টুকরো খবর |
ডানলপ কারখানায় ‘চুরি’র তদন্তে সুপার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাহাগঞ্জ |
|
ছবি: তাপস ঘোষ। |
সাহাগঞ্জে ডানলপের বন্ধ কারখানায় ভিতরের যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ উঠছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। শুধু ডানলপ কর্তৃপক্ষই নয়, বিভিন্ন মহল থেকে এই চুরির ঘটনায় প্রশাসনের উপর দায় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। এই অভিযোগের সারবত্তা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার সকালে হুগলির পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী আসেন কারখানায়। সঙ্গে ছিলেন সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত। কর্তৃপক্ষের তরফে কোম্পানি ম্যানেজারও উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকেই শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও হাজির হয়েছিলেন কারখানার গেটে। এসেছিলেন শ্রমিকেরা। কারখানার ভিতরে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেন পুলিশ সুপার-সহ পদস্ত কর্তারা। সরাসরি পুলিশের খাতায় এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় পুলিশের পক্ষে মামলা রজু করার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা রয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্তারা। তন্ময়বাবু বলেন, “কারখানার যন্ত্রাংশ চুরির অভিযোগ বিভিন্ন মহলে উঠছে। কিন্তু নির্দিষ্ট ভাবে এই চুরির অভিযোগ দায়ের করছে না কোনও পক্ষই। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে পুলিশ ক্যাম্পের জায়গা চাওয়া হয়েছে। যে সব দেওয়াল ভেঙে গিয়েছে, তা মেরামত করতে হবে।” কোম্পানির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী ছাড়াও কারখানা চত্বরে বিশেষ পুলিশি টহলদারির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
|
জমি দখল, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
নথিভুক্ত বর্গাদারকে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের মায়াপুর মৌজায়। অভিযোগ, জমি কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় দিন পনেরো আগে। স্থানীয় বাসিন্দা নেপাল মালিক নামে ওই বর্গাদারকে বোরো ধান চাষের জন্য জমিতে নামতে দেওয়া হচ্ছিল না। অভিযোগ, গত সোমবার তৃণমূল কর্মী মনসুর আলি ও তার ভাই নিজেদের জমির মালিক বলে দাবি করে ওই জমিতে ধান চাষ শুরু করেন। নেপালবাবুর অভিযোগ, “গত ২০ বছর ধরে পৌনে চার বিঘা জমি চাষ করছি। বেচারাম নন্দী নামে জমির মালিককে নিয়মিত ভাবে ফসলের ভাগও দিয়েছি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ওই দুই ভাই দাবি করছেন ওরা জমি কিনেছেন। দিন পনেরো আগে আমায় জমি থেকে তুলে দেওয়ায় আরামবাগ আদালতে একটি মামলাও করেছি। সেই মামলায় বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও ধান লাগিয়ে দিল ওরা।” অন্য দিকে মনসুর আলি বলেন, “বছর ছ’য়েক আগে আমি ওই জমি কিনেছি। কোনও দিনই ফসলের ভাগ পাইনি। জোর করে জমি দখল করে রাখা হয়েছিল সিপিএমের মদতে।” মায়াপুরের সিপিএম নেতা ও জোনাল সদস্য পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় জানান, অনেক জায়গাতেই নথিভুক্ত গরিব বর্গাদারদের উচ্ছেদ করেছে তৃণমূল। গরিবের উপরে এই অত্যাচারের জবাবও তাঁরাই দেবেন। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। জমির মালিক ও বর্গাদারের সমস্যা মেটাবে আদালত।
|
গ্রামোন্নয়ন প্রকল্প খতিয়ে দেখলেন সচিব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের যুগ্ম সচিব গৌতম ভট্টাচার্য দফতরের প্রকল্পগুলির কাজ খতিয়ে দেখতে বুধবার আরামবাগে আসেন। এ দিন তাঁর আরামবাগের হরিণখোলা ১ এবং মায়াপুর ১ পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ সরেজমিনে দেখার কথা থাকলেও তিনি শুধু হরিণখোলা ১ পঞ্চায়েতের হড়াদিত্য এবং সাহাবাগ গ্রামে যান। গ্রাম দু’টিতে একশো দিনের প্রকল্প, সার্বিক স্বাস্থ্য বিধান প্রকল্প, ইন্দিরা আবাস যোজনা, বিভিন্ন ভাতা প্রকল্প এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির কিছু কাজ ঘুরে দেখেন। বিভিন্ন প্রকল্পের উপভোক্তাদের সঙ্গে কথাও বলেন। সার্বিক স্বাস্থ্য বিধান প্রকল্পে কয়েকটি শৌচাগার অব্যবহৃত দেখে উপভোক্তাদের সচেতন করেন। একটি স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা ব্যাঙ্কঋণ পাওয়ার সমস্যার কথা জানালে তিনি আশ্বাসও দেন। এরপরে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত প্রধান সদস্য সহকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। জেলা প্রশাসনের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন।
|
গাঁধীজির মৃত্যুদিনে অনুষ্ঠান চুঁচুড়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর |
গাঁধীজির মৃত্যুদিবস উপলক্ষে সোমবার কোন্ননগরের নবগ্রামে স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করে তৃণমূল। দলের অঞ্চল সভাপতি অপূর্ব মজুমদার জানান, অনুষ্ঠানে গাঁধীজির জীবনাদর্শ নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা করেন শিক্ষাবিদ প্রভাতলাল দাস। এই উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সামাজিক কর্মসূচিও পালিত হয়। হাজির ছিলেন বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী। চুঁচুড়াতেও গাঁধীজির তিরোধান দিবস উপলক্ষে গত ৩০ জানুয়ারি নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। বিকেলে খাদিনা মোড় থেকে ট্যাবলো নিয়ে পদযাত্রা হয়। ছিলেন বিধায়ক তপন মজুমদার।
|
‘সমাধান’-এর অনুষ্ঠান উলুবেড়িয়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
গত ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি উলুবেড়িয়ার সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘সমাধান’-এর বাৎসরিক অনুষ্ঠান হয়ে গেল। উলুবেড়িয়া রবীন্দ্রভবনে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে প্রায় ৩০০ প্রতিযোগী বসে আঁকো, আবৃত্তি, রবীন্দ্রসঙ্গীত ও রবীন্দ্র-নৃত্য প্রতিযোগিতায় যোগ দেয়। পরের দিন সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পী ঈশিতা মণ্ডলের যোগনৃত্য এবং রূপরেখা চট্টোপাধ্যায়ের গাওয়া পুরনো দিনের বাংলা গান শ্রোতাদের মন জয় করে নেয়। এর পরের শিল্পী ছিলেন শ্রীকান্ত আচার্য। তিনি আধুনিক ও পুরনো বাংলা গান পরিবেশন করেন। যা অনুষ্ঠানকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেয়।
|
রবীন্দ্র-নজরুল মূর্তি প্রতিষ্ঠা বাউড়িয়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
২৬ জানুয়ারি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং নজরুল ইসলামের আবক্ষ মূর্তির আবরণ উন্মোচন অনুষ্ঠান হয়ে গেল বুড়িখালি হাইস্কুল প্রাঙ্গণে। হাওড়া বাউড়িয়া বুড়িখালি ইয়ংস কর্নারের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন জেলার পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। সভাপতিত্ব করেন জীবনরতন ধর। এ ছাড়া, সারা দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর বসেছিল।
|
শিক্ষক সম্মেলন হরিপালে |
হরিপাল জামাইবাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘বিবেকানন্দ ভাবানুরাগী শিক্ষক সম্মেলন’ হয়ে গেল রবিবার। হুগলির বিভিন্ন স্কুলের ১৭৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা তাতে যোগ দেন। সভাপতিত্ব করেন বরাহনগর রামকৃষ্ণ মিশনের এমএড কলেজের অধ্যক্ষ স্বামী তত্ত্বসারানন্দ। এ ছাড়াও ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সম্রাট ভট্টাচার্য। জামাইবাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সন্দীপ সিংহ জানান, সম্মেলনে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ সঞ্চারের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের ভূমিকা। স্বামী জ্ঞানালোকানন্দ বলেন, “আমরা যদি বিবেকানন্দের ভাবধারা অনুযায়ী আদর্শ শিক্ষক হিসাবে নিজেরা গড়ে উঠতে পারি, তাতে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকারা যদি ছাত্রছাত্রীদের আন্তরিক ভাবে লেখাপড়া শেখান, তা হলে প্রাইভেট টিউশনের কোনও প্রয়োজনই হয় না।”
|
বাগনানে সংস্কৃতি উৎসব |
বাগনানে গণ সংস্কৃতি মঞ্চের উদ্যোগে ২১-২৪ জানুয়ারি চার দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে গেল বাগনান গার্লস হাইস্কুল প্রাঙ্গণে। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসঙ্গীত, আবৃত্তি, নৃত্যনাট্য, ক্যুইজ প্রভৃতিতে প্রায় তিনশোর বেশি প্রতিযোগী যোগ দেয়। |
|