|
|
|
|
শনিবারের নিবন্ধ ২... |
স্পট ফিক্সিং |
অন্য রকম জায়গা। প্রকৃতির মাঝে। তবে সুব্যবস্থার অভাব নেই। সন্ধান দিচ্ছেন সন্দীপন মজুমদার |
টাকির ইছামতী |
এপারে ভারত, ওপারে বাংলাদেশ। মাঝখানে ইছামতী। দেখার জায়গা রামকৃষ্ণ মিশন, কুলেশ্বরী কালীবাড়ি, মিনি সুন্দরবন, পুরনো রাজবাড়ি। ইছামতীর ওপর নৌকো চড়ে চলে যেতে পারেন মাছরাঙা দ্বীপে। ভাড়া ঘণ্টা দেড়েকের জন্য ৩০০-৩৫০ টাকা। টাকির খেজুর গুড় বিখ্যাত। মাটির হাঁড়ি নিয়ে ফেরায় সমস্যা না হলে, কিনতে পারেন।
স্পট পরিচয়: ১। সুহাসিনী গেস্ট হাউজ নদীর ধারেই। পিকনিকের পর একদিন থেকেও যেতে পারেন।
ডবল-বেড ঘর ভাড়া: ৪০০-৬০০ টাকা। পিকনিকের ব্যবস্থা সামনের বাগানে। রান্না করা যায় না। গেস্ট হাউজের রেস্তোরাঁয় আগে থেকে বলে রাখলে সব খাবার পেয়ে যাবেন। মাথাপিছু খরচ মোটামুটি ১০০-২০০ টাকা প্লেট।
যোগাযোগ: ৯৩৩১০২৬৫৮৫, (০৩২১৭) ২৩৪১০৮। ২। শচীন্দ্র বনবীথি। চারটি স্পট। ভাড়া স্পট অনুযায়ী ৩০০-১০০০ টাকা। রান্নার ব্যবস্থা নিজেদের। লিখিত অনুমতি নিতে হবে।
ঠিকানা: চেয়ারম্যান, টাকি পুরসভা, টাকি, উত্তর ২৪ পরগনা৭৪৩৪২৯।
কথা বলে নিন এই নম্বরে: (০৩২১৭) ২৩৩৩২৮।
যাবেন কী ভাবে: হাসনাবদের রুট ধরে যেতে হবে। গাড়িতে ঘণ্টা আড়াই সময় লাগবে।
মাথায় রাখুন: ১। সীমান্তবর্তী জায়গা। পরিচয়পত্র দেখানোর দরকার হতে পারে। ভোটার কার্ড (ফটোকপি সমেত) সঙ্গে রাখুন।
২। স্নান করতে নদীতে নামবেন না। জলে কামট আছে।
৩। মাছরাঙা দ্বীপে যাবার সময় লক্ষ রাখুন নৌকো যেন বেশি লোক না তোলে। একবারে ১০ থেকে ১২ জনের বেশি কোনও মতেই না।
৪। নৌকোয় বাচ্চাদের দিকে নজর রাখুন।
|
মালঞ্চ নেচার পার্ক, রসুলপুর |
সাতখানা ঝিল। বোটিং-এর ব্যবস্থা। শিকারায়। বাচ্চাদের জন্য মেরি গো রাউন্ড, দোলনা। বোটিং-এর ভাড়া মাথাপিছু ১০ টাকা। আর আছে ৪০ ফুট উঁচু জলপ্রপাত। কৃত্রিম। একটু অন্য রকম কিছু করতে চাইলে ঝিলে মাছও ধরতে পারেন। পাঁচ ঘণ্টার জন্য ভাড়া মাথাপিছু ৫০০ টাকা। ছিপ-টিপ সব স্পটেই পাবেন। তবে মাছ ধরে নিয়ে আসতে চাইলে ভাড়া পড়বে ১৫০০ টাকা মাথাপিছু।
স্পট পরিচয়: ২০ জনের নীচে দল হলে কোনও ভাড়া লাগে না। পার্কে ঢোকার জন্য মাথাপিছু ১০ টাকা দিলেই হল। তার থেকে বড় দল হলে ভাড়া ৫৫০ টাকা, সাকুল্যে। পার্ক খোলা থাকে সকাল ছ’টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত। প্রতিদিন।
যাবার আগে খোঁজ নিন এই নম্বরে: (০৩৩) ৩২৫৭১৭৬৪, ৯৮৩১০৩১১৮৩, ৯৮৩০০৫১৫৫৪।
যাবেন কী ভাবে: গাড়িতে গেলে দিল্লি রোড ধরে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে। পালসিট মোড় ছাড়িয়ে ডানহাতি রাস্তা। কলকাতা থেকে দূরত্ব ৯৬ কিমি।
মাথায় রাখুন: ১। সারা পার্কে ছড়িয়ে সাতখানা ঝিল। তাই বাচ্চাদের নজরে রাখুন।
২। ঝিলের জলে স্নানের চেষ্টা করবেন না।
৩। আগে থেকে যোগাযোগ করে যান, হঠাৎ গিয়ে পড়লে জায়গা না-ও পেতে পারেন।
৪। প্লাস্টিক প্যাকেট ছড়িয়ে আসবেন না।
|
আনন্দকানন, নবদ্বীপ |
একটু দূর, কিন্তু তাতে কী? শীতকালে এনার্জি বেশি থাকে, সুতরাং যাওয়াই যেতে পারে নবদ্বীপ। জায়গাটার নাম আনন্দকানন। ঝিলের ধারে। ন’টা আলাদা আলাদা পিকনিক স্পট আছে। বাগান। বাচ্চাদের জন্য আছে ওয়ান্ডারওয়ার্ল্ড। টয় ট্রেন নয়, আছে টয় বাস (মাথাপিছু ভাড়া পাঁচ টাকা)। ঝিলের জলে বোটিং করার ব্যবস্থাও আছে। বোটিং করতে লাগবে মাথাপিছু ১০ টাকা। আর আছে ওয়ান্ডার হাউজের মতো বাচ্চাদের অ্যাডভেঞ্চার গেম। ইচ্ছে করলে লাঞ্চের আগে ঘুরেও নিতে পারেন এদিক-ওদিক। নবদ্বীপ আর মায়াপুরের মন্দিরগুলো মিস করবেন না। গঙ্গা পেরিয়ে মায়াপুরের মন্দিরে পৌঁছতে হবে। পিকনিকও হল আবার গঙ্গাবিহারও। খারাপ কী? রান্নার ব্যবস্থা নিজেদেরই করতে হবে।
স্পট পরিচয়: বড় দলের (আনুমানিক ৪০ জন) জন্য স্পটপিছু ভাড়া ১০০০ টাকা। দল যত বড় হবে, খরচা বাড়বে।
স্পট বুক করতে ফোন করুন: ৯০৫১২৫৭৮৪৮, ৯৩৩৩০৭৯৯৪৪।
যাবেন কী ভাবে: প্রথমে পৌঁছতে হবে কৃষ্ণনগর। তারপর গঙ্গার ওপর ব্রিজ পেরিয়ে পৌঁছে যাবেন নবদ্বীপে। কলকাতা থেকে নবদ্বীপের দূরত্ব ১০৫ কিমি।
মাথায় রাখুন: ১। আনন্দকাননে ঝিল বেশ গভীর। জলে নামবেন না।
২। মায়াপুর যাবার সময়ে নৌকো ভাড়া করতে হবে। মাঝিরা অনেক সময়ে অতিরিক্ত যাত্রী নেন। তেমন নৌকোয় উঠবেন না।
|
সুয়াখাল পর্যটন কেন্দ্র, হুগলি |
হুগলির রাজহাটে তৈরি হয়েছে এই সুয়াখাল পর্যটন কেন্দ্র। হুগলি জেলা পরিষদের তৈরি। প্রায় ৮ একর জায়গা। পিকনিকের জন্য দারুণ জায়গা। ৩৬টা আলাদা, আলাদা স্পট আছে এখানে। ইচ্ছেমতো রান্নার জায়গা করে, চাদর বিছিয়ে বসে পড়া যায় তার যে কোনও একটিতে। না হলে ব্যবস্থা আছে খুব সুন্দর কটেজেরও। ভাড়াও বেশি নয় ১৫০ টাকা। বাচ্চাদের জন্য আছে টয় ট্রেন (ভাড়া মাথাপিছু ১০ টাকা), ওয়ান্ডার হাউজ (ভাড়া মাথাপিছু পাঁচ টাকা), ওয়ান্ডারল্যান্ড। তা ছাড়াও আছে এনার্জি এডুকেশন পার্ক, এনার্জি ড্রাম। স্রেফ ঘুরে বেড়ানোর জন্য আছে দারুণ ফুলের বাগান। অর্থাৎ সকলের জন্যই কিছু না কিছু আছে পিকনিকের মজা জমিয়ে তোলার জন্য।
স্পট পরিচয়: পার্ক খোলা থাকে সকাল আটটা থেকে সন্ধে ছ’টা পর্যন্ত। প্রবেশমূল্য মাথাপিছু ১০ টাকা। স্পটপিছু ভাড়া ২৫ টাকা। ২৫ জনের থেকে বড় দল হলে ভাড়া বাড়বে। নিজেরা রান্না করতে না চাইলে ক্যান্টিনের ব্যবস্থা আছে। লাঞ্চের অর্ডার সেখানে দিয়ে দিন আগে থেকে।
স্পট বুকিং-য়ের জন্য যোগাযোগ করুন: (০৩৩) ২৬৮৪২১৩৫।
যাবেন কী ভাবে: কলকাতা থেকে ৫৪ কিমি। বালি, ডানকুনি হয়ে দিল্লি রোড ধরে ব্যান্ডেল পেরিয়ে আদিসপ্তগ্রাম। আদিসপ্তগ্রাম আর মগরার মাঝে সুয়াখাল।
মাথায় রাখুন: বাইরে থেকে আনা মিউজিক সিস্টেম নিয়ে ভেতরে ঢোকার অনুমতি নেই। পর্যটনকেন্দ্রের নিজস্ব মিউজিক সিস্টেম আছে। ভাড়া নিতে হবে সেটাই। |
|
|
|
|
|