অমিতাভ মজুমদার
ব্যবসায়ী
মুর্শিদাবাদ দীর্ঘ দিন ধরে উপেক্ষিত। এ জেলায় বৃহৎ শিল্প নেই। জেলা থেকে মোট তিন জন মন্ত্রী হওয়ায় উন্নয়নের প্রত্যাশা জেগেছিল। কিন্তু শুরুতেই নিজেদের মধ্যে কোন্দল করে মন্ত্রীরা সেই প্রত্যাশায় জল ঢেলে দিলেন। মুর্শিদাবাদের আজ সত্যিই বড় দুর্দিন! |
|
সোমেশ রায়
অধ্যক্ষ, কৃষ্ণনাথ কলেজ
মন্ত্রীদের কাজের গতির উপরে উন্নয়ন নির্ভর করে। জেলার মন্ত্রীর সংখ্যা তিন থেকে কমে দুই হওয়াটা দুঃখের। দেশের পিছিয়ে পড়া জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম এই জেলা বলে স্বীকার করছে জোট সরকারের দুই শরিকই। মন্ত্রীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় উন্নয়ন ব্যাহত হবে। |
|
সীমা সরকার
নাট্য পরিচালক
এ জেলার মানুষ অনেক প্রত্যাশা নিয়ে নতুন সরকার ও মুর্শিদাবাদের তিন মন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে ছিল। কিন্তু জোটের মন্ত্রীরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। মানুষও তাই হতাশ। উন্নয়নের ক্ষেত্রে দুই মন্ত্রীর উদ্যোগ তিন মন্ত্রীর বিকল্প হতে পারে না। |
|
শিবানী ঘোষ
কলেজ ছাত্রী
মাস চারেক আগে ক্ষুদ্র ও কুটীর শিল্পের দায়িত্ব পাওয়ার পরে মনোজবাবু রাজ্যের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের উন্নয়নে উদ্যোগী হন। তিনি পদত্যাগ করায় ওই উদ্যোগে যবনিকা পড়ে গেল। মনোজবাবুর শূন্যস্থান পূরণ করা হোক এ জেলা থেকেই মন্ত্রী মনোনীত করে। |
|
প্রদীপকুমার সাহা
চিকিৎসক
ভূমিপুত্রেরা জেলার সমস্যা যত ভাল বুঝবেন, অন্য জেলার কোনও ব্যক্তির পক্ষে সে ভাবে বুঝতে না পারাটাই স্বাভাবিক। ফলে মুর্শিদাবাদের মন্ত্রীর সংখ্যা কমে যাওয়া শুভ নয়। এখন মন্ত্রিত্বের শূন্য পদ এ জেলা থেকেই পূরণ করা হলে জেলার উন্নয়ন ভাল ভাবে এগোবে। |
|
প্রিয়াঙ্কুশেখর দাস
আইনজীবী
কোনও এক মন্ত্রীর উপরে কোনও জেলার উন্নয়ন নির্ভর করে না। তার প্রমাণ, এ জেলা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারে এক মন্ত্রী ও রাজ্য সরকারে তিন জন মন্ত্রী থাকলেও মুর্শিদাবাদের লালগোলা শাখার রেলপথের উন্নতি হয়নি, রেলগেটের উপর সেতুও হয়নি। |