রোগী ভর্তির পাশাপাশি চিকিৎসা, ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী বৃদ্ধির দাবিতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের ধলহরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই বিক্ষোভের জেরে বিপাকে পড়েন কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীরা।
মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্যকর্মীরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ঢোকার পরেই প্রবেশপথের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁদের অভিযোগ, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে এক জন মাত্র চিকিৎসক, এক জন মাত্র নার্স ও মোটে চার জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। অসুস্থ রোগীদের ভর্তির কোনও ব্যবস্থাও নেই। চিকিৎসার প্রয়োজনীয় উপকরণও প্রয়োজন মতো পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ তাঁদের। |
অথচ এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরেই ভরসা করে রয়েছেন ধলপুরা ও কার্খদা গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার বাসিন্দা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, চিকিৎসার জন্য অন্তর্বিভাগ চালু ও চিকিৎসক-কর্মী সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বিভাস কর এই প্রসঙ্গে বলেন, “ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও কর্মী-সংখ্যা বাড়ানোর জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আবেদন পূরণ না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের অসুবিধা হচ্ছে।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দাস বলেন, “দাবিটি সঙ্গত। তবে জেলার ৫১টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য ধাপে ধাপে কাজ করা হচ্ছে। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যকর্মী বৃদ্ধির দাবি পূরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
রাজ্যকে পোলিওমুক্ত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের প্রশংসা করে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি দিলেন বিল গেটস। মঙ্গলবার সেই চিঠি মহাকরণে পৌঁছেছে। এ দিনই তার উত্তর পাঠিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। গেটসের চিঠিতে লেখা হয়েছে, কিছু সম্প্রদায়ের বাধা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গে পোলিও-মুক্তির যে-কাজ হয়েছে, তা শুধু ভারতে নয়, সারা পৃথিবীতেই একটা দৃষ্টান্ত। সেই সঙ্গেই জনগণের নেত্রী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা ‘ব্যতিক্রমী’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে গেটসের চিঠিতে। পোলিও রোগ নির্মূল করার জন্য বিশ্ব জুড়ে কাজ করছে বিভিন্ন সংস্থা। সেই কাজ এ দেশেও চলছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই গেটসের এই চিঠি।
|
সাংসদ তহবিলের টাকায় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যাম্বুল্যাস দিলেন উত্তর মালদহের সাংসদ মৌসম বেনজির নূর। মঙ্গলবার দুপুরে আনুষ্ঠানিক ভাবে রতুয়া-১ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ওই অ্যাম্বুল্যান্সের তুলে দেন সাংসদ। সাংসদ জানান, এলাকার রোগীদের ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তো বটেই মালদহে নিয়ে যেতে সমস্যা হত। তা সমাধান করতে অ্যাম্বুল্যান্সটি দেওয়া হয়েছে।
|
খড়্গপুরের একটি অ্যাসবেসটস কারখানায় চক্ষু-পরীক্ষা শিবির হয়ে গেল সম্প্রতি। ৫ দিনের শিবিরে ৯৬২ জনের চক্ষু-পরীক্ষা হয় বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। তাঁদের ৬০৫ জনকে নিখচরচায় চশমা দেওয়া হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। শিবিরে মেদিনীপুরের সাংসদ প্রবোধ পণ্ডা ও খড়্গপুরের পুরপ্রধান জহরলাল পালও ছিলেন। |