পূর্ব কলকাতা: লেকটাউন, বারাসাত
সংস্কার কবে
অ-যাত্রাগাছি
দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় বেহাল অবস্থায় রয়েছে রাস্তা পারাপারের একমাত্র পাকা সেতুটি। রাজারহাট ব্লকের জ্যাংড়া হাতিয়াড়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের যাত্রাগাছি মাঝেরপাড়া অটোস্ট্যান্ডের কাছে পাশখালের উপরের ওই সেতুটি ‘যাত্রাগাছি সেতু’ নামে পরিচিত। সেতুটি দিয়ে প্রায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলছে চারচাকার গাড়ি পারাপার। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেতুটি পাকা করার কোনও উদ্যোগ এখনও নজরে আসেনি।
এলাকাবাসীদের মতে, সেতুটি ৫০-৬০ বছরের পুরনো। বিমানবন্দর এলাকা থেকে বাগজোলা খালগামী পাশখালের উপরের প্রায় ৪০ ফুট লম্বা ও ১০ ফুট চওড়া সেতুটি যাত্রাগাছি থেকে নিউটাউনের মেজর আর্টারিয়াল রোডে পৌঁছনোর একমাত্র পথ। ঘুনি, যাত্রাগাছি এলাকা থেকে নিউটাউনের বিভিন্ন দিকে বিমানবন্দর, সল্টলেক, পাথরঘাটা প্রভৃতি এলাকায় যাওয়ারও এটি অন্যতম একটি রাস্তা।
কিন্তু অভিযোগ, এত গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটির সংস্কার হয়নি দীর্ঘদিন। রেলিং ভেঙেছে বহু আগেই। পাশাপাশি, একপাশ ভেঙে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে বেশ কিছু লোহার শিক অত্যন্ত বিপজ্জনক ভাবে বেরিয়ে রয়েছে।
এ ছাড়া, নীচের লোহার বিম ভেঙে প্রায় ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। ভেঙেছে সেতুর নীচের পিলারও। নিউটাউনের কাছে যাত্রাগাছি এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দাকে রোজই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সেতু ব্যবহার করতে হয়। সেতু থেকে খালে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানান বাসিন্দারা।
কিন্তু অভিযোগ, সেতু-সংস্কারে উদ্যোগী হয়নি জ্যাংড়া হাতিয়াড়া ২ নম্বর পঞ্চায়েত বা রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতি। তাই বাসিন্দারাই গর্তের উপর লোহার প্লেট ফেলে ঝালাই করে নিয়েছেন। বাসিন্দা মহম্মদ ইসরাইল বলেন, “শুনছি সেতুটি পাকা হবে। কিন্তু কবে হবে খবর নেই।” সম্প্রতি হিডকোর তরফে ওই পাকা সেতুটির পাশে একটি কাঠের সেতু তৈরি করা হয়েছে। সেটি অপরিসর হওয়ায় চারচাকার গাড়ি, মালবোঝাই রিক্শা যেতে পারে না।
রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের জাহানারা বিবি বলেন, “পাকা সেতুটি হিডকোই করবে।” সম্প্রতি হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নিউটাউনের ভগ্নপ্রায় যাত্রাগাছি সেতুটিকে নতুন করে গড়া হবে। হিডকোর চিফ ইঞ্জিনিয়ার অঞ্জন দাস বলেন,
“পাকা সেতুটি নির্মাণের জন্য অর্থ অনুমোদন হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।” হিডকোর ভাইস চেয়ারম্যান তথা রাজারহাটের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত বলেন, “হিডকোর নেবারহুড উন্নয়ন তহবিল থেকে ৫০লক্ষ টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে শুনেছি।”

ছবি: অর্কপ্রভ ঘোষ




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.