জেলার বেশির ভাগ হাইস্কুলগুলিতে সরকারি পাঠ্যবই সরবরাহ না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে ছাত্রছাত্রীরা। পাঠ্যবই-এর অভাবে নতুন শিক্ষাবর্ষে দক্ষিণ দিনাজপুরের স্কুলগুলি পঠন-পাঠনই শুরু করে উঠতে পারেননি। চিন্তিত স্কুলের শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকেরাও। জেলার ২৫৭টি হাইস্কুলের মধ্যে ৯০টি স্কুলে এখনও পর্যন্ত কোনও বই এসে পৌঁছায়নি। বাকি ১৬৭টি হাইস্কুলের পড়ুয়ারাও সব বই পায়নি। কোথাও অঙ্ক, ইতিহাস বই আবার কোনও স্কুলে ইংরেজি-পরিবেশ-বিদ্যার দুটি বই দেওয়া হয়েছে। এতে এ মাস থেকে নয়া পাঠ্যক্রমে পঠনপাঠন শুরু না হওয়ায় সব মিলিয়ে প্রায় ৬ লক্ষ ছাত্রছাত্রী বিপাকে পড়ে গিয়েছে। কেননা, মার্চ থেকে স্কুল গুলিতে শুরু হচ্ছে ইউনিট-টেস্ট। এতে চিন্তিত শিক্ষক থেকে অভিভাবকেরা পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়াদের বই কেনার টাকা বিলির বদলে এই বছর শিক্ষা সংসদ চারটি পাঠ্য পুস্তক সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেয়। ইংরেজি, অঙ্ক, ইতিহাস এবং পরিবেশ বিদ্যা’র বইগুলি ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে স্কুলে স্কুলে বই পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরুও হয়। কিন্তু এখনও সব স্কুলে বই পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের সর্বশিক্ষা মিশনের প্রকল্প আধিকারিক তপন সিংহ বলেন, “ছাত্রছাত্রী অনুপাতে বই কম আসায় সমস্যা হয়েছে। শীঘ্রই সব স্কুলে বই পৌঁছে যাবে।” বালুরঘাট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ কুণ্ডু বলেন, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির বই ঠিকঠাক সব পাওয়া যায়নি।” এতে পঠন পাঠনে খুব সমস্যা হচ্ছে এবিটিএ-র জেলা সম্পাদক কল্যাণ দাস অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, “পাঠ্যবই বিলি-বন্টন বিষয়ে সংসদের তরফে কোনও আলোচনা করা হয়নি। বইয়ের ঘাটতি রয়েছে। মার্চের শুরু থেকে স্কুলগুলিতে ইউনিট টেস্ট হবে। অথচ এই নিয়ে সে ভাবে সরকারি তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।” তৃণমূল শিক্ষা সেলের জেলা সভাপতি উজ্জ্বল বসাক বলেন, “হিসাবের ভুলে ছাত্রছাত্রী অনুপাতে বই কম আসায় সব স্কুলে তা সরবরাহ করা যায়নি। কলকাতায় শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। দ্রুত স্কুলগুলিতে পাঠ্যবই পৌঁছে দেওয়া হবে।” |