মা ও মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে অসমের বঙ্গাইগাঁও এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার মহাত্মা গাঁধী রোডের একটি বাড়ি থেকে পুলিশ ওই দুটি দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম চম্পা ঘোষ (৪০) ও মণীষা ঘোষ (২০)। পুলিশ মণীষা দেবীর কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে। তাতে জানা গিয়েছে, এলাকার এক তরুণের সঙ্গে সম্প্রতি মণীষার ঘনিষ্ঠতা হয়। কয়েকদিন আগে ওই তরুণ প্রতিবেশী এক তরুণীকে নিয়ে পালিয়ে যান। সেই হতাশা থেকে তরুণী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে সুইসাইড নোটে জানিয়েছেন। পুলিশের অনুমান, চম্পা দেবীর মেয়ে ছাড়া আর কেউ নেই। পেশায় দর্জি স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি অনেক কষ্ট করে সংসার চালিয়েছেন। মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখে চম্পা দেবীও আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারেন। পুলিশ সুপার নিতুল গগৈ জানান, প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে, এটি আত্মহত্যা।
|
পুলিশকে ফাঁদে ফেলতেই আত্মহত্যার ঘটনাটিকে ব্যবহার করা হয়েছিল। লাতেহারের বালুমথ থানা এলাকায় মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে এমনই মনে করছে পুলিশ। এই ব্যাপারে আজ পুলিশ জানিয়েছে, আত্মহত্যার ঘটনা সত্যিই ঘটেছিল। কিন্তু সূর্য ডোবার পর, অন্ধকার নামার মুখে মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য থানায় খবর পাঠিয়ে পুলিশকে ডেকে নেওয়ার বিষয়টি আদৌ সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। এখানে পুলিশকে ডেকে নেওয়ার সময় নির্বাচনটাই সন্দেহের মূলে। লাতেহারের পুলিশ সুপার ক্রান্তিকুমার ঘরদেশি আজ বলেন, “আত্মহত্যার ঘটনা সাজানো নয় ঠিকই। কিন্তু আত্মঘাতী যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করতে যাওয়ার পথে যে ভাবে পুলিশকে বিস্ফোরণের শিকার হতে হল, তদন্ত করে দেখতে হবে।” |