|
|
|
|
কেশপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে |
দলীয় কার্যালয়েই তৃণমূলের মারপিট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়েই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটল। রবিবার বিকেলে কেশপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেশপুর বাসস্ট্যাণ্ডের কাছে দলীয় কার্যালয়ে ব্লক সভাপতি আশিস প্রামাণিক-সহ বেশ কয়েকজন কর্মী ছিলেন এ দিন। সেখানে দলীয় কর্মসূচি ও নেতৃত্বের কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা চলছিল। সেই সময়ই হঠাৎ আরও কিছু কর্মী-সমর্থক পার্টি অফিসে ঢোকেন। একপক্ষ অপরপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে সরব হন। এরপরই দলীয় অফিসে থাকা ঝান্ডার ডান্ডা নিয়ে একে অপরের উপর চড়াও হয় দুই গোষ্ঠী। তাতে ৯ জন আহত হন। ৪ জনের মাথায় গুরুতর চোট লাগে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ব্লক সভাপতির অভিযোগ, “চিত্ত গরাইয়ের অনুগামীরা ইচ্ছে করেই এই হামলা চালিয়েছে। ১০ নম্বর অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি আজফার আলি মিদ্যা নানা ধরনের অপকর্মে যুক্ত। তাঁর মাধ্যমেই এই ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। ওই অঞ্চল সভাপতিকেও পরিবর্তন করা হবে।” অন্য দিকে চিত্ত গরাইয়ের দাবি, “আমি এ দিন কলকাতায় ছিলাম। যতদূর শুনেছি গ্রামের ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধান করতে পার্টি অফিসে আলোচনা করছিলেন আশিস প্রামাণিক। তা নিয়েই নিজেদের মধ্যে বচসা থেকে মারামারির ঘটনা ঘটে। এখানে কী ভাবে আমার নাম আসছে বুঝতেই পারছি না।”
কেশপুরে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা নতুন নয়। রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর একাধিকবার গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তাল হয়েছে কেশপুর। শনিবারও পার্টি অফিসে দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ হয়েছিল। তবে তা মারামারির পর্যায়ে যায়নি। কারা এই বিবাদে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি নাএসব নিয়ে আলোচনা চলছিল রবিবার। তা নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে মারামারির ঘটনা ঘটে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে দু’পক্ষের মারামারি থামিয়ে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করে। আশিসবাবুর অভিযোগ, “কেশপুরকে অশান্ত করতে মদত দিচ্ছেন চিত্তবাবু। তাঁর মদতেই কিছু লোক পার্টি অফিসে ঢুকে হামলা চালাল।” আর চিত্তবাবুর পাল্টা অভিযোগ, “আশিস প্রামানিক এখনও কেশপুরে বসবাসই শুরু করেনি। দলের পদ পেয়ে কেবলমাত্র খবরদারি করার জন্যই মাঝে মধ্যে কেশপুরে যায়। যা কেশপুরের মানুষ মেনে নিতে পারেনি। তাই গুটিকয় নব্য তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়েই ঘোরাঘুরি করে। তাঁরাই চারদিকে অশান্তি ছড়াচ্ছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, উত্তেজনা থাকায় পার্টি অফিসের সামনে পুলিশি টহল রয়েছে। পুনরায় যাতে কোনও রকম অশান্তি না ছড়ায় সেদিকে নজর রাখা হয়েছে। |
|
|
|
|
|