|
|
|
|
|
|
|
ওকে পনেরো মিনিট গাইতে দিন
পণ্ডিত সমরেশ চৌধুরী |
|
রবিবার বললেই মনে পড়ে যায় হরিনাভির সেই দিনটির কথা। তখনও মাঠে কাদা পায়ে ফুটবল খেলছি। পরনে হাফ প্যান্ট। হঠাৎ এক জন চেনা মানুষ এসে বলল, ‘চল গান গাইবি।’ বাবা অমরেশ চৌধুরী নরেন্দ্রপুর ব্লাইন্ড অ্যাকাডেমির সঙ্গীতের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। সেই সূত্রে গানের সঙ্গে পরিচয় ছিল। কাদামাখা হাত-পা যথাসম্ভব পরিষ্কার করে মানুষটির সাইকেলের কেরিয়ারে চড়ে চললাম গান গাইতে। পর দিন ওই মানুষটিই কতকগুলি প্যাকেট নিয়ে হাজির। তখনও আমি ফুটবল পেটাচ্ছিলাম। শুনলাম সেটা নাকি ছিল একটি প্রতিযোগিতা। আর আমিই প্রথম হয়েছিলাম। এ ঘটনায় দারুণ একটা মনোবল পেলাম। তার মাসখানেক বাদে বাবার সঙ্গে বর্ধমানের একটা সঙ্গীত সম্মেলনে গিয়েছি। বাগেশ্রী রাগে বিলম্বিত এক তালে একটা বড় খেয়াল ও দ্রুত তিন তালে একটা ছোট খেয়াল শোনালাম। সেই প্রথম বার বাবা খেয়াল করলেন আমাকে। এবং ফেরার পথে বললেন, ‘এ বার থেকে রোজ আমার কাছে রেওয়াজে বসবে। আর বসলেই প্রতিবার রেওয়াজের জন্য এক টাকা করে পাবে।’ সেটা ছিল ’৬৯-’৭০ সাল। তখন এক টাকার মূল্য অনেক।
মায়ের খুব ইচ্ছে ছিল আমি সায়েন্স পড়ে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার কিছু একটা হই। সেই মতোই লেখাপড়াও চলছিল। এমন সময় স্বামী লোকেশ্বরানন্দ, যিনি বাবার সূত্রে আমাদের পরিবারের সঙ্গে ইতিমধ্যেই পরিচিত, তিনি এক দিন ডেকে পাঠালেন আমাকে। বললেন, তোমার মায়ের ইচ্ছা তুমি ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হও। বাবার ইচ্ছা সঙ্গীতচর্চা করো। তোমার কী ইচ্ছা? আমি একটু চুপ করে রইলাম। তাই দেখে উনি বললেন, দেখো তুমি যদি ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হও, ভারতের হাজারো ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারের ভিড়ে হারিয়ে যাবে। কিন্তু যদি তুমি নিয়মিত সঙ্গীতচর্চা করো তবে এক দিন সারা পৃথিবী তোমাকে এক জন মাত্র সঙ্গীতশিল্পী সমরেশ চৌধুরী বলেই চিনবে। আমার গতিপথ নির্দিষ্ট হয়ে গেল। বিষয় বদলে হরিনাভি স্কুল থেকে সিলেকশন টেস্ট দিয়ে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে এক বছর নষ্ট করে মিউজিক নিয়ে ক্লাস নাইনে ভর্তি হলাম।
|
|
তখন হস্টেলে অল্প কিছু খাবার প্রায় প্রত্যেক ছাত্রই স্টক হিসেবে পেত। কেউ কেউ আবার বেশি স্টক পেলে ট্রাঙ্কে তালা মেরে রেখে দিত। সে দিকেও দৃষ্টি রাখতাম। পর দিন স্কুল থেকে ফিরে প্রথম কাজ হল তার ট্রাঙ্কের তালা ভেঙে স্টক শেয়ারিং। এ কাজে বেশ সাহায্য করত তবলার হাতুড়িটা!
নরেন্দ্রপুরের পর রবীন্দ্রভারতী। খেলতে ভালওবাসতাম খুব। ইউনিভার্সিটির ক্লাস শেষ হলেই সোজা হাঁটা লাগাতাম শিয়ালদার দিকে। তখন মেট্রো রেলের জন্য সারা কলকাতায় প্রচুর খোঁড়াখুঁড়ি। বাসের জন্য অপেক্ষা করা মানে অনেকটা সময় নষ্ট। শিয়ালদা থেকে সোনারপুর, সেখান থেকে কোনও দিন পায়ে হেঁটে কোনও দিন রিকশায় বা বাসে চেপে আচার্যপল্লির খেলার মাঠ। তার আকর্ষণ প্রচুর। সেই অবস্থায় ইন্টার ইউনিভার্সিটি স্পোর্টসে নাম দিলাম। এবং চারটে ইভেন্টে প্রাইজ এনে দিলাম ইউনিভার্সিটিকে। ফলে ইউনিভার্সিটিতে আমার পরিচিতি হল খেলোয়াড় হিসেবে, গায়ক হিসেবে নয়। পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী তখন মাস্টার্সের আউট গোয়িং ব্যাচ। আমি ফার্স্ট ইয়ার। অল ইন্ডিয়া রেডিয়ো মিউজিক কম্পিটিশনে নাম দিলাম। ফার্স্ট হলাম। রেডিয়োতে ‘এ’ গ্রেড আর্টিস্ট হিসেবে যোগ দিলাম। পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীও সেই প্রতিযোগিতায় যোগদান করেছিলেন।
তখনও রবিবারগুলো অনেক বেশি রঙিন ছিল। সময় পেলেই ছবি আঁকতাম। এক বার বিলাসখানি তোড়ির উপর কল্পনায় একটা ছবি এঁকেছিলাম। বিলাস খান ছিলেন তানসেনের পুত্র। কিন্তু তিনি এক বাইজিকে ভালবেসে তাঁর কাছেই সঙ্গীত শিক্ষা করেন। তাই তানসেন তাঁকে ত্যাজ্যপুত্র করেন। এবং তানসেনের মৃত্যুর পর তাঁর মৃতদেহ কবর দেওয়া হয় গোয়ালিয়রে তাঁর মুসলিম ধর্মগুরু মহম্মদ গাউস-এর পাশে। সে সময়ও বিলাস খানকে খবর দেওয়া হয়নি। পরে বিলাস খান এসে সেই সমাধিক্ষেত্রের পাশে বসে তোড়িতে তাঁর আন্তরিক শোকপ্রকাশ করেন। এই তোড়ি তানসেনের থেকে কিছুটা পৃথক ছিল। কিন্তু তার আবহ এতটাই যন্ত্রণার ছিল যে, তা সহজেই মানুষের মন ছুঁয়ে যায়। তখন সেখানে উপস্থিত লোক জন সেই তোড়ির নাম দেন বিলাসখানি তোড়ি। এই গল্পটার ওপর ভর করে আমি ছবিটা এঁকেছিলাম। |
আমার প্রিয়
মুখ: সন্তানের মুখ
কবি: রবি ঠাকুর
মানুষ: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সঙ্গীতশিল্পী: যন্ত্রানুষঙ্গে পণ্ডিত রবিশংকর, কণ্ঠে ওস্তাদ আমির খান
লেখক: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
গানের দু’কলি: তুমি কিছু দিয়ে যাও মোর প্রাণে...
স্থান: নরেন্দ্রপুর ছাড়া কোথাও ভাল লাগে না। |
|
পরে গোয়ালিয়রে তানসেনের সমাধিক্ষেত্রের সঙ্গে আমার ছবির যে খুব মিল খুঁজে পেয়েছিলাম, তা নয়। তাই ছবিটা একান্তই আমার নিজস্ব ছবি হয়ে গিয়েছে। রাগ প্রসঙ্গে আরও একটা কথা মনে পড়ে গেল। সে বার ভারুচে গিয়েছি ফরমায়েশি অনুষ্ঠানে। তা সেখানে এটা-সেটার পর শ্রোতারা ফরমায়েশ করল মলহার শোনাবার জন্য। সেটা ছিল শীতকাল। মলহার শোনানোর ইচ্ছে আমার মোটেও ছিল না। তা আমি বললাম, ‘মলহার মাত চাহিয়ে, ইতনা বারিস হোগা আপকো বহুত তকলিফ হোগা ইতনি ঠন্ডমে’। তা ওরা শুনল না। ফরমায়েশ করল আবারও। বাইরে তখন ঝলমলে চাঁদ। আমি মলহার ধরলাম। প্রথমে মিঞা কি মলহার, পরে মেঘ মলহার। বললে বিশ্বাস করবেন না, চাঁদ ঢেকে গিয়ে সত্যিই বৃষ্টি শুরু হল। বন্ধুরা এখনও প্রায়ই বলে, ‘খুব গরম পড়েছে রে, এ বার তুই একটা মলহার ধর’। এক বার মনে পড়ছে ডোভার লেন সঙ্গীত সম্মেলনে গিয়েছি। আমার পরেই আছেন পণ্ডিত রবিশংকর। আমার সময় শেষ। শ্রোতারা প্রচুর গোলমাল করছে। এমন সময় পণ্ডিতজি নিজে স্টেজে এসে বললেন, ‘ছেলেটি বড় ভাল গাইছে। আপনারা ওকে আরও পনেরো মিনিট গাইতে দিন।’ সেই প্রথম গান গেয়ে এক হাজার টাকা পেলাম। তার পর দিন উনি নিজে লোক পাঠিয়ে আমাকে ওঁর কলকাতার বাসস্থানে ডেকে অনেক লোকের সামনে কী আদর করলেন। সে কথা আমি আজও ভুলতে পারি না। পরে গুরুজির কাছে গাণ্ডা বাঁধি। একসঙ্গে অনেক অনুষ্ঠানও করি। কিন্তু প্রথম দিনের সেই নবীনকে জায়গা করে দেওয়ার মহানুভবতা কখনও ভুলব না।
|
সাক্ষাৎকার সুতপা চক্রবর্তী
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য |
|
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের |
• এক জন মন্ত্রীর মন্তব্য সম্পর্কে তাঁরই জোট সরকারের আর এক মন্ত্রী বলেছেন, ‘পাগলে কি না বলে ছাগলে কি না খায়’! ‘আবোল তাবোল’ বকে এরা সত্যিই রাজকর্মকে ‘হযবরল’ বানিয়ে দিলেন!
বসন্ত সেন। হাবড়া
• গত ইংল্যান্ড সফরে আমাদের বাঘা বাঘা ক্রিকেটাররা ‘খোকাবাবু’ চেহারা নিয়েছিলেন। মাঝে দেশের মাঠে অনুকূল পরিস্থিতি এবং দর্শক সমর্থনে পরিস্থিতির পরিবর্তনে ‘রাজাবাবু’ হলেও অস্ট্রেলিয়ার মাঠে যথারীতি ‘খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’ ঘটল!
মণ্টি দাস। যোরহাট
• ‘অসি’তে আসিয়ো না ভারতীয় ক্রিকেট দলের উদ্দেশে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দল!
কাজী পারভেজ।
• অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় বোলিংয়ের ছিরি দেখেছেন! যাঁরা এক জন ‘ক্লার্ক’কে আউট করতে পারে না, তাঁরা কোনও ‘ডন’-এর পাল্লায় পড়লে কী হত!
সজলকান্তি ঘোষ। বারুইপুর
• এক জন টিম ইন্ডিয়ার হয়ে পৌষমাসে এক দিনের ক্রিকেটে নির্বাচিত, তখন মাঘের প্রথম দিনে অন্য জন ডানা ছাঁটাই হয়ে প্রায় নির্বাসিত। সত্যি একেই বলে এক মনোজের (তিওয়ারি) পৌষমাস, আর অন্য মনোজের (চক্রবর্তী) সর্বনাশ!
উজ্জ্বল গুপ্ত। তেঘড়িয়া
• পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর কলকাতার পরিচিত বিধ্বংসী আগুনেরও রূপ পরিবর্তন করতে দিদি সমান সচেষ্ট। তাই তো দিদির ইচ্ছায় দিল্লিতে এ বারের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলোর সঙ্গে ‘নীল দিগন্তে ওই ফুলের আগুন লাগল’ গানটি বাজবে!
গৌতম মুখোপাধ্যায়। খড়দহ
• সেনাপ্রধান জেনারেল ভি কে সিংহের বয়স নিয়ে জটিলতা প্রসঙ্গে ভিড়ের বাসে মন্তব্য: ‘জেনারেল’ না হলে বয়সের ব্যাপারে ছাড় পাওয়া যেত!
বোধিসত্ত্ব। বড়িশা
• শিক্ষামহলে প্রশ্ন, রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শত্রুঘ্ন সিংহ কি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের ‘খামোশ’ করতে পারবেন?।
রতন দত্ত। বাঘাযতীন
•বাদশা খোঁড়া বলে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এসে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এত সময় লাগল। আর পুলিশ কি তার চেয়েও খোঁড়া যে এর আগে তার কাছে পৌঁছতেই পারল না?
মণিদীপা। |
|
|
|
মুখে স্টপ অনলাইন পাইরেসি আর
প্রোটেক্ট ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অ্যাক্ট।
আসলে দ্যাট ইজ নট দ্য ফ্যাক্ট।
লোকে যত বেশি জানে তত কম মানে,
তাই এই সব সরকারি ট্যাক্ট।
ঘুঁটের মালা নাও, ইন্টারনেটের গলা টিপা ধরতে চাওয়া সোপা-পিপা |
|
|
|
বন্যা চট্টোপাধ্যায় |
প্রথম দিনের প্রথম অনার্স ক্লাস সবে শেষ হয়েছে। সামনের বেঞ্চ থেকে একটি ছেলে এসে সটান সামনে দাঁড়াল। একমাথা কোঁকড়ানো চুলের নীচে দুটো প্রাণবন্ত চোখে চোখ আটকাল। ‘তুমি কি... থেকে আসছ? তোমার নাম...?’ সমবয়সী ছেলেদের সঙ্গে কথা বলার অভ্যাস আমার কোনও কালেই ছিল না। এ যাবৎ গার্লস স্কুলে পড়া আমি চশমাটা নাকের ওপর আর একটু তুলে গম্ভীর গলায় বললাম হ্যাঁ, কেন? সে উত্তর দিল, ‘আমার দিদি তোমার দিদির সঙ্গে একই ইউনিভার্সিটিতে পড়ে যে, সে-ই আমায় তোমার কথা বলেছে।’ চিরকালের আনস্মার্ট আমি কোনও রকমে বললাম ও, আচ্ছা। বাড়ি গিয়ে বলব দিদিকে। সে আমায় চমকে দিয়ে হাত বাড়িয়ে বলল, ‘দেন, লেট আস বি ফ্রেন্ডস।’ স্পর্ধা দেখে আমি স্তম্ভিত। কটমট চোখে তাকাতেই মুখের অনাবিল হাসিটা পলকে নিভে গেল। তার পর হাতটা গুটিয়ে অপ্রস্তুত হেসে চলে গেল নিজের জায়গায়। পাশে বসা বান্ধবী ফুট কাটল এ তো দেখতে পুরো কেষ্টঠাকুর রে! বাঁশিটাই যা নেই।
সেই শুরু। তার পর তিনটি বছরে বাঁশি যে কখন সাপুড়ের বাঁশি হয়ে উদ্যত ফণাকে বশ করেছে। কবে যে বন্ধুত্বের সংজ্ঞা বদলে গিয়েছে নির্ভরতায়, বুঝতেই পারিনি। এর পর উচ্চ শিক্ষার জন্য দু’জনের দু’দিকে ছিটকে যাওয়া, স্বনির্ভর হওয়ার লড়াই। মোবাইল তখনও অচেনা শব্দ। ন’মাসে, ছ’মাসে পাশের বাড়ির টেলিফোনে ভেসে আসা গলা মনে পড়িয়ে দেয়, আমি আছি। অবশেষে আমার সরকারি চাকরি লাভ। সে খবরটাও নিজমুখে জানাতে পারিনি। ইতিমধ্যে সেও স্বনির্ভর হয়েছে। দীর্ঘ তিন বছর পর দেখা হল। দু’জনের হাতেই প্রথম বেতনের টাকায় কেনা পরস্পরের জন্য জমিয়ে রাখা উপহার। ছ’মাস পরে দুই বাড়ির গুরুজনেরা একমত হলেন।
কেটে গিয়েছে প্রায় দশটি বছর। অনেক ঝড়-ঝাপ্টা, কষ্ট-যন্ত্রণার দিনগুলো অনায়াসে পেরিয়ে এলাম প্রথম দিনের বাড়িয়ে দেওয়া সেই হাতকে ধরে। বাবা-মা’র পর জীবনের পরম প্রিয় সেই বন্ধু, আমার বাঁশিওয়ালার মুখের হাসিটি আজও অমলিন। |
|
|
সাহিত্যিকের স্বাধীনতাকামী বাঙালির আবেদন —
দিদি, রুশদির কেসটায় একটু পুশ দিন
অনপ্রিয় চট্টরাজ, দুর্গাপুর |
|
|
|
ক্ষমা চাইছি |
|
স্ত্রীর সহকর্মীর বোন স্কুলে শাড়ি, বেডশিট, চাদর বিক্রি করতে আসত। আমাকে জামাইবাবু বলে ডাকত। বেশ কয়েক মাস পর বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে এক বস্ত্র মেলায় গিয়েছি। আমি দোকানের বাইরে আর আমার স্ত্রী ভিতরে শাড়ি দেখছে। হঠাৎ করে সেই ভদ্রমহিলা সামনে এসে বললেন, ‘কী জামাইবাবু, ভাল আছেন?’ মজা করে বললাম, আপনি কি আমাকে কিছু বলছেন? ভদ্রমহিলা অবাক হয়ে বললেন, ‘আপনি অমরকানন স্কুলের শীলাদির বর তো, ওখানের ব্যাঙ্কে চাকরি করেন।’ বললাম, আপনি বোধ হয় কোথাও ভুল করছেন। আমার বাড়ি হাড়মাসড়াতে, ওইখানের স্কুলের শিক্ষক। ভদ্রমহিলা ‘সরি’ বলে চলে যাওয়ার সময় বললেন, ‘আসলে উনি একদম আপনার মতো দেখতে।’ বাড়ি ফেরার পথে স্ত্রীকে সব বলছি আর হাসছি। ভেবেছিলাম পরে স্কুলে সত্যি কথাটা বলে দেব। ১৭ দিন পরে শুনলাম, উনি সেরিব্রাল স্ট্রোকে হঠাৎ মারা গিয়েছেন।
অরূপ রক্ষিত, বাঁকুড়া |
|
ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১
|
|
|
|
|
|
|