বোমা মেরে ও গুলি করে এক যুবককে খুন করল দুষ্কৃতীরা। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্বস্থলীর লক্ষ্মীপুর স্টেশনে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম মোতিয়ার রহমান মণ্ডল (৪৪)। লক্ষ্মীপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। রবিবার পূর্বস্থলী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী আসমিনা বিবি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত মোতিয়ার রহমানের আসল বাড়ি স্থানীয় হাটসিউড়ি গ্রামে। তিনি ফলেয়ার একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। এ দিন রাত ৮টা নাগাদ ট্রেনে লক্ষ্মীপুর স্টেশনে আসেন ওই যুবক। স্টেশনেরই একটি দোকানে চায়ের দোকানে যান। সেখানেই দুষ্কৃতীরা আচমকা তাঁকে লক্ষ করে বোমা ছোড়ে। মাটিতে পড়ে যেতেই তাঁকে খুব কাছ থেকে পর পর চারটি গুলি করে তারা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মোতিয়ার রহমানের। এর পরে বোমা ছুড়তে ছুড়তেই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালায়। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। এ দিকে, এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। দোকাপাট বন্ধ করে দেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পূর্বস্থলী থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০২ সালে বেআইনি অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয় মোতিয়ার রহমানকে। এছাড়া বছর তিনেক আগে এক বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যকে অপহরণের ঘটনায়ও জড়িয়েছিল তাঁর নাম। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, পুরনো কোনও শত্রুতার জেরেই খুন করা হয়েছে মোতিয়ারকে।
|
দুর্ঘটনায় এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যুতে পথ অবরোধ করলেন বাসিন্দারা। রবিবার সকাল ৯টা নাগাদ বর্ধমানের নবাবহাটের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম শেখ নেলো (৩৫)। বাড়ি নবাবহাটেই। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছিলেন। এ দিন সকালে একটি ট্রাক তাঁর সাইকেলে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। ঘটনার পরে ক্ষুব্ধ স্থানীয় মানুষজন পুরনো জি টি রোড এবং ২ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগস্থলে অবরোধ করেন। কিছু ক্ষণ পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তোলে। পুলিশ জানায়, ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে। তবে চালক পলাতক।
|
ত্রয়োদশ বর্ধমান উৎসবের উদ্বোধন হল শনিবার। উদ্বোধন করেন চলচ্চিত্রকার বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়, বাদশা মৈত্র প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বর্ধমানের পুরপিতা তথা উৎসব কমিটির সভাপতি আইনুল হক বলেন, “এ বার আমাদের অনেকেই জিজ্ঞাসা করছিলেন, আদৌ এই উৎসব করা যাবে কি না। মানুষের জন্য আয়োজিত এই উৎসব কোনও মতেই বন্ধ করা সম্ভব নয়। উৎসবের আয়োজন হয়েছে। আগামী দিনেও বর্ধমানের এই ঐতিহ্যমণ্ডিত উৎসব চলবে।”
|
প্রতিষ্ঠাতার আবক্ষ মূর্তি স্কুলে বসানো হল কালনার সুলতানপুরের তুলসীদাস বিদ্যামন্দিরে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৩৩ সালে সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা তুলসীদাস কুমার এই স্কুলটি তৈরি করতে উদ্যোগী হন। ১৯৩৮ সালেই উচ্চ বিদ্যালয় হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি মেলে স্কুলটির। ১৮ জানুয়ারি স্কুল পরিচালন সমিতির উদ্যোগে তুলসীদাসের আবক্ষ মূর্তি বসানো হয় স্কুলে। তার পরের দু’দিন আয়োজন করা হয়েছিল শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের। |