দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাসে ভাঙচুর ও পথ অবরোধ হয়েছে লাভপুরে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম হাফিজুল ইসলাম (১২)। বাড়ি স্থানীয় দত্তবগতোড় গ্রামে। সে স্থানীয় কুরুন্নাহার হাইস্কুলের ছাত্র ছিল। রবিবার
|
হাফিজুল |
সওয়া ১০টা নাগাদ বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে হাফিজুলের মৃত্যুর পরে স্থানীয় বাসিন্দারা বাসে ভাঙচুর করেন। শুধু তাই নয়, যানচলাচল নিয়ন্ত্রণের দাবিতে ক্ষুব্ধ জনতা মৃতদেহ আটকে রেখে পৌনে ১টা পর্যন্ত পথ অবরোধ করেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কুরুন্নাহারে টিউশন পড়ে দাদা সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সহিদুল ইসলাম অন্য বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল হাফিজুল। সেই সময় কুরুন্নাহার বাসস্ট্যান্ডের কাছে, লাঙলহাটা-লাভপুর রাজ্য সড়কে লাভপুরগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাফিজুলকে পিষে দেয়।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ি ফেরার সময়ে সিউড়ির খটঙ্গা এলাকার রণপুরে ট্রাকের ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ট্রাকে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছিল। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতিপূরণের দাবিতে মৃতদেহ আটকে রেখে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। |
প্রত্যক্ষদর্শী দিলবাহার শেখ বলেন, “লাঙলহাটা থেকে লাভপুরগামী ওই বাস বেপরোয়া ভাবে প্রচণ্ড গতিতে আসছিল। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে সামনের চাকা হাফিজুলের পায়ের উপর দিয়ে চলে যায়। পরে পিছনের চাকাতে সে পিষ্ট হয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।” এ দিকে, চোখের সামনে ভাইয়ের মৃত্যু দেখে বাক্রুদ্ধ হয়ে গিয়েছে দাদা সহিদুল। কাকা জামিরুল মল্লিক বলেন, “প্রতিদিনই ওরা হেঁটেই টিউশন পড়ে ফিরত। এ দিন এমনটা যে হতে পারে ভাবতেও পারিনি।” পুলিশ জানায়, বাসটিকে আটক করা হয়েছে। চালক ও অন্য বাস কর্মীরা পলাতক। বাস ভাঙচুরের কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। |