বাঁশের সাঁকো মেরামত না হওয়ায় ভেঙে গিয়েছে। ফুলের বাগান আগাছায় ভরে গিয়েছে। গোটা উদ্যানে শিশুদের খেলার জিনিস নেই। বোটিং-এর জন্য নির্দিষ্ট পুকুর কচুরিপানায় ভরা। জটেশ্বর উদ্যানের এমন চরম দুর্দশায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ২০০০ সালে বাসিন্দাদের দাবিতে তৎকালীন রাজ্যের বনমন্ত্রী যোগেশ বর্মন ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর গ্রামে ওই পার্কটি তৈরি হয়। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওয়া ৬বিঘা জমিতে তৈরি ওই উদ্যান গোটা ব্লকের নজর কাড়ে। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে পার্কে বহু মানুষ রোজ আসতেন। |
পর্যটকেরাও পার্কে ভিড় করতেন। তবে তৈরির কয়েক বছর পর থেকেই পরিচর্যার অভাবে উদ্যানটি নষ্ট হতে শুরু করে। প্রাক্তন মন্ত্রী যোগেশবাবু বলেন, “বন দফতর খরচ করে পার্ক তৈরি করে দেবে। আর পরিচর্যার খরচ গ্রাম পঞ্চায়েত বহন করবে। এই চুক্তিতে সেই সময় ময়নাগুড়ির খুকসিয়া উদ্যানের মত জটেশ্বরের উদ্যানটি তৈরি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা পার্কের দাবি তুলেছিলেন। গ্রাম পঞ্চায়েতের বিষয়টি দেখা উচিত।” এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রথমে অস্থায়ীভাবে একজন মালি রাখা হয়েছিল। প্রথম দিকে ফুলের বাগান তৈরি করা হলেও আস্তে আস্তে সেটা বন্ধ হতে থাকে। দিনের বেলা পার্কের মাঠে গরু চরে। বাঁশের দুর্বল সাঁকো ভেঙে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। খুব দ্রুত উদ্যানটি পরিচর্চা, সংস্কার না করা হলে আন্দোলনে নামা হবে বলে গ্রামবাসীরা হুমকি দিয়েছেন। ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ক্ষীতিশ রায় বলেন, “উদ্যানটি সাজার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। সরস্বতী পুজোর জন্য কাজ করতে দেরি হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি কাজে হাত দেওয়া হবে।” |