|
|
|
|
পশ্চিমাঞ্চল পর্ষদের নজর পানীয় জল, রাস্তা সংস্কারে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রতিটি গ্রামে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া। বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাসপাতালমুখী যে সব রাস্তা রয়েছে সেগুলির সংস্কার। কিংবা কাঁচা রাস্তাকে পাকা করা। রাজ্যে পরিবর্তনের পর আপাতত এটাই প্রধান লক্ষ্য পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের। মন্ত্রী সুকুমার হাঁসদার বক্তব্য, “বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে জেলা জুড়েই কাজ হচ্ছে। আমার দফতরের আওতাধীন প্রতিটি এলাকাই পিছিয়ে পড়া। এলাকাগুলি দীর্ঘদিন বঞ্চিত। বিশেষত, পানীয় জল ও স্বাস্থ্য পরিষেবায় সমস্যা রয়েছে। তাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য, পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া। সেই সঙ্গে গ্রামীণ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতালে যাতায়াতের রাস্তাগুলির মেরামত। যাতে কম সময়ে সহজেই মানুষ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছতে পারেন।”
ইতিমধ্যেই পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের আওতাধীন প্রতিটি ব্লককেই প্রকল্প-রিপোর্ট তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। সেই সঙ্গে বন দফতরকেও এ বিষয়ে কাজে লাগাচ্ছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলির বেশিরভাগই জঙ্গল লাগোয়া। আমার দফতরের পরিকাঠামো খুবই দুর্বল। তাই ব্লক প্রশাসন, বন দফতর-সহ বিভিন্ন দফতরকে নিয়েই এই কাজ করতে চাই। ধীরে ধীরে দফতরের পরিকাঠামো উন্নয়নেও জোর দেওয়া হবে।” সম্প্রতি ঝাড়গ্রাম ও খড়্গপুর বন-বিভাগকে প্রায় ১৪ কোটি টাকা দিয়েছে এই দফতর। যা দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জল প্রকল্প গড়ে তোলার পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন, গ্রামীণ হাট তৈরি-সহ উন্নয়নের নানা কাজ হবে। সেই সঙ্গে হাসপাতালমুখী কোন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা খারাপ অবস্থায় রয়েছে, তা নিয়েও প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছেন মন্ত্রী। মন্ত্রীর কথায়, “পূর্ত দফতর রাস্তার কাজ করে। একশো দিনের প্রকল্পেও অনেক রাস্তার কাজ হয়। এ ছাড়াও জঙ্গলমহলে ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যানেও রাস্তার কাজ হচ্ছে। যে রাস্তার কাজ হচ্ছে সেগুলি বাদ দিয়ে বাকি রাস্তাগুলির উপর নজর দিতে চাইছি। সব সময়ে আমার দফতরের মাধ্যমেই যে সব করা সম্ভব হবে এমন নয়, যেটা সম্ভব হবে তা করব। যা সম্ভব হবে না সেগুলি যাতে অন্য দফতরকে দিয়ে করানো যায় তার জন্য উদ্যোগী হবে আমাদের দফতর।”
তাঁর দফতর কোনও কাজ ফেলে রাখতে চাইছে না বলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “আমার কাছে ফাইল পড়ে থাকে না। প্রকল্প গেলেই দ্রুত কাজ করে দিই।” কিন্তু এখনও পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কাজ তো দেখা গেল না? তা হলে কী ভাবে বোঝা যাবে দফতর কাজ করছে? মন্ত্রীর কথায়, “সবে তো শুরু হয়েছে। পদ্ধতি মেনে কাজ করতে কিছুটা সময় লাগেই। কিছুদিন পর থেকেই বোঝা যাবে কত কাজ হয়েছে।” ‘পিছিয়ে পড়া’ ব্লকগুলির উন্নয়নের জন্যই পশ্চিমাঞ্চল দফতর। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ঝাড়গ্রাম মহকুমার প্রতিটি ব্লকের পাশাপাশি খড়্গপুরের কেশিয়াড়ি, নারায়ণগড়, মেদিনীপুর সদর ব্লকের গোয়ালতোড়-সহ এই জেলারই ১৮টি ব্লক রয়েছে দফতরের আওতায়। মন্ত্রী বলেন, “অন্য দফতর যদি কাজের জন্য প্রকল্প তৈরি করে আমার দফতরে জমা দেয় তা হলে আমি অর্থ দেওয়ার জন্য সব রকম চেষ্টা করব।” |
|
|
|
|
|