রাজ্যে পরিবহণের হাল ফেরাতেও এ বার মেন্টর গ্রুপ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রেসিডেন্সির মান উন্নয়নের পথ বাতলানোর ভার দেওয়া হয়েছে মেন্টর গ্রুপকে। ভাড়া না-বাড়িয়ে নিজেদের পরিবহণ সংস্থাগুলিকে লাভজনক করে তোলার পথ খুঁজতে এ বার সেই ধাঁচেই মেন্টর গ্রুপ তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার মহাকরণে এ কথা জানান পরিবহণ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী মদন মিত্র।
পরিবহণমন্ত্রী বলেন, “রাজ্য সরকার প্রতি বছর পরিবহণ সংস্থাগুলিকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়। এটা দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আমরা ভাড়া না-বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিবর্তে কী ভাবে পরিবহণকে আধুনিক এবং লাভজনক করে তোলা যায়, তার জন্য একটি মেন্টর গ্রুপ তৈরি করা হবে।” তবে মেন্টর গ্রুপে কারা থাকবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। মন্ত্রীর কথায়, পরিবহণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ, এমন কয়েক জনকে নিয়েই ওই মেন্টর
গ্রুপ তৈরি করা হবে।
পরিবহণ সংস্থাগুলিতে বাসের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ঠিকমতো হয় না বলে অভিযোগ করেন মন্ত্রী। মদনবাবু জানান, শনিবার থেকেই তিনি কলকাতার বিভিন্ন গ্যারাজ পরিদর্শনে বেরোবেন। তবে কনভেনশন হলেও রাজ্যের বিভিন্ন পরিবহণ নিগমের কর্তৃপক্ষ ও কর্মী-নেতাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবিত ২৫ জানুয়ারির বৈঠক স্থগিত হয়ে গিয়েছে। পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, ব্যস্ততার কারণে মুখ্যমন্ত্রী সময় দিতে পারছেন না। রাজ্যের পাঁচটি পরিবহণ নিগমের কর্মীরা অক্টোবর ও নভেম্বরের বেতন অনেক দেরিতে পেয়েছেন। ডিসেম্বরের বেতন নিগম-কর্মীরা এখনও পাননি। কবে বেতন ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে এবং কী ভাবে নিগমগুলির সংস্কার হবে, তা নিয়ে সরকারের মনোভাব জানাতে মুখ্যমন্ত্রী ওই বৈঠক ডেকেছিলেন।
পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সিটিসি-র ২৫৮ জন কর্মী তিন মাসের বেতন পাননি। এনবিএসটিসি-র ৮৬ জন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পরিবহণসচিব বি পি গোপালিকা বলেন, “নিগম-কর্তাদের কাছে কিছু প্রশ্নের উত্তর চেয়েছে অর্থ দফতর। সেগুলো পেলে অর্থ দফতর টাকা বরাদ্দের কথা বিবেচনা করবে।” মদনবাবু অবশ্য নিগমগুলির সমস্যা সম্পর্কে পুরো
অবহিত নন। তাঁর মন্তব্য, “নিগমগুলির কর্মী-প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে সমস্যা বোঝার চেষ্টা করব।” |