ধানখেত থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থানার গুমা খড়ের মাঠ এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে মৃত ব্যক্তির নাম দীপক আচার্য (৪২)। তাঁর গালায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে। তিনি আইএনটিইউসি-র কর্মী। তাঁর বাড়ি স্থানীয় শক্তিনগর এলাকায়। মৃতের এক আত্মীয়া দীপকবাবুকে খুন করা হয়েছে বলে অশোকনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, দীপকবাবুকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে অন্যত্র খুন করে এখানে ফেলে রাখা হয়। একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গুমা স্টেশনে দীপকবাবুর একটি জুতোর দোকান রয়েছে। প্রতিদিনের মতো শনিবারও বিকেলে দোকানে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বের হন। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে প্ল্যাটফর্মে আইএনটিইউসি-র অফিসে গিয়ে সংগঠনের সভাপতি কালীপ্রসাদ মিত্রের সঙ্গে কথা বলেন। শনিবার রাতে স্টেশন সংলগ্ন শ্মশানে কালীপুজো ছিল। গভীর রাত পর্যন্ত তিনি সেখানেই ছিলেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। রবিবার সকালে স্থানীয় এক চাষি মাঠে একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে লোজনদের খবর দেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও। বাড়িতে দীপকবাবুর বৃদ্ধা মা এবং ১৩ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে দীপকবাবুর দু’টি বিয়ে। কিন্তু কোনও স্ত্রীর সঙ্গেই তাঁর সম্পর্ক নেই। দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর মামলাও চলছে।
কালীপ্রসাদবাবু বলেন, “রাজনৈতিক কারণে দীপককে খুন করা হয়েছে। কারণ বনগাঁ থেকে শিয়ালদহের মধ্যে গুমাতেই আইএনটিইউসি সবচেয়ে শক্তিশালী। আর আইএনটিইউসির জন্যই এখানে কংগ্রেসের সংগঠন মজবুত। দীপক আমাদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তাঁকে সরিয়ে দিয়ে রাজনৈতিক ভাবে আমাদের দুর্বল করার জন্যই এই খুন।” |