বহরমপুর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক দল ‘রাজি’ হননি। তাই ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ থানার আইসি ইন্দ্রজিৎ কুণ্ডুর দেহ শুক্রবার সন্ধ্যায় বহরমপুর থেকে বর্ধমানে মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে লালবাগে নিজের কোয়ার্টারে মারা গিয়েছিলেন ওই পুলিশ অফিসার। পরে দরজা ভেঙে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। লালবাগে তিনি একাই থাকতেন। ওই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে জেলা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর পূরব রায়, নারায়ণ স্বর্ণকার ও শান্তি পাল, তিন চিকিৎসককে নিয়ে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে ময়ানতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এ দিন দুপুরে পুলিশ মর্গে পৌঁছে মৃতদেহ দেখে ‘সন্দেহ’ হওয়ায় ওই তিন চিকিৎসকই ময়নাতদন্তে রাজি হননি বলে অভিযোগ। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা (স্বাস্থ্য, প্রশাসন) বিআর শতপথী বলেন, “ওই তিন চিকিৎসক ময়নাতদন্তে রাজি হননি বলে শুনেছি। এ ব্যাপারে জেলা সদর হাসপাতালের সুপারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও ওই তিন চিকিৎসকের কাছে গোটা বিষয়টি লিখিত ভাবে জানতে চেয়েছে। সুপার পার্থ দে বলেন, “ময়নাতদন্ত করতে রাজি না হওয়ার কারণ ওই তিন চিকিৎসকের কাছে লিখিত ভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে। তাঁদের লিখিত জবাব রিপোর্ট আকারে তৈরি করে স্বাস্থ্যভবনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।” কেন তাঁরা ময়নাতদন্তে রাজি হলেন না? চিকিৎসকদের এক জন বলেন, “মৃতদেহের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং তা দেখে সন্দেহ হওয়ায় কোনও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞকে দিয়ে ময়নাতদন্ত করানোর কথা লিখিত ভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” এর পরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বর্ধমানে মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক বিভাগে ময়নাতদন্তের জন্য ওই মৃতদেহ পাঠানোর কথা পুলিশকে জানিয়ে দেয়।” এর পরেই সন্ধ্যায় ওই পুলিশ অফিসারের দেহ বর্ধমানে নিয়ে যাওয়া হয়। জেলা পুলিশ সুপার ভরতলাল মিনা বলেন, “হাসপাতালের চিকিৎসকেরা ময়নাতদন্ত করতে রাজি হননি বলে ওই পুলিশ অফিসারের মৃতদেহ বর্ধমানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসারকে দিয়ে ওই পুলিশ অফিসারের মৃত্যুর তদন্ত চলছে। সেই সঙ্গে এসএফএল (ফরেন্সিক ক্রাইম ল্যাবরেটরি) এবং ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞ নিয়ে আসা হয়েছে।” |