মোহনবাগানে শুরু হল তীব্র বিতর্ক। যার কেন্দ্রে ব্রাজিলীয় হাদসন লিমা।
লিমাকে তুলে নেওয়ায় রিজার্ভ বেঞ্চে এসে সুব্রত ভট্টাচার্যের সঙ্গে তর্কাতর্কি করেন। টিডির দিকে আঙুল তুলেও তাঁকে কথা বলতে দেখা যায়। মাঠ ছেড়ে টানেলে নেমে চলে যান ড্রেসিংরুমে। ম্যাচের তখনও বাকি মিনিট পঁচিশেক! গজগজ করতে করতে মাঠ ছাড়লেও ড্রেসিংরুমে তিনি শান্ত হয়েই বসে ছিলেন। ম্যাচ শেষে সুব্রত ড্রেসিংরুমে ঢোকার পরে দু’জনের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে সুব্রতর কাছে অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন লিমা। তাতে সুব্রতর রাগ কমেনি।
লিমা যখন টানেলে ঢুকছিলেন, তখনই গ্যালারি থেকে লিমার জন্য জয়ধ্বনি ওঠে। ব্রাজিলীয় এই লেফট হাফের জন্য কিছু সমর্থকদের উচ্ছ্বাস অবশ্য হঠাৎ বেড়ে যায় তাঁর বাড়ি ফেরার সময়। স্টেডিয়াম গেট দিয়ে বেরোতেই তাঁকে কাঁধে তুলে নেন কয়েক জন। এর পিছনে ক্লাব রাজনীতি কতটা প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এবং অত্যাশ্চর্য ভাবে ব্যারেটো টিম বাসে ওঠার সময় পিছন থেকে কিছু সমর্থক ‘গো ব্যাক ব্যারেটো’ স্লোগান তোলেন। সেখানেই আবার কিছু সমর্থক পাল্টা জয়ধ্বনি দেন ব্যারেটোর নামে।
স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে মোহনবাগান অধিনায়ক হোসে ব্যারেটো মুখ খুললেন লিমার আচরণ নিয়ে। তাঁর কথায়, “মাঠে একটা ভাষা-সমস্যা হয়েছিল। ওর একটু চোট ছিল। সে জন্যই ওকে তোলা হয়েছিল।” আর লিমার বিরক্তি প্রকাশ নিয়ে ব্যারেটোর মন্তব্য, “খেলতে খেলতে তুলে নিলে কোনও ফুটবলারই খুশি হয় না।”
তবে মোহনবাগান অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত, যিনি এই ম্যাচে ছিলেন টিম ম্যানেজার, অযথা লিমা-বিতর্ক টানতে নারাজ। বলেন, “লিমা ক্লান্ত ছিল। কোচকে বলেই ও ড্রেসিংরুমে চলে আসে। এখানে কোনও বিতর্ক-টিতর্ক নেই।”
এখনও ইংরাজি রপ্ত করতে না-পারা লিমা ম্যাচ শেষে মুখ খোলেননি। মুখ খুলতে চাননি সেই সময়ে ডাগ-আউটে থাকা তাঁর বাকি সতীর্থরাও।
লিমা ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় কি ঝামেলা পুরোপুরি মিটবে? সুব্রত-লিমা দ্বন্দ্ব হয়তো ছুঁতে পারছে না মানচিনি-তেভেজকে। মাস চারেক আগে ফুটবলার বদল এবং ভাষা সমস্যা নিয়েই তৈরি হওয়া সেই জট কিন্তু খোলেনি এখনও। আপাতত মোহনবাগানেও এই নিয়ে জলঘোলা হওয়া থামছে না। |