হঠাৎই প্রচারের আলো তাঁর উপর। কিন্তু বরাবরের মতোই অবিচলিত বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা। হোয়াইটওয়াশের খাঁড়া কপালে ঝুলছে, এই পরিস্থিতিতে জীবনের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামছেন। “প্রতিটি বল ধরে খেলব। আগে কী হয়েছে বা পরে কী হতে পারে তা নিয়ে আমি ভাবি না।” এর আগে একটা টেস্ট খেলেছেন ঋদ্ধিমান। ২০১০-এ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে, নাগপুরে। সেই টেস্টের দু’ইনিংসে রান করেন ০ এবং ৩৬। কিন্তু সেই টেস্টে ঋদ্ধি খেলেন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে। শেষ মুহূর্তে রোহিত শর্মা চোট পাওয়ায় তাঁকে খেলতে হয়েছিল। সে দিক দিয়ে দেখলে উইকেটকিপার হিসেবে এটাই তাঁর প্রথম টেস্ট।
অস্ট্রেলিয়ার উইকেটে পেস ও বাউন্স সম্পর্কে তাঁর পরিষ্কার ধারণা আছে বলে দাবি করেছেন ঋদ্ধি। বলেছেন, “এর আগে ইমার্জিং প্লেয়ার্স টিমের হয়ে এখানে খেলে গিয়েছি। বাউন্স আমার কাছে সমস্যা নয়। আমি জানি এখানে কিপ করতে গেলে কী করতে হয়।” সঙ্গে আরও জানাচ্ছেন, কখনওই কোনও রকম চাপ তাঁকে প্রভাবিত করে না। “ঘরোয়া ক্রিকেট, রঞ্জি, দলীপ, এমনকী ক্লাব ক্রিকেটেও আমি নিজেকে কোনও রকম চাপে রাখি না। এখানেও স্বাভাবিক খেলা খেলব,” বলেছেন ঋদ্ধি।
টিমের চূড়ান্ত দুরবস্থা নিয়েও বেশি ভাবতে চান না ঋদ্ধি। বলেছেন, “হেরে গেলে কী হবে, সবাই চেষ্টা করেছে। চেষ্টার ত্রুটি আমাদের ছিল না। কিন্তু ক্রিকেটে সব কিছুই হতে পারে।” এই সফরে এখন পর্যন্ত একটি মাত্র ম্যাচ খেলেছেন ঋদ্ধি। গত মাসে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া চেয়ারম্যান একাদশের বিরুদ্ধে, ক্যানবেরায়। এতে প্রস্তুতির অসুবিধে হয়েছে, তা-ও মানছেন না। বরং পাল্টা বলছেন, “উইকেট এখানে যে রকম, শর্ট পিচ বল খেলার জন্য তৈরি থাকতে হবে। ক্রিকেটার হিসেবে এটা প্রত্যাশিত। সব কিছুর জন্যই আমাদের তৈরি থাকতে হবে।” টানা হারের পরেও টিম ভেঙে পড়েনি বলে দাবি করছেন ঋদ্ধি। তবে অ্যাডিলেডে ভাল নেট বোলার পাওয়া যাচ্ছে না বলে শনিবার ভারত প্র্যাক্টিস করবে না। |