টুকরো খবর
পুলিশের নয়া ভবনে আগুন
আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল হাওড়া সিটি পুলিশের নবনির্মিত অফিসের একটি তলা। মঙ্গলবার বিকেলে, ফাঁসিতলা মোড়ের কাছে বেলিলিয়াস রোডে। দমকলের ৯টি ইঞ্জিন প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।পুলিশ ও দমকল সূত্রে খবর, এ দিন বিকেলে স্থানীয় লোকজন ওই অফিস থেকে ধোঁয়া ও আগুনের শিখা বেরোতে দেখে দমকলে খবর দেন। প্রথমে চারটি ইঞ্জিন আসে। পরে কলকাতা থেকে আনা হয় আরও পাঁচটি ইঞ্জিন। আসে বিশাল পুলিশবাহিনীও। ওই অফিসের পাশেই রয়েছে সেল্স ট্যাক্সের একটি বহুতল। সেখানকার কর্মীরাও আতঙ্কিত হয়ে বেরিয়ে আসেন। হাওড়া সিটি পুলিশ সূত্রে খবর, কমিশনারেট হওয়ার পরে পুলিশের কয়েকটি দফতর আলাদা ভাবে তৈরির জন্য বেলিলিয়াস লেনে একটি তিনতলা বাড়ি তৈরি হয়। তার তিনতলায় তৈরি হয় সিটি পুলিশের গোয়েন্দা দফতর। দোতলায় ট্রাফিক পুলিশের দফতর। সেখানেই কিছু দিন ধরে প্লাইউডের কাজ চলছিল। তবে মঙ্গলবার ওই অফিসে কোনও কাজ হচ্ছিল না বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বাইরে থেকে গেটে তালা দেওয়া ছিল। তাই বন্ধ অফিসের ভিতরে প্লাইউডের স্তূপে কী ভাবে আগুন লাগল, তা রাত পর্যন্ত পরিষ্কার হয়নি। হাওড়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত দমকলের ডেপুটি ডিরেক্টর (পশ্চিমাঞ্চল) বিভাস গুহ বলেন, “অফিস বন্ধ ছিল। তাই শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার সম্ভবনা খুব কম। ফরেন্সিক তদন্তে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।”

হোটেলে ঢুকে পড়ল ট্রাক, মৃত ২
ছবি: প্রকাশ পাল।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাক হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ল রাস্তার ধারের একটি হোটেলে। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। তিন মহিলা-সহ ৬ জন অল্প-বিস্তর জখম হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ট্রাকের চালক-খালাসিও রয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বৈদ্যবাটির দীর্ঘাঙ্গী মোড়ের কাছে দিল্লি রোডে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম সঞ্জিত সাহা (১৮) এবং দীনেশ যাদব (১৬)। প্রথম জনের বাড়ি শ্রীরামপুরের চাতরার পম্পানগরে। দীনেশ হাওড়ার বালির বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন বিকেল পৌনে ৪টে নাগাদ একটি ট্রাক দ্রুতগতিতে শ্রীরামপুরের দিক থেকে ভদ্রেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল। দীর্ঘাঙ্গী মোড় পেরিয়ে কিছুটা এগোতেই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের একটি হোটেলে ঢুকে পড়ে। দরমার বেড়া-ঘেরা হোটেলটি কার্যত গুঁড়িয়ে যায়। লাগোয়া অন্য একটি ছোটখাটো নির্মাণও ভেঙে পড়ে। তবে সেখানে কেউ ছিলেন না। সঞ্জিত এবং দীনেশ হোটেলের ভিতরেই ছিল। ট্রাকটি তাঁদের পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই দু’জনেরই মৃত্যু হয়। শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠায়। আহতদের ওই হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, দুই মহিলা এবং ট্রাকের খালাসির আঘাত গুরুতর। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি। ট্রাকটিকে আটক করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে ট্রাকটির কোনও যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে গিয়েছিল। তাতেই, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি হোটেলের মধ্যে ঢুকে পড়ে।”

মগরায় ওভারহেড তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট কলেজ-পড়ুয়া
বন্ধুদের থেকে আগে প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতে দাঁড়িয়ে থাকা তেলের ট্যাঙ্কার টপকাতে গিয়ে ওভারহেড তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলেন এক কলেজ পড়ুয়া। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া-বর্ধমান মেন শাখার মগরা স্টেশনের অদূরে ১৩ নম্বর রেলগেটের কাছে। পুলিশ জানায়, জখম ছাত্রের নাম ধ্রুবজ্যোতি রায়। বাড়ি হাওড়ার বালিতে। তিনি মগরার একটি পলিটেকনিক কলেজের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কলেজ ছুটির পরে এ দিন বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি ফেরার ট্রেন ধরতে মগরা স্টেশনে আসছিলেন ধ্রুবজ্যোতি। প্ল্যাটফর্মের কাছেই লাইনের উপরে একটি তেলের ট্যাঙ্কার দাঁড়িয়েছিল। বন্ধুরা পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই ট্রেনটি দাঁড়িয়ে থাকায় কিছুটা ঘুরে প্ল্যাটফর্মে যেতে হত। কিন্তু তা না করে, আগে প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতে ট্যাঙ্কারটিতে টপকানোর সিদ্ধান্ত নেন ধ্রুবজ্যোতি। সিঁড়ি বেয়ে ট্যাঙ্কারের উপরে উঠতেই তাঁর মাথা ওভারহেড তারে ছুঁয়ে যায়।

নৌকায় যাত্রীকে মারধর, ধৃত ৪
হুগলির কোন্নগরে নৌকায় এক যাত্রীকে মাধররের ঘটনায় পুলিশ মঙ্গলবার চার জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের এ দিন শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের সাত দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ জানায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি থেকে কোন্নগরে আসার পথে কৃশানু মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে নৌকার চালকের বচসা বাধে। তার জেরে চার যুবক কৃশানুবাবুকে মারধর করে বলে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চালক সমীর হালদারকে কামড়ে দেওয়ার পাল্টা অভিযোগ আনা হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেফতার করে।

মহিলা খুন খানাকুলে
প্রতিবেশীর মারে মৃত্যু হল এক মহিলার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুলের দশঘরায়। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম সরস্বতী মালিক (৪৫)। তাঁর স্বামী রতন ও প্রতিবেশী সুজয় মান্নার মধ্যে সকাল থেকে গোলমাল চলছিল। সন্ধের দিকে মারামারি বাধে। সরস্বতী ঠেকাতে গেলে সুজয় তাঁকে কাঠের বাটাম দিয়ে মাথায় মারেন বলে অভিযোগ। পুলিশ খুঁজছে সুজয়কে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.