নিজস্ব সংবাদদাতা • খয়রাশোল |
ইন্দিরা আবাস প্রাপকের তালিকায় নাম উঠেছে। প্রাপ্য টাকাও পেয়ে গিয়েছিলেন উপভোক্তা। কিন্তু আবাসই তৈরি হয়নি। অথবা ইন্দিরা আবাস প্রাপকের নাম উঠেছে একজনের, অন্য জন বেনামে সেই টাকা ‘আত্মসাৎ’ করেছেন। ইন্দিরা আবাস যোজনাকে ঘিরে সিপিএম পরিচালিত খয়রাশোলের পাঁচড়া পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে এ রকম নানা অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী বিপিএল তালিকাভুক্ত কোনও ব্যক্তির যদি জমি থাকে এবং নিজস্ব বাড়ি না থাকে তা হলেই তিনি ইন্দিরা আবাস প্রাপকের তালিকায় নির্বাচিত হতে পারেন। নির্বাচিত হওয়ার পরে উপভোক্তা বাড়ি তৈরির নির্ধারিত টাকা (মোট ৪৫ হাজার টাকা) পাবেন ২টি ধাপে। প্রথম ধাপে টাকা পাওয়ার পরে বাড়ি তৈরি শুরু করবেন এবং বাড়ির কাজ অর্ধেক শেষ হওয়ার পরে এলাকার নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য বিষয়টি দেখে নিশ্চিন্ত হওয়ার পরেই দ্বিতীয় ধাপের টাকা ওই উপভোক্তা পাবেন।” তাঁর অভিযোগ, “কিন্তু ওই পঞ্চায়েত এলাকার ইন্দিরা আবাস প্রাপকদের একটা বড় অংশ কোনও বাড়ি তৈরি না করেই দু’টি ধাপের টাকাই আত্মসাৎ করেছেন। যা অত্যন্ত অন্যায়।” ওই তৃণমূল নেতার আরও দাবি, “এমন কী ওই এলাকায় বর্তমানে বাসই করেন না এমন এক ব্যক্তিও ইন্দিরা আবাস প্রাপকদের তালিকায় রয়েছেন। তাঁর নামে নির্ধারিত টাকা অন্য একজন তুলে নিয়েছেন। অন্য দিকে বাড়িটিও তৈরি হয়নি।”
কিন্তু অভিযোগ মানতে চাননি পঞ্চায়েত প্রধান সিপিএমের দামোদর বাগদি। তিনি বলেন, “তৃণমূলের অভিযোগ যথার্থ নয়। ইন্দিরা আবাসের টাকা যাঁরা পেয়েছেন তাঁরা প্রায় সকলেই বাড়ি করিয়েছেন। দু’একজন বাড়ি না করালেও শীঘ্রই বাড়ি করাবেন।” কিন্তু বাড়ি না করিয়েও কী ভাবে তাঁরা ইন্দিরা আবাসের পুরো টাকাটা পেলেন সে বিষয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি প্রধান। এ দিকে যারা পুরো টাকা পেয়েও বাড়ি বানাননি তাঁদের মধ্যে দু’জন অবশ্য দাবি করেছেন, খুব তাড়াতাড়ি তাঁরা বাড়ি তৈরি করাবেন।
স্থানীয় তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি পাঁচড়া পঞ্চায়েতে একটি স্মারকলিপি তারা দিয়েছে। ইন্দিরা আবাস প্রকল্পে বেনিয়ম নিয়ে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের দামোদর বাগদির কাছে জবাবদিহি চাওয়া হলেও মেলেনি কোনও জবাব। তৃণমূলের আরও দাবি, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই খয়রাশোলের বিডিও’র দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।
খয়রাশোলের বিডিও উজ্জ্বল মণ্ডল অবশ্য বলেছেন, “এ ব্যাপারে কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” |