তালা ভেঙে ঢুকে লুঠপাট কোচবিহারে
গ্রিলের তালা ভেঙে ঢুকে নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে নগদ টাকা ও সোনার গয়না মিলিয়ে লক্ষাধিক টাকা লুট করল একদল দুষ্কৃতী। শনিবার গভীর রাতে কোচবিহারের কোতোয়ালির ঝিনাইডাঙ্গায় ওই ঘটনা ঘটে। ডাকাতির খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। রবিবার কোচবিহারের পুলিশ সুপারের নির্দেশে এলাকায় গিয়ে বিশদে খোঁজখবর নেন কোতোয়ালি থানার আইসি দেবাশিস ভট্টাচার্য। তবে ওই ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। জেলার পুলিশ সুপার প্রণব দাস বলেন, “দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকে পুলিশ কর্মী পরিচয় দিয়ে মামলার তদন্তে এসেছেন বলে জানায়। তাই বাড়ির লোকেরা প্রথমে হইচই করেননি। প্রাথমিক ভাবে নগদ টাকা, সোনার গয়না মিলিয়ে লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী লুট করেছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” যে বাড়িতে ডাকাতি হয় তার মালিক অমূল্য সরকার পেশায় গৃহশিক্ষক। পারিবারিক জমিজমা লোক দিয়ে চাষ করান। শনিবার গভীর রাতে বারান্দার গ্রিলের তালা ভেঙে ৫-৬ জনের ডাকাত দলটি বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়ে। ছিটকিনি ভেঙে তারা অমুল্যবাবুর শোওয়ার ঘরে ঢুকে নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে চিৎকার করতে বারণ করে। এমনকী, এলাকার একটি ঘটনার তদন্তের স্বার্থেই তাদের আসতে হয়েছে বলেও দুষ্কৃতীরা দাবি করে। তার পরেও সন্দেহ হওয়ায় অমুল্যবাবুর মেয়ে অষ্টম শ্রেণির আলোলিকা তাদের পরিচয়পত্র দেখতে চায়। এর পরেই দুষ্কৃতীরা স্বমূর্তি ধারণ করে করে অমূল্যবাবু জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ডাকাতরা আমাদের চুপচাপ থাকার জন্য বলে। শুরু হয় লুটপাট।” প্রায় ৪০ মিনিট ধরে দুষ্কৃতীরা আলমারি, শোকেস-সহ বিভিন্ন জিনিস ভেঙে ওই লুটপাট চালায়। ডাকাতদল যাওয়ার পরে অমুল্যবাবু-সহ পরিবারের সকলে চিৎকার করলে ঘটনার কথা জানাজানি হয়। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অমুল্যবাবু বলেন, “গৃহ শিক্ষকতা ও পারিবারিক জমিজমা দেখাশোনা করে সংসার চালাই। রাতে ছিটকিনি ভেঙে শোওয়ার ঘরে ঢুকে ডাকাতেরা নিজেদের পুলিশের লোক পরিচয় দেয়। তদন্তের জন্য তাদের আসতে হয়েছে দাবি করে প্রথমে ভয় না পাওয়ার অভয়ও দেয়। ছোট মেয়েটা সাহস করে পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়ায় স্বরূপ বার হয়।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.