একটি মন্দির এবং একটি স্কুলের দরজা ভেঙে ঢুকে লক্ষাধিক টাকার অলঙ্কার এবং জরুরি কাগজপত্র চুরি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। শনিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানার মেদিয়া সুভাষপল্লি এবং নির্মাণ গ্রামে। দু’টি ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নামলেও এখনও পর্যনন্ত কোনও দুষ্কৃতীকে ধরতে পারেনি তারা। উদ্ধার হয়নি অপহৃত জিনিসও। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিয়া সুভাষপল্লিতে শতাধিক বছরের পুরনো একটি শীতলা মন্দির আছে। এ দিন সকালে গ্রামবাসীরা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে ওই মন্দিরের বাইরের গেটের তালা ভাঙা দেখেন। খবর পেয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষ এসে দেখেন গেটের তালা এবং মন্দিরে ঢোকার তালাগুলি ভাঙা। প্রতিমার গায়ের সব গয়না নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আলে। মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশের কাছে লক্ষাধিক টাকার গয়না চুরির অভিযোগ করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন রাতেই নির্মাণ আদর্শ বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলের তালা ভেঙে প্রধান শিক্ষক ও সহশিক্ষকদের ঘরে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। সকালে গ্রামবাসীরা স্কুলের গেটের তালা ভাঙা দেখতে পেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে দেখে, শিক্ষকদের ঘরে থাকা তিনটি আলমারি ভেঙে জরুরি কাগজপত্র সব তছনছ করা হয়েছে। কয়েকশো টাকা, কম্পিউটারের জিনিসপত্র নিয়ে গিয়েছে তারা। একই রাতে দুটো চুরির ঘটনায় যুক্ত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের জন্য তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
|
ইছামতীর চর থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত যুবকের পরিচয় জানা গেল। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবকের নাম অভিজিৎ পাত্র (২২)। তাঁর বাড়ি ভ্যাবলার শিশু কলোনি এলাকায়। বসিরহাট থানার আইসি অতনু মণ্ডল বলেন, “মৃতের বিরুদ্ধে পুলিশের খাতায় বেশ কয়েকটি অভিযোগ আছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, দু’টি দুষ্কৃতী দলের মধ্যে বিবাদের জেরেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। দোষীদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৈত্রবাগান এলাকার একটি মোবাইলের দোকানে কাজ করত অভিজিৎ। কয়েক মাস আগে দণ্ডীরহাটে বাড়ির কাছে খুন হয়েছিলেন নকশাল নামের এক যুবক। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হয় অভিজিৎ ওরফে বাবাই। তিন মাস জেলে থাকার পর জামিনে ছাড়া পায় সে। শুক্রবার দুপুরে একটি ফোন পেয়ে জরুরি কাজ আছে বলে কিছুক্ষণের জন্য দোকান থেকে বেরিয়ে যায় সে। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিল অভিজিৎ। শনিবার বিকেলে বসিরহাটের অমরকাটি গ্রামে ইছামতী নদীর চরে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দুটো হাত তারই জামা দিয়ে পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পুরনো শত্রুতার জেরে দুষ্কৃতীরা প্রথমে তাকে মারধর করে। তার পর হাত বেঁধে শ্বাসরোধ করে মারার চেষ্টা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে পেটে ভোজালি দিয়ে কুপিয়ে নদীর চরে ফেলে পালিয়ে যায়।
|
এক প্রৌঢ়াকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে তাঁর ছেলে এবং পুত্রবধূকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার সকালে হালিশহরের পূর্বাচল থেকে ওই দু’জনকে ধরা হয়। ধৃতদের নাম গোপাল মৃধা ও রিনা মৃধা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ১০ সেপ্টেম্বর পূর্বাচলের বাসিন্দা গোপালের বাড়ি থেকে গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর মা প্রভাতীদেবীর (৬৮) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। সেই সময়ে পুলিশের কাছে গোপাল দাবি করেছিলেন, মানসিক অবসাদে তাঁর মা আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু দিন কয়েক আগে ময়না-তদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, প্রভাতীদেবীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহটি ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এর পরেই ওই দু’জনকে ধরা হয়। কী কারণে ওই প্রৌঢ়াকে খুন করা হল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
|
চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। শনিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে শিয়ালদহ-হাসনাবাদ শাখার সন্ডালিয়া স্টেশনের কাছে। প্রফুল্ল কর (৩৪) নামে মৃত ওই যুবকের বাড়ি দেগঙ্গার আমিনপুর গ্রামে। সন্ডালিয়ার পরের স্টেশন ভাসলিয়াতে তাঁর নামার কথা ছিল। রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে তিনি হাওড়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ফিরছিলেন। ট্রেনের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ট্রেনের দরজার কাছে এসে বমি করতে থাকেন। তাঁর স্ত্রী পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও মেয়েকে সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। সেই ফাঁকেই হঠাৎ রড থেকে হাত ফস্কে প্রফুল্লবাবু ট্রেন থেকে পড়ে যান বলে তাঁর স্ত্রী এবং অন্য যাত্রীরা রেল পুলিশকে জানিয়েছেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রফুল্লর। রেল পুলিশ দেহটি ময়না-তদন্তের বারাসাত হাসপাতালে পাঠায়।
|
বনগাঁ মহকুমা আদালত চত্বরে জর্জ কোর্টের সরকারি আইনজীবীদের নতুন অফিসঘরের উদ্বোধন হল শনিবার। উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গ বা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আনসার মণ্ডল। এই উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বারাসত জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী মহেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, বনগাঁর মহকুমাশাসক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, এসডিপিও জয়ন্ত মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
|
মূল গেটের তালা ভেঙে ঢুকে দেগঙ্গার সাতহাতিয়ার সাঁওলাতিয়া হাইস্কুল থেকে নগদ কয়েকশো টাকা এবং কিছু জরুরি নথিপত্র চুরি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে গ্রামবাসীরা স্কুলের দরজার তালা ভাঙা দেখে স্কুল কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। শিক্ষকেরা এসে দেখেন, প্রধান শিক্ষক এবং তাঁদের ঘরের তালাও ভাঙা। এর পরেই চুরির বিষয়টি তাঁদের নজরে আসে। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। |