|
|
|
|
শনিবারের নিবন্ধ ৩... |
ফুর্তির ফর্মুলা |
হইচই |
বন্ধুরা মিলে পিকনিক। অথবা পরিবারের সবাই। আইফোনে ফেসটাইম অ্যাপ্লিকেশনটা অন রাখবেন। নয়তো ব্ল্যাকবেরিতে বিবিএম আর অন্য কিছুতে স্কাইপি অ্যাপ্লিকেশনটা। চাইলে লাইভ আড্ডাও মারতে পারবেন। ভিডিও-সহ। আপনারা কী খাচ্ছেন, কী করছেন, নিউ ইয়র্কের বন্ধুরা বা সিঙ্গাপুরের মেসোমশাইও দেখতে পাবেন। এক কথায় ইন্টারন্যাশনাল পিকনিক। ট্যুইটার বা ফেসবুকেও সমানে ছবি আপলোড করে যান।
ফোনগুলো আগে থেকেই চার্জ করে নিন। সঙ্গে চার্জারটাও রাখুন।
গানটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেক স্পটেই নিজস্ব সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা থাকে। নিজের পছন্দমতো সিডি নিয়ে যান, তা হলেই হবে।
পিকনিকের গান হবে হইচই, নাচাগানার গান। যেমন ‘কোলাভেরি ডি’, ‘তেনু মাই লভ’, ‘ঝিনকা চিকা’। আর বাংলা হলে ‘লাগা পেয়ার কা ঝটকা’, ‘হান্ড্রেড পারসেন্ট লাভ’, ‘খোকা চারশো বিশ’-এর মতো কিছু। যেখানে যাচ্ছেন, সেখানে যদি সাউন্ড সিস্টেমের ব্যবস্থা না থাকে, তা হলে নিজস্ব ব্যবস্থা রাখুন। সাউন্ড সিস্টেম, জেনারেটর সব আলাদা করে ভাড়া পাওয়া যায়। শুধুই পিকনিকের জন্য। তবে যে স্পটে যাচ্ছেন, সেখানে এ সব ব্যবহার করা যায় কি না, সেই খোঁজটাও আগে থেকে নেবেন। ছোট দল হলে পোর্টেবল ব্যাটারি-চালিত সাউন্ড-সিস্টেম নিয়ে যান।
বাচ্চাদের জন্য ব্যাডমিন্টন র্যাকেট, ফেদার কর্ক, হাল্কা বল, এ সবের ব্যবস্থা রাখবেন। আর ক্রিকেটটা তো সব সময়ই চলতে পারে।
|
খাওয়াদাওয়া |
এখন অনেক স্পটেই ক্যান্টিন বা রেস্তোরাঁ আছে। তেমন হলে, সেখানেই আগে থেকে খাবারের অর্ডার দিয়ে রাখুন।
যদি রেস্তোরাঁ না থাকে, নিজেরা রান্না করার হ্যাপা নেবেন না। পিকনিকের ফুর্তি মাটি হবে। দল ছোট হলে, প্যাক করা খাবার নিন। বড় হলে পরিচিত ক্যাটারারকে ভার দিন। রান্নার ব্যাপারটা চোখে-চোখে রাখতে পারবেন। ঝুলিয়ে দেওয়ার চান্স নেই।
|
সঙ্গে রাখুন |
ফার্স্ট-এড বক্স। পিকনিকের হইচইয়ের মধ্যে ছোটখাটো আঘাত লাগতেই পারে। মাথাধরা, অ্যান্টাসিড আর বমির ওষুধও হাতের কাছে রাখবেন। যাতায়াতের ঝক্কি, গুরুপাক খাওয়া, রোদে খেলাধুলো এ সব ওষুধ কাজে লাগবেই লাগবে। |
|
|
|
|
|