেলেও দাঁতালটি পিড়াশোল-জগন্নাথপুর এলাকায় রয়ে গিয়েছে। রাতেই হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে বকুলগঞ্জের লক্ষ্মী সোরেন (২৬) নামে এক তরুণীর।

আলোচনাচক্র
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং সিএসআইআর-এর অর্থানুকূল্যে আগামী ৬ ও ৭ মার্চ, মঙ্গল ও বুধবার, মহিষাদল রাজ কলেজে ‘জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ট্যাক্সনমি’ বিষয়ে এক আলোচনাচক্রের আয়োজন করেছে কলেজের জীববিদ্যা বিভাগ। দু’দিনই আলোচনা শুরু সকাল ১১টায়। রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, জুলজিক্যাল সার্ভে, সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ, রাজ্য বায়োডাইভার্সিটি বোর্ডের বিশেষজ্ঞেরা আলোচনায় যোগ দেবেন।

জখম চিতা উদ্ধার
উজ্জ্বল দেবের তোলা ছবি।
ফের গুয়াহাটি শহরে ঢুকে পড়ল চিতাবাঘ। তবে, এ বার সে নিজেই জখম হওয়ায় বাসিন্দাদের আক্রমণ করতে পারেনি। পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে গুয়াহাটির মালিগাঁও এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দারা, গোটানগর ডন বস্কো স্কুলের সামনের পুকুরে চিতাবাঘটিকে পড়ে থাকতে দেখেন। আগের মাসেই, এই এলাকায়, চিতাবাঘের হানায় তিন জন জখম হয়েছিলেন। ফলে, জলে চিতাবাঘ দেখে ত্রস্ত হয়ে ওঠে মানুষ। তবে, চিতাবাঘটি জল ছেড়ে উপরে ওঠেনি। পরে, পুলিশ ও বনবিভাগের কর্মীরা বহু চেষ্টার পরে, পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘটিকে জল থেকে তুলে চিড়িয়াখানায় নিয়ে যান। ডিএফও এস কে শীল শর্মা জানান, সম্ভবত চিতাবাঘটির পিঠ বা কোমরে চোট রয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.