টুকরো খবর |
দুই পরিবারে সংঘর্ষ, ধৃত ২ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুঞ্চা |
দু’টি পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষে ৮ জন জখম হয়েছেন। আহতদের প্রথমে পুঞ্চা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরে তাঁদের পুরুলিয়া সদর হাসপাতাল ও বাঁকুড়া মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে পুঞ্চা থানার গোবরদা গ্রামে। পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিতর্কের সূত্রপাত বুধবার বিকেলে। গোবরদা গ্রামের বাসিন্দা জানকী দাস বাউরি জানান, এই বছর তাঁর নাতি কিয়ানন্দের সঙ্গে পড়শি উদ্ধবের মেয়ে শোভার বিয়ে হয়। তাঁর অভিযোগ, “বিয়ের চার মাস পরে বাপের বাড়ির পরামর্শে শোভা গণ্ডগোল লাগিয়ে বাপের বাড়িতে গিয়ে থাকতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ ওই পরিবারের মেয়ার বাড়ির লোকেরা লাঠি-শাবল নিয়ে হামলা চালায়। বাধা দিতে গিয়ে আমার দুই ছেলে ফটিক ও বিধান, নাতি কিয়ানন্দ, বউমা রিঙ্কু-সহ আরও তিন সদস্য আহত হয়েছে।” পুঞ্চা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকা কিয়ানন্দ ও তাঁর কাকিমা রিঙ্কু বলেন, “ওরা কেন হামলা চালাল বুঝতে পারছি না।” পড়শি উদ্ধব বাউরির দাবি, “মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর থেকে ওই পরিবারের সঙ্গে অশান্তি লেগেই রয়েছে। আমার দাদা ভরত ও মিলন বাউরি জখম হয়ে পুরুলিয়া সদর হাস্পাতালে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।” উদ্ধব বাবুর স্ত্রী পূর্ণিমা দেবীর অভিযোগ, “বৃহস্পতিবার সকালে মেয়ে শোভাকে একা পেয়ে জামাই কিয়ানন্দ মারছিল। খবর পেয়ে আমি ছুটে যাই। আমাকেও জামাই মারতে শুরু করে।” শোভাদেবীর অভিযোগ, “বিয়ের পরে জানতে পারি স্বামীর বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক আছে। প্রতিবাদ করতে গেলেই আমাকে মারধর করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে নদীর ঘাটে আমাদের মধ্যে এই নিয়ে প্রথমে বচসা এবং পরে মারতে শুরু করেন।” যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শোভাদেবীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত মেয়ের কাকা সহদেব বাউরি ও ছেলের বাবা ফটিক বাউরিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
|
উন্নয়নের পরিকল্পনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
বাঘমুণ্ডির মাওবাদী উপদ্রুত অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সার্বিক উন্নয়নে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পকে অন্যতম হাতিয়ার করতে চাইছে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার অযোধ্যায় গিয়ে পঞ্চায়েত সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে জেলাশাসক অবনীন্দ্র সিংহ। জেলাশাসক বলেন, “আমরা ওই এলাকায় গিয়ে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে তাঁদের সমস্যার কথা শুনেছি। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমেই ওই এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ঘটানো হবে।” প্রত্যন্ত ওই গ্রাম পঞ্চায়েতকে মডেল পঞ্চায়েত হিসাবে গড়ে তুলতে চায় জেলা প্রশাসন। বস্তুত, সরকারি প্রকল্প রূপায়ণ না হওয়া এবং সরকারি সাহায্য না পৌঁছনোর কারণে উন্নয়নের নিরিখে জেলা তথা রাজ্যের পিছিয়ে থাকা পঞ্চায়েতগুলির অন্যতম হল অযোধ্যা। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন দফতরের পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে অযোধ্যায় গিয়েছিলেন জেলাশাসক। তিন ঘণ্টা বৈঠক হয়। ছিলেন ওই পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ৪০০ বাসিন্দা। প্রশাসন সূত্রের খবর, ১০০ দিন কাজের প্রকল্পকে ব্যবহার করে এলাকার উন্নয়ন করা হবে। ওই প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকার ছোট-বড় ডোবা ও পুকুরগুলির সংস্কার করলে এক দিকে যেমন কর্মসংস্থান হবে, তেমনই জল সংরক্ষণের দিকেও কয়েক ধাপ এগোনো সম্ভব হবে। এতে চাষের কাজে সাহায্য হবে। বাঘমুণ্ডির বিডিও শুভঙ্কর রায় বলেন, “এই পঞ্চায়েত এলাকার উন্নয়নে আমরা জল ধরো, জল ভরো প্রকল্প নিয়েই কাজ করব।”
|
অগ্নিদগ্ধ বধূর মৃত্যু, ধৃত স্বামী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাঁওতালডিহি |
অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক বধূর। মৃতার নাম শিল্পা মাহাতো (২২)। তিনি সাঁওতালডিহি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের টাউনশিপের আবাসনের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সাঁওতালডিহি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পরে শুক্রবার সকালে মৃতার বাবা বিমলচন্দ্র মাহাতো পুলিশের কাছে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মেয়েকে খুন করার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মৃতার স্বামী স্কুল শিক্ষক অসিত মাহাতোকে গ্রেফতার করেছে। এদিন অসিতবাবুকে রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁর ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আট মাস আগে কাশীপুর থানার আগরডি গ্রামের বাসিন্দা শিল্পার সঙ্গে সাঁওতালডিহির বাসিন্দা অসিত মাহাতোর বিয়ে হয়েছিল। মৃতার বাবার অভিযোগ, “বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়ের উপর অত্যাচার করত। ওরাই আমার মেয়েকে পুড়িয়ে খুন করেছে।” এদিকে অসিতবাবুর দাবি, “বাড়িতে রান্না করার সময় পরনের কাপড়ে আগুন লেগে স্ত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। ওকে বাঁচাতে গিয়ে আমিও সামান্য পুড়ে গিয়েছি।”
|
চোর সন্দেহে মার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাঁকুড়া |
চোর সন্দেহে দুই নাবালককে মারধর করলেন বাসিন্দারা। শুক্রবার দুপুরে বাঁকুড়া শহরের মাচানতলায় ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। মাচানতলার এক বাসিন্দার বাড়ির দোতলায় ওই দু’জনকে বাড়ির লোকজন ধরেন। বাড়ির বাইরে তাদের নিয়ে আসা হয়। চুরি করতেই তারা ঢুকেছিল বলে অভিযোগ তুলে বাসিন্দারা মারধর করতে শুরু করেন। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
|
ধৃত উপপ্রধান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইন্দাস |
তৃণমূল কর্মীকে মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সিপিএমের এক পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃত প্রদীপ ঘোষের বাড়ি ইন্দাস থানার চাঁদ গ্রামে। তিনি স্থানীয় দীঘলগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার প্রদীপবাবুর জামিন মঞ্জুর করে বিষ্ণুপুর আদালত। শনিবার তৃণমূলের একটি মিছিলে যোগ দিতে যাওয়া এক তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগে তাঁকে ধরা হয়। সিপিএমের ইন্দাস জোনাল কমিটির সম্পাদক অসীম দাসের দাবি, “তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট হয়েছিল। প্রদীপবাবুর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।” তৃণমূলের ইন্দাস ব্লক সভাপতি রবিউল হোসেনের দাবি, “অভিযোগ মিথ্যা নয়।”
|
দুর্ঘটনায় মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। মৃত নকুল মাহাতোর (৫২) বাড়ি পাড়া থানার রিগুডি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, ছররায় একটি বেসরকারি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন নকুলবাবু। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় লরি ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। লরিটিকে পুলিশ আটক করতে পারেনি।
|
অবরোধ |
|
ছবি: সুজিত মাহাতো |
সহায়ক মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ধান কেনার দাবিতে শুক্রবার পুরুলিয়া মফসস্ল থানার কংসাবতী সেতুর কাছে পুরুলিয়া-জামশেদপুর সড়ক ও বেলকুড়ি গ্রামের কাছে পুরুলিয়া-রাঁচি সড়ক অবরোধ করল সিপিএমের কৃষক সংগঠন সারা ভারত কৃষক সভা। এ দিন বেলা ১১টা থেকে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে এই পথ অবরোধের ফলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। |
গাঁজা উদ্ধার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আদ্রা |
মাদক পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশের দাবি, তাদের কাছ থেকে তিন কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত সাবির আনসারির বাড়ি পুরুলিয়ার আদ্রার চুনাভাটিতে। অপর ধৃত বাঁকা কুমারের বাড়ি কোটশিলা থানার বড়তোড়িয়া গ্রামে। বুধবার রাতে আদ্রার মহরম মাঠ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। |
|