বঞ্চনায় ক্ষুব্ধ গ্রামের ক্লাব
হকুমার গ্রামাঞ্চলে একশোটি ক্লাব। যেখানে ফুটবল থেকে ক্রিকেট, খো খো থেকে কবাডি, সব ধরনের খেলাধুলাই হয়। অথচ গ্রামাঞ্চল থেকে শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের অনুমোদিত ক্লাব মাত্র দুটি। ক্রীড়া পরিষদের মোট অনিমোদিত ক্লাব ৩৩। সেখানেও প্রতিযোগিতায় অংশ নিলে জয়ী হলে প্রাইজ মানি ছাড়া আর কিছুই মেলে না। ফুটবল থেকে ক্রিকেটের উইকেট, সবই ক্লাবের তহবিল থেকেই কিনতে হয়। এ নিয়ে গ্রামাঞ্চলের ক্লাবগুলোর ক্ষোভ রবিবার প্রকাশ্যে এল। এদিন বাগডোগরায় আয়োজিত এক সভায় গ্রামাঞ্চলের ৪০টি ক্লাব কর্তারা মিলে পৃথক ক্রীড়া পরিষদ গঠনের প্রস্তুতি কমিটি গঠন করলেন। কমিটির নাম মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া বিধানসভা ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদ। কমিটির সভাপতি পদে মাটিগাড়া নকশালবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকার। কার্যকরী সভাপতি পার্থ সেনগুপ্ত। প্রতিটি ব্লকের বিভিন্ন ক্লাবের কর্তাদের ওই কমিটির নানা পদে রাখা হয়েছে। তৈরি হয়েছে প্রস্তাবিত ক্রীড়া পরিষদের সংবিধান রচনার আলাদা কমিটিও। মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্করবাবু বলেন, “রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার গ্রামাঞ্চল থেকে খেলোয়াড় তুলে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। সে জন্যই এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছি। কী ভাবে এ কাজ সম্ভব পরে তা সকলে মিলে আলোচনা করে পদক্ষেপ করা হবে।” নয়া কমিটি আইএফএ, সিএবি, হকি, খো খো, ও ব্যাডমিন্টনের রাজ্য কমিটির কাজ থেকেও পৃথক অনুমোদন চাইবে বলে জানা গিয়েছে। বাগডোগরার ইয়ং মেন্স স্পোর্টিং অ্যাসোসিয়েশন ক্লাব দফতরেই ক্রীড়া পরিষদের কাজকর্ম চলবে বলে জানা গিয়েছে। প্রস্তুতি কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপ্তেন্দু ঘোষ বলেছেন, “গ্রাম থেকেই খেলোয়াড় তৈরি হয়। আর গ্রামের ক্লাবগুলোকেই বঞ্চিত করে রাখা হয়। কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতা না-করেই এগোতে চাই।” বঞ্চনার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সম্পাদক তথা শিলিগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নান্টু পাল। তাঁর দাবি, “আমি ২ বছর হল দায়িত্বে এসেছি। তার মধ্যেই মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ নানা খেলাধুলার আয়োজন করেছে। ক্রীড়া পরিষদ অনুমোদিত প্রতিটি ক্লাবকেই সমান সুবিধে দেওয়া হয়েছে। তবে নতুন কোনও ক্লাবকে ক্রীড়া পরিষদের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। সে কারণে গ্রামাঞ্চলের ক্লাবগুলি নতুন কমিটি গঠন করলে আমি স্বাগত জানাব।” সিএবি, আইএফএ-র পৃথক অনুমোদন প্রসঙ্গে নান্টুবাবুর দাবি, একই মহকুমায় আইএফও, সিএবি কখনই দ্বিতীয় কোনও ক্রীড়া পরিষদকে অনুমোদন দেবে না। নান্টুবাবু এ কথা বললেও এ দিনের বৈঠকে মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ নিয়ে বিভিন্ন ক্লাবের কর্তাদের গলায় ছিল ক্ষোভের সুর। অভিযোগ, সেই গ্রামাঞ্চলের ক্লাবগুলিকে খেলোয়াড় তৈরিতে কোনও সাহায্য না-করা। গোঁসাইপুরের মিলনি ক্লাবের এক কর্তা পুলক দাস বলেন, “বেসরকারি সংস্থায় কাজ করি। ফাঁকে এলাকার ছেলেদের নিয়ে ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্প চালাই। নয়া ক্রীড়া পরিষদ পাশে দাঁড়ালে ক্যাম্পটাকে দাঁড় করাতে পারব।” বাগডোগরা ইয়ং মেন্স অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক সুশান্ত ঘোষ বলেন, ১৯৯২ থেকে “অনুমোদনের জন্য যোগাযোগ করছি। কোনও ব্যবস্থা হয়নি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.