|
|
|
|
বালুরঘাটের স্বাস্থ্যকর্তা কলকাতায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
হাসপাতালের এক্স-রে ঘরে পিকনিক কাণ্ডের ৯ দিনের মাথায় বদলি হলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত মন্ডল। তাঁকে কলকাতায় স্বাস্থ্যভবনে হাসপাতালের প্রশাসনিক পদে বদলি করা হয়েছে। গত শুক্রবার তড়িঘড়ি তিনি উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গৌরব রায়কে দায়িত্ব দিয়ে বালুরঘাট ছেড়ে যান। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্রের খবর, হাসপাতালের সাম্প্রতিক ঘটনার জেরে সময়ের আগেই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিতবাবু বদলি হলেন। তিনি বালুরঘাটে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের পদে যোগ দেন ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। অর্থাৎ দু’বছরের আগেই তিনি বদলি হলেন। অন্য একটি সূত্র জানাচ্ছে, পদোন্নতির জন্যই তাঁর বদলি হয়েছে। পিকনিক কাণ্ডের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। বিদায়ী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিতবাবু বলেন, “এটা রুটিন বদলি। স্বাস্থ্য ভবনে হাসপাতাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।” এ দিকে হাসপাতালের এক্স-রে ঘরে গ্যাস জ্বালিয়ে পিকনিকের ঘটনায় শো-কজ হওয়া দুই চিকিৎসক-সহ ১১ জন স্বাস্থ্যকর্মী তাঁদের জবাব বালুরঘাট হাসপাতালের সুপারের কাছে জমা দিয়েছেন। সুপার বুদ্ধদেব মণ্ডল বলেন, “শোকজের উত্তর মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের মাধ্যমে এ দিন স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিকর্তা যথাযথ পদক্ষেপ করবেন।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পিকনিক কাণ্ডে অভিযুক্ত বালুরঘাট হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগের দুই চিকিৎসকের এক জন প্রণব ঠাকুর বাছার শোকজের উত্তরে জানিয়েছেন, পিকনিকে তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন। কিন্তু রান্নাবান্না যে এক্স-রে বিভাগে হবে সেটা জানা ছিল না বলে দুঃখপ্রকাশ করেছেন তিনি। অপর চিকিৎসক বিমলেশ জি বিমল জানান, পিকনিকের জন্য কর্মীদের আবদার মতো ২৬০০ টাকা দিয়েছিলেন। কোথায় রান্না হচ্ছে জানা ছিল না। শোকজ হওয়া বাকি ৯ জনের ৭ জন এক্স-রে বিভাগের কর্মী বিপুল সরকার, বিনয় শীল, সুভাষ সরকার, দুলাল কীর্তনীয়া, বিকাশ সরকার, শুক্লা কুণ্ডু এবং ইসমাইল হোসেন দাবি করেছেন, হাসপাতাল সুপারের অনুমতি নিয়েই তাঁরা পিকনিক করেছেন। বাকি দু’জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী প্রকৃতি চক্রবর্তী ও শ্যামল ঘোষ জানিয়েছেন, হাসপাতালের এক্স-রে ঘরে পিকনিকের বিষয়টি তাঁরা জানতেন না। ওখানে গিয়ে তাঁরা ভুল করেছেন। ভবিষ্যতে এমন ভুল হবে না। সুপারের বক্তব্য, “এক্স-রে রুমে গ্যাস জ্বালিয়ে রান্নার অনুমতি ওই কর্মীদের দিইনি।” হাসপাতালে পিকনিক, ওয়ার্ড থেকে হিটার উদ্ধার এবং সম্প্রতি গঙ্গারামপুরের এক হাতুড়ে চিকিৎসকের বাড়ি থেকে হাসপাতালে সরবরাহ করা ওষুধ উদ্ধারের পাশাপাশি জেলা স্বাস্থ্য দফতরে কর্মরতদের নিজ কাজের জায়গায় ফেরানোর ক্ষেত্রে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের পদক্ষেপ নিতে না-পারার বিষয় স্বাস্থ্য বিভাগের নজর এড়ায়নি। পিকনিক কাণ্ডের পর দিন অভিযান চালিয়ে সুপার ১১টি হিটার উদ্ধার করেন। এই ঘটনার ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিতবাবু। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি তাঁকে। |
|
|
|
|
|